alt

কেমন আছেন সিলেট অঞ্চলে খাসিয়ারা

সংগ্রাম দত্ত, প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল : শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

উৎসবে খাসিয়া মেয়েরা -সংবাদ

খাসিয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি জাতিগত সম্প্রদায়। ভারতের আসাম রাজ্যের এবং বাংলাদেশে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এদের বসবাস রয়েছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের খাসি পাহাড়ে জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ খাসি জনগণ, আর এই খাসি পাহাড়ের নামে বা পাহাড় উপত্যকায় বসবাসকারীদের খাসি বা খাসিয়া নামে সম্বোধন করা হয়। জীবন ও জীবিকার তাড়নায় এরা একসময় পার্শ্ববর্তী আসাম ও ত্রিপুরায়ও ছড়িয়ে পড়ে। খাসি পাহাড়ি অঞ্চলের জনসংখ্যার ৭৮.৩% এবং মেঘালয় রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৮% হচ্ছে এই সম্প্রদায়ের লোক।

এরা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। এদের গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, নাক-মুখ চেপ্টা, চোয়াল উঁচু, চোখ কালো ও ছোট টানা এবং খর্বকায়। খাসিয়ারা প্রায় পাঁচ শতাধিক বছর আগে আসাম থেকে বাংলাদেশে আসে। আসামে এরা এসেছিল সম্ভবত তিববত থেকে।

বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভিতরেও এদের আগমন মূলত জীবিকারই সন্ধানে। নৃ-জাতিগোষ্ঠী হিসাবে খাসিয়ারা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল এমনকি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় এদের বসবাস রয়েছে বলে জানা যায়।

পাহাড়ি এলাকার পাশাপাশি সমতল ভূমিকে এরা এদের বসবাসের জন্য উপযুক্ত স্থান মনে করে। পৃথিবীর বিরল কয়েকটি মাতৃতান্ত্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই খাসিয়ারা হচ্ছে একটি। এক সময় খাসিয়ারা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী থাকলেও বর্তমানে এই সম্প্রদায়ের বৃহৎ অংশ খ্রিষ্টধর্ম পালন করে।

এদের আয়ের মূল উৎস হচ্ছে পান চাষ। খাসিয়া পান নামে পরিচিত এই অতি জনপ্রিয় পানের প্রায় পুরোটাই এই সম্প্রদায়ের লোকেরাই উৎপাদন করে থাকে।

খাসিয়ারা যেসব গ্রামে বসবাস করে সেগুলোকে খাসিয়া পুঞ্জি বলে। একেকটি পুঞ্জিতে গড়ে ৫০টির মতো খাসিয়া পরিবার বসবাস করে থাকে। প্রত্যেক খাসিয়াপুঞ্জি এক একজন নির্বাহী প্রধান কর্তৃক পরিচালিত হয়। খাসিয়া পুঞ্জির এই প্রধানকে মন্ত্রী বলে সম্বোধন করা হয়।

কমলগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল যাবার রাস্তার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত এই পুঞ্জিটি। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার পশ্চিমে। ঢাকা সিলেট রেল লাইনটিও এই পুঞ্জির পাশ দিয়ে চলে গেছে। এখানে প্রায় ৪০টির মতো খাসিয়া পরিবার বসবাস করে।

১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ডে অগ্নোৎপাত ঘটলে এখানে বসবাসরত খাসিয়ারা অবর্ণনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাদের জীবন, কর্ম ও পরিচিতি তৎকালীন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও স্থানলাভ করে।

কমলগঞ্জ উপজেলার সর্বদক্ষিণে ইসলামপুর ইউনিয়নাধীন রাজকান্দি মৌজা ভুক্ত কুরমা খাসিয়া পুঞ্জিতে ২০ থেকে ২৫টির মতো খাসিয়া পরিবার বসবাস করে। এই পুঞ্জিতে বেশির ভাগ খাসিয়া খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসী হলেও ৩/৪টি পরিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে জানা যায়।

