চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশের সব এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের যে ঘোষণা শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিয়েছিল, তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ‘ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ’ নামের শিক্ষকদের একটি সংগঠন।
সংগঠনের নেতারা প্রতিটি উপজেলায় একটি দাখিল, একটি ফাযিল বা কামিল ও একটি মহিলা মাদ্রাসাসহ মোট তিনটি মাদ্রাসা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন। তারা এই দাবি আদায়ে ৮ বিভাগে সমাবেশ এবং ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা জানিয়েছেন।
শনিবার (২৬/ ০৪/ ২০২৫) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মারুফের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন মহাসচিব উপাধ্যক্ষ আবদুর রহমান। সভায় বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এ বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুইজন কর্মকর্তার অংশ নেয়ার কথা থাকলেও তারা আসেননি।
এবতেদায়ী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ‘অবহেলিত’ মন্তব্য করে আবদুর রহমান বলেন, ‘২৮ জানুয়ারি এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাদের কথা চিন্তা করতে হবে।’
তিনি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, সর্বজনীন বদলি, অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব রেজাউল হক বলেম, ‘গত ২৮ জানুয়ারি এবতেদায়ী মাদ্রাসা সরকারিকরণের যে ঘোষণা তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গত ৫ মার্চ সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুবিধা বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন। সেটির কাজ এগিয়ে গেলেও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির কাজ হয়নি কেন? ৩১ মার্চের মধ্যে এবতেদায়ী মাদ্রাসার নীতিমালা জারির কথা ছিল, কিন্তু তা হলো না কেন?
মে মাস থেকে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার কথা ছিল দাবি করে রেজাউল হক বলেন, পরে জুন ও জুলাইয়ে সব নিবন্ধিত মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা শুরু হয়নি।
গত ২৮ জানুয়ারি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু তার সঙ্গে সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসা যুক্ত করা হয়েছে।
মোট ২৭ হাজার মাদ্রাসা জাতীয়করণে সরকার ‘গড়িমসি’ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গত ২৮ জানুয়ারি এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৫ মার্চ সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ে শষ কর্মদিবসে অ্যাডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বরধারী (ইআইআইএন) এক হাজার ৫১৯টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দেন, যা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশের সব এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের যে ঘোষণা শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিয়েছিল, তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ‘ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ’ নামের শিক্ষকদের একটি সংগঠন।
সংগঠনের নেতারা প্রতিটি উপজেলায় একটি দাখিল, একটি ফাযিল বা কামিল ও একটি মহিলা মাদ্রাসাসহ মোট তিনটি মাদ্রাসা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন। তারা এই দাবি আদায়ে ৮ বিভাগে সমাবেশ এবং ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা জানিয়েছেন।
শনিবার (২৬/ ০৪/ ২০২৫) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মারুফের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন মহাসচিব উপাধ্যক্ষ আবদুর রহমান। সভায় বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এ বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুইজন কর্মকর্তার অংশ নেয়ার কথা থাকলেও তারা আসেননি।
এবতেদায়ী শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ‘অবহেলিত’ মন্তব্য করে আবদুর রহমান বলেন, ‘২৮ জানুয়ারি এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাদের কথা চিন্তা করতে হবে।’
তিনি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, সর্বজনীন বদলি, অবসরের ৬ মাসের মধ্যে অবসর ও কল্যাণ ভাতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাসচিব রেজাউল হক বলেম, ‘গত ২৮ জানুয়ারি এবতেদায়ী মাদ্রাসা সরকারিকরণের যে ঘোষণা তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গত ৫ মার্চ সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুবিধা বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন। সেটির কাজ এগিয়ে গেলেও ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির কাজ হয়নি কেন? ৩১ মার্চের মধ্যে এবতেদায়ী মাদ্রাসার নীতিমালা জারির কথা ছিল, কিন্তু তা হলো না কেন?
মে মাস থেকে এক হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার কথা ছিল দাবি করে রেজাউল হক বলেন, পরে জুন ও জুলাইয়ে সব নিবন্ধিত মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা শুরু হয়নি।
গত ২৮ জানুয়ারি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু তার সঙ্গে সংযুক্ত এবতেদায়ী মাদ্রাসা যুক্ত করা হয়েছে।
মোট ২৭ হাজার মাদ্রাসা জাতীয়করণে সরকার ‘গড়িমসি’ করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গত ২৮ জানুয়ারি এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ৫ মার্চ সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ে শষ কর্মদিবসে অ্যাডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বরধারী (ইআইআইএন) এক হাজার ৫১৯টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন দেন, যা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হয়েছিল।