সারাদেশে ৬শ’র বেশি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট, জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এই সব হাসপাতালে প্রতিদিন মূমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন ইউনিট) সিটের দরকার। কিন্তু সিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ। প্রতিদিন থাকে সিট সংকট। সিরিয়াল পেতেও কষ্টকর। কার আগে কে রোগীর জন্য সিট নিবে তার জন্য চলে তদবিরও। অনেক সময় তদবিরেও কাজ হয় না। আবার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অপারেশনের রোগীর জন্য আইসিইউ রাখতে হয়। যার কারণে সংকট থেকেই যায়।
আবার দেশের জেলা ও উপজেলা থেকে রোগী ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে সরকারি হাসপাতালে দিনের পর দিন তদবির করেও সিট পাওয়া কষ্টকর। কোনো উপায় না পেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
প্রাইভেটে কিছুদিন রোগী রাখা ও বেশি টাকা খরচ করার পর অর্থ কষ্টে আবার সরকারি হাসপাতালে তদবির করে। আবার অনেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও আতœীয়-স্বজনদের মাধ্যমে তদবির করে রোগীকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করে।
দেশে করোনা মহামারী থেকে এখনো হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সংকট চলছে। এছাড়াও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে অপারেশন ও আইসিইউ চালানোর জন্য দরকার কমপক্ষে ১০ হাজার শিক্ষক ও চিকিৎসকের। আছে প্রায় ২ হাজার ১শ’ জন।
অ্যানেসথেসিয়া সংকটের কারণে নিয়মিত রুটিন অপারেশন করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পদ আছে বিশেষজ্ঞ নেই। এ ভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়ায়ার কার্যক্রম। অনেক হাসপাতালে যন্ত্রপাতি থাকলেও বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এ্যানেসথেসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রফের ডাক্তার একেএম আক্তারুজ্জামান জানান, সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়া শিক্ষকের সংকট চলছে। অনেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ্যানেসথেসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের পদ আছে। কিন্তু শূন্য পড়ে আছে। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায় ছাড়া দেশের অনেক হাসপাতালে এখনো পর্যাপ্ত এ্যানেসথেসিয়া শিক্ষক ও আইসিইউ সংকট রয়েছে।
খোদ রাজধানীর অনেক হাসপাতালে তার জানামত শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে। অনেকেই এই বিভাগে আসতে চায় না। প্রণোদনা দিয়ে হলেও বিশেষজ্ঞ রাখা দরকার। না হলে সংকট আরও বাড়বে। অপারেশন করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। ক্রিটিক্যাল রোগী বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের দরকার।
তার মতে, প্রফেসরের পদ আছে ২৭টি। শিক্ষক আছে ৭ জন। মেডিকেল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ থেকে ৫ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন। অন্য হাসপাতালে সিনিয়রের পদ শূন্য। শিক্ষক না থাকলে একাডেমিক সাইড চালানো কষ্টকর। এরপর আইসিইউতে মূমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা তদারকি করতে হয়। সেখানে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সমস্যা হয়। মিটফোর্ড হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, নিউরোসায়েন্স হাসপাতালসহ অনেক সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়ার জনবলের অভাব রয়েছে। সারাদেশে দরকার কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ হাজার। আছে ২ হাজারের কিছু বেশি। এই ভাবে সারাদেশে এ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের সংকট রয়েছে। এরজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া দরকার বলে এই বিশেষজ্ঞ জানান।
আইসিইউর সিট বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সুপার স্পেশাল হাসপাতালে ১শ’ আইসিইউ বেড বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫টি সিট চালু করা হয়েছে। অন্যগুলো প্রক্রিয়াধীন।