ডবলছড়া খাসিয়া পূঞ্জিটি শমসেরনগর চা বাগান পেরিয়ে ডবলছড়া চা বাগানের পাশে পাহাড়ি ঢালু এলাকায় অবস্থিত। শমসেরনগর ইউনিয়নাধীন ডবলছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতে ৫০টির অধিক পরিবার রয়েছে বলে জানা যায়। এদের সকলেই খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসী। ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতে উৎপাদিত পান শমসেরনগর বাজারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নাধীন কালেঞ্জি পুঞ্জিতে প্রায় ৮০টিরও অধিক খাসিয়া পরিবার বসবাস করে। এটি উপজেলার সর্ববৃহৎ খাসিয়া পুঞ্জি। এদের উৎপাদিত পান ভানুগাছ বাজারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

পাত্রখোলা খাসিয়াপুঞ্জি কমলগঞ্জ উপজেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত পাত্রখোলা চা বাগানে পাশে এই পুঞ্জিটির অবস্থান। এখানে খাসিয়া পরিবার রয়েছে প্রায় পঞ্চাশটি।

কমলগঞ্জ উপজেলায় উপরোক্ত খাসিয়াপুঞ্জি ছাড়াও কাঁটাবিল খাসিয়াপুঞ্জি ও খাসিপুর পুঞ্জি নামে ছোট দুটি পুঞ্জির অস্তিত্ব রয়েছে। মাঝে মধ্যে খাসিয়ারা পান চাষের সুবিধার্থে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় অস্থায়ী পুঞ্জি গড়ে তোলে বলেও জানা যায়।

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান: ‘হত্যা’ মামলার বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

ছবি

নতুন হ্যাকার গ্রুপ ‘মিস্টিরিয়াস এলিফ্যান্ট’: টার্গেটে বাংলাদেশও

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে মৃত্যু ৪, হাসপাতালে ভর্তি ৯৪২ জন

ছবি

ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার মানে ‘হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে আসামিকে বলা সাঁতার কাটো’: রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী

ছবি

নির্বাচনের ‘সহায়ক পরিবেশ আছে’, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ‘উদ্বেগ নেই’: ইসি সচিব

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

জুলাই যোদ্ধারা আইডি কার্ড ও আইনি সুরক্ষা চায়, বৈঠকে গুরুত্বারোপ

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন আসামিপক্ষের আইনজীবী

ছবি

নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সমাবেশ, একশজনের অনশন চলছে

বাংলাদেশে একদিনে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু; চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ২৪৫

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন ২৭ ঘণ্টা পর নিভেছে

শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুনে পোশাক খাতের বড় ক্ষতি: বিজিএমইএর উদ্বেগ

‘নাশকতা কিনা’ প্রশ্নে ক্ষোভ বিমান উপদেষ্টার

‘বাতাসের কারণে’ আগুন নেভাতে দেরি: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার প্রমাণ মিললে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে বিমানের সাত সদস্যের কমিটি

ছবি

দাবি আদায়ে অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, বিক্ষোভ শেষে আবারও শহীদ মিনারে অবস্থান

ছবি

ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ চৌধুরী আর নেই

ছবি

এবার ‘মার্চ টু যমুনা’র ঘোষণা এমপিও শিক্ষকদের

ছবি

বিচার বিভাগে নারীর অংশগ্রহণ জনআস্থার ‘বিশেষ প্রতীক’: প্রধান বিচারপতি

ছবি

বাংলাদেশ ওআইসির উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ: শ্রম উপদেষ্টা

ছবি

ইভিএম: মামলা ও বকেয়ার বিষয়ে মাঠের তথ্য চেয়েছে ইসি

ছবি

ডেঙ্গু: আরও ৫১০ জন হাসপাতালে, আক্রান্ত ছাড়ালো ৫৮ হাজার

ছবি

এনসিপিকে ছাড়াই ‘জুলাই সনদ’ সই: ‘নবজন্ম হলো’, বললেন ইউনূস

ছবি

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা স্থগিত: পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উদ্বেগ

ছবি

পুলিশ-জুলাই যোদ্ধা সংঘর্ষ সংসদ এলাকা রণক্ষেত্র

জুলাই জাতীয় সনদে সই আজ, অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয়ে কয়েক দল

ছবি

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে আজ, কী থাকছে এই সনদে

গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

ছবি

এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু টেস্ট

চীনে নারী পাচার: দূতাবাস ও ইমিগ্রেশনের ‘যোগসাজশ’ দেখছে র‌্যাব

ছবি

এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট’র নতুন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হলেন স্নিধ

ছবি

সিইপিজেডে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে

শেখ হাসিনার ১৪০০ বার ফাঁসি হওয়া দরকার: চিফ প্রসিকিউটর

tab

কেমন আছেন সিলেট অঞ্চলে খাসিয়ারা

সংগ্রাম দত্ত, প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল

উৎসবে খাসিয়া মেয়েরা -সংবাদ

শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

খাসিয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি জাতিগত সম্প্রদায়। ভারতের আসাম রাজ্যের এবং বাংলাদেশে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এদের বসবাস রয়েছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের খাসি পাহাড়ে জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ খাসি জনগণ, আর এই খাসি পাহাড়ের নামে বা পাহাড় উপত্যকায় বসবাসকারীদের খাসি বা খাসিয়া নামে সম্বোধন করা হয়। জীবন ও জীবিকার তাড়নায় এরা একসময় পার্শ্ববর্তী আসাম ও ত্রিপুরায়ও ছড়িয়ে পড়ে। খাসি পাহাড়ি অঞ্চলের জনসংখ্যার ৭৮.৩% এবং মেঘালয় রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৮% হচ্ছে এই সম্প্রদায়ের লোক।

এরা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। এদের গাত্রবর্ণ হরিদ্রাভ, নাক-মুখ চেপ্টা, চোয়াল উঁচু, চোখ কালো ও ছোট টানা এবং খর্বকায়। খাসিয়ারা প্রায় পাঁচ শতাধিক বছর আগে আসাম থেকে বাংলাদেশে আসে। আসামে এরা এসেছিল সম্ভবত তিববত থেকে।

বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভিতরেও এদের আগমন মূলত জীবিকারই সন্ধানে। নৃ-জাতিগোষ্ঠী হিসাবে খাসিয়ারা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল এমনকি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় এদের বসবাস রয়েছে বলে জানা যায়।

পাহাড়ি এলাকার পাশাপাশি সমতল ভূমিকে এরা এদের বসবাসের জন্য উপযুক্ত স্থান মনে করে। পৃথিবীর বিরল কয়েকটি মাতৃতান্ত্রিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই খাসিয়ারা হচ্ছে একটি। এক সময় খাসিয়ারা সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী থাকলেও বর্তমানে এই সম্প্রদায়ের বৃহৎ অংশ খ্রিষ্টধর্ম পালন করে।

এদের আয়ের মূল উৎস হচ্ছে পান চাষ। খাসিয়া পান নামে পরিচিত এই অতি জনপ্রিয় পানের প্রায় পুরোটাই এই সম্প্রদায়ের লোকেরাই উৎপাদন করে থাকে।

খাসিয়ারা যেসব গ্রামে বসবাস করে সেগুলোকে খাসিয়া পুঞ্জি বলে। একেকটি পুঞ্জিতে গড়ে ৫০টির মতো খাসিয়া পরিবার বসবাস করে থাকে। প্রত্যেক খাসিয়াপুঞ্জি এক একজন নির্বাহী প্রধান কর্তৃক পরিচালিত হয়। খাসিয়া পুঞ্জির এই প্রধানকে মন্ত্রী বলে সম্বোধন করা হয়।

কমলগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল যাবার রাস্তার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত এই পুঞ্জিটি। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার পশ্চিমে। ঢাকা সিলেট রেল লাইনটিও এই পুঞ্জির পাশ দিয়ে চলে গেছে। এখানে প্রায় ৪০টির মতো খাসিয়া পরিবার বসবাস করে।

১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ডে অগ্নোৎপাত ঘটলে এখানে বসবাসরত খাসিয়ারা অবর্ণনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাদের জীবন, কর্ম ও পরিচিতি তৎকালীন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও স্থানলাভ করে।

কমলগঞ্জ উপজেলার সর্বদক্ষিণে ইসলামপুর ইউনিয়নাধীন রাজকান্দি মৌজা ভুক্ত কুরমা খাসিয়া পুঞ্জিতে ২০ থেকে ২৫টির মতো খাসিয়া পরিবার বসবাস করে। এই পুঞ্জিতে বেশির ভাগ খাসিয়া খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসী হলেও ৩/৪টি পরিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে জানা যায়