রাঙামাটিতে পিকআপ ও অটোরিকশার সংঘর্ষ ৬ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (২৬/ ০৪/ ২০২৫) সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কাউখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগ। নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের সীতাকু-ের ভাটিয়ারী এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক ইজাদুল, কাউখালীর বাসিন্দা মিনু মারমা, নুর নাহার বেগম, রাউজান এলাকার বাসিন্দা আবু তোরাপ ও মো. জয়নাল আবেদীন, হাটাহাজারির বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান।
কাউখালী থানার ওসি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা পিকআপের সঙ্গে রাঙামাটি থেকে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহত তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে দুইজন মারা যান। আহত অন্যজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম পাঠানো আহত ব্যক্তিও রাউজান গহিরা এ কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
নিহত নূর নাহারের স্বামী আব্দুর রহিম বলেন, ‘সকালে আমার স্ত্রী বেতবুনিয়া বাজার করতে সিএনজিতে করে যাচ্ছিলেন। পথে একটা পিকআপ এসে সামনে থেকে ধাক্কা দিলে তাদের সিএনজিটি পুরো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে আমার স্ত্রীসহ সিএনজিতে থাকা কয়েকজন মারা গেছেন।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘কাউখালী উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে পিকআপের চালক পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি সোহাগ।
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘চেহেরী বাজারে হাটের দিন ছিল শনিবার। হাটে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন নিহতরা। সিএনজি অটোরিকশাটি মনারটেক আমবাগান এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে কাঠবোঝাই পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় সিএনজিতে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান এলাকায় রাস্তার বাঁক থাকার কারণে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগেও ঢাকা থেকে রাঙামাটিগামী রবি এক্সপ্রেসের হুন্দাই বাস একই স্থানে উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
আমাদের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলিতে এবং গত শুক্রবার রাতে শ্রীনগরের হাসাড়ায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে বলে জানিয়েছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।
এর মধ্যে শনিবার সকালে নিমতলিতে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে একটি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের রেলিংয়ে আছড়ে পড়ে। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বাইকে থাকা ইউসুফ খান (৫২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহত ইউসুফ ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বাউশখালী গ্রামের বেদন খানের ছেলে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে শ্রীনগরের হাসাড়ায় এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রংপুরের আলিমুল (২৭) এবং রাজধানীর মুগদাপাড়ার আব্দুর রহমান (২৫) আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চালক আলিমুলকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বেপরোয়া গতি ও ট্রাফিক আইন না মানার কারণেই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া যান দুটি শনাক্ত এবং আইনত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
রাঙামাটিতে পিকআপ ও অটোরিকশার সংঘর্ষ ৬ জন নিহত হয়েছে। শনিবার (২৬/ ০৪/ ২০২৫) সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কাউখালী থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম সোহাগ। নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের সীতাকু-ের ভাটিয়ারী এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশাচালক ইজাদুল, কাউখালীর বাসিন্দা মিনু মারমা, নুর নাহার বেগম, রাউজান এলাকার বাসিন্দা আবু তোরাপ ও মো. জয়নাল আবেদীন, হাটাহাজারির বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান।
কাউখালী থানার ওসি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা পিকআপের সঙ্গে রাঙামাটি থেকে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। আহত তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে দুইজন মারা যান। আহত অন্যজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম পাঠানো আহত ব্যক্তিও রাউজান গহিরা এ কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানান রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
নিহত নূর নাহারের স্বামী আব্দুর রহিম বলেন, ‘সকালে আমার স্ত্রী বেতবুনিয়া বাজার করতে সিএনজিতে করে যাচ্ছিলেন। পথে একটা পিকআপ এসে সামনে থেকে ধাক্কা দিলে তাদের সিএনজিটি পুরো দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে আমার স্ত্রীসহ সিএনজিতে থাকা কয়েকজন মারা গেছেন।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘কাউখালী উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে পিকআপের চালক পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি সোহাগ।
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘চেহেরী বাজারে হাটের দিন ছিল শনিবার। হাটে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন নিহতরা। সিএনজি অটোরিকশাটি মনারটেক আমবাগান এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে কাঠবোঝাই পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় সিএনজিতে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যান এলাকায় রাস্তার বাঁক থাকার কারণে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকদিন আগেও ঢাকা থেকে রাঙামাটিগামী রবি এক্সপ্রেসের হুন্দাই বাস একই স্থানে উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
আমাদের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলিতে এবং গত শুক্রবার রাতে শ্রীনগরের হাসাড়ায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে বলে জানিয়েছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী।
এর মধ্যে শনিবার সকালে নিমতলিতে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে একটি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের রেলিংয়ে আছড়ে পড়ে। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বাইকে থাকা ইউসুফ খান (৫২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহত ইউসুফ ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বাউশখালী গ্রামের বেদন খানের ছেলে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে শ্রীনগরের হাসাড়ায় এক্সপ্রেসওয়েতে একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রংপুরের আলিমুল (২৭) এবং রাজধানীর মুগদাপাড়ার আব্দুর রহমান (২৫) আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চালক আলিমুলকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বেপরোয়া গতি ও ট্রাফিক আইন না মানার কারণেই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া যান দুটি শনাক্ত এবং আইনত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।