আর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইসিইউ সিট আছে ৩৬টি। ক্রিটিক্যাল রোগীদের রাখার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ইউনিট (এসডিইউ) আছে ১৪টি। এই ভাবে সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও জেলা এবং উপজেলা হাসপাতাল মিলে আইসিইউ সিট এক হাজার হবে। প্রাইভেটে ২ থেকে আড়াই হাজার। আইসিইউর চাহিদা বেশি। সংকটের কারণে সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আলমগীর নামে একজন সংবাদকে জানান, সম্প্রতি তার এক রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির জন্য সিরিয়াল দিয়েছে। এরপর তদবিরও করছে। পরবর্তীতে অবশ্য তার রোগী ভর্তি হয়েছে।
শাহবাগ বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) আইসিইউতে মূমূর্ষু রোগী ভর্তি করতে সিরিয়াল দিতে হয়। আবার অনেকেই তদবিরও করে। এরপর সিরিয়াল পাওয়া কষ্টকর। অনেকেই ভর্তির আগে মারা যান।
আইসিইউ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ভার্সিটির কেবিন ব্লকে ও সি ব্লকে আইসিইউ সিট আছে। অনেক সময় ভর্তির জন্য সিরিয়াল থাকে। সিট কখনো খালি থাকে। আবার কখনো খালি থাকে না।
হাসপাতালের অপারেশনের রোগীর জন্য সিট রাখতে হয়। আবার বাইরের রোগীও ভর্তি করতে হয়। কেবিন ব্লকে ২১টি সিট আছে। সি ব্লকে ১১টি। এসডিতে আছে ১১টি। তবে শিক্ষকরা বলছেন সিট সংখ্যা আরও বেশি।
আবার অনেকেই প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার পর টাকা শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তির চেষ্টা করে। কোনো মতে, তদবির করে ভর্তি করতে পারলে তারা স্বত্ত্বি ফিরে পায়। কারণ সরকারিতে খরচ দিনে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে কখনো ওষুধ খরচ বেশি লাগতে পারে। আর প্রাইভেটে হাসপাতাল বুঝে খরচও বেশি হয়। যা মধ্যবিত্ত বা গরীব পরিবারের চালানো কষ্টকর বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য করোনা মহামারীর সময় দেশে আইসিইউ পাওয়া কষ্টকর ছিল। আইসিইউর অভাবে অনেক ক্রিটিক্যাল রোগী মারাও গেছেন। আবার বিশেষজ্ঞ না থাকায় ক্রিটিক্যাল রোগী আইসিইউতে ভর্তি কঠিন ছিল। ওই সময় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে আইসিইউ সিট বাড়ানো ও জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপর তা ঝিমিয়ে পড়েছে। এখনও অনেক নতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়া সংকট বিরাজ করছে। এখনই উদ্যোগ নিলে মূমুর্ষু রোগীরা উপকৃত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
সারাদেশে ৬শ’র বেশি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট, জেলা হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এই সব হাসপাতালে প্রতিদিন মূমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন ইউনিট) সিটের দরকার। কিন্তু সিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ। প্রতিদিন থাকে সিট সংকট। সিরিয়াল পেতেও কষ্টকর। কার আগে কে রোগীর জন্য সিট নিবে তার জন্য চলে তদবিরও। অনেক সময় তদবিরেও কাজ হয় না। আবার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অপারেশনের রোগীর জন্য আইসিইউ রাখতে হয়। যার কারণে সংকট থেকেই যায়।
আবার দেশের জেলা ও উপজেলা থেকে রোগী ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে সরকারি হাসপাতালে দিনের পর দিন তদবির করেও সিট পাওয়া কষ্টকর। কোনো উপায় না পেয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
প্রাইভেটে কিছুদিন রোগী রাখা ও বেশি টাকা খরচ করার পর অর্থ কষ্টে আবার সরকারি হাসপাতালে তদবির করে। আবার অনেকেই বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও আতœীয়-স্বজনদের মাধ্যমে তদবির করে রোগীকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করে।
দেশে করোনা মহামারী থেকে এখনো হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সংকট চলছে। এছাড়াও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে অপারেশন ও আইসিইউ চালানোর জন্য দরকার কমপক্ষে ১০ হাজার শিক্ষক ও চিকিৎসকের। আছে প্রায় ২ হাজার ১শ’ জন।
অ্যানেসথেসিয়া সংকটের কারণে নিয়মিত রুটিন অপারেশন করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পদ আছে বিশেষজ্ঞ নেই। এ ভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়ায়ার কার্যক্রম। অনেক হাসপাতালে যন্ত্রপাতি থাকলেও বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এ্যানেসথেসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রফের ডাক্তার একেএম আক্তারুজ্জামান জানান, সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়া শিক্ষকের সংকট চলছে। অনেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এ্যানেসথেসিয়া, এ্যানালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের পদ আছে। কিন্তু শূন্য পড়ে আছে। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যায় ছাড়া দেশের অনেক হাসপাতালে এখনো পর্যাপ্ত এ্যানেসথেসিয়া শিক্ষক ও আইসিইউ সংকট রয়েছে।
খোদ রাজধানীর অনেক হাসপাতালে তার জানামত শিক্ষকের পদশূন্য রয়েছে। অনেকেই এই বিভাগে আসতে চায় না। প্রণোদনা দিয়ে হলেও বিশেষজ্ঞ রাখা দরকার। না হলে সংকট আরও বাড়বে। অপারেশন করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। ক্রিটিক্যাল রোগী বাঁচাতে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের দরকার।
তার মতে, প্রফেসরের পদ আছে ২৭টি। শিক্ষক আছে ৭ জন। মেডিকেল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ থেকে ৫ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন। অন্য হাসপাতালে সিনিয়রের পদ শূন্য। শিক্ষক না থাকলে একাডেমিক সাইড চালানো কষ্টকর। এরপর আইসিইউতে মূমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা তদারকি করতে হয়। সেখানে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সমস্যা হয়। মিটফোর্ড হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, নিউরোসায়েন্স হাসপাতালসহ অনেক সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়ার জনবলের অভাব রয়েছে। সারাদেশে দরকার কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ হাজার। আছে ২ হাজারের কিছু বেশি। এই ভাবে সারাদেশে এ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞের সংকট রয়েছে। এরজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া দরকার বলে এই বিশেষজ্ঞ জানান।
আইসিইউর সিট বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সুপার স্পেশাল হাসপাতালে ১শ’ আইসিইউ বেড বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫টি সিট চালু করা হয়েছে। অন্যগুলো প্রক্রিয়াধীন।
আর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইসিইউ সিট আছে ৩৬টি। ক্রিটিক্যাল রোগীদের রাখার জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ইউনিট (এসডিইউ) আছে ১৪টি। এই ভাবে সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও জেলা এবং উপজেলা হাসপাতাল মিলে আইসিইউ সিট এক হাজার হবে। প্রাইভেটে ২ থেকে আড়াই হাজার। আইসিইউর চাহিদা বেশি। সংকটের কারণে সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আলমগীর নামে একজন সংবাদকে জানান, সম্প্রতি তার এক রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির জন্য সিরিয়াল দিয়েছে। এরপর তদবিরও করছে। পরবর্তীতে অবশ্য তার রোগী ভর্তি হয়েছে।
শাহবাগ বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) আইসিইউতে মূমূর্ষু রোগী ভর্তি করতে সিরিয়াল দিতে হয়। আবার অনেকেই তদবিরও করে। এরপর সিরিয়াল পাওয়া কষ্টকর। অনেকেই ভর্তির আগে মারা যান।
আইসিইউ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ভার্সিটির কেবিন ব্লকে ও সি ব্লকে আইসিইউ সিট আছে। অনেক সময় ভর্তির জন্য সিরিয়াল থাকে। সিট কখনো খালি থাকে। আবার কখনো খালি থাকে না।
হাসপাতালের অপারেশনের রোগীর জন্য সিট রাখতে হয়। আবার বাইরের রোগীও ভর্তি করতে হয়। কেবিন ব্লকে ২১টি সিট আছে। সি ব্লকে ১১টি। এসডিতে আছে ১১টি। তবে শিক্ষকরা বলছেন সিট সংখ্যা আরও বেশি।
আবার অনেকেই প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার পর টাকা শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তির চেষ্টা করে। কোনো মতে, তদবির করে ভর্তি করতে পারলে তারা স্বত্ত্বি ফিরে পায়। কারণ সরকারিতে খরচ দিনে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। তবে কখনো ওষুধ খরচ বেশি লাগতে পারে। আর প্রাইভেটে হাসপাতাল বুঝে খরচও বেশি হয়। যা মধ্যবিত্ত বা গরীব পরিবারের চালানো কষ্টকর বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য করোনা মহামারীর সময় দেশে আইসিইউ পাওয়া কষ্টকর ছিল। আইসিইউর অভাবে অনেক ক্রিটিক্যাল রোগী মারাও গেছেন। আবার বিশেষজ্ঞ না থাকায় ক্রিটিক্যাল রোগী আইসিইউতে ভর্তি কঠিন ছিল। ওই সময় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে আইসিইউ সিট বাড়ানো ও জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপর তা ঝিমিয়ে পড়েছে। এখনও অনেক নতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়া সংকট বিরাজ করছে। এখনই উদ্যোগ নিলে মূমুর্ষু রোগীরা উপকৃত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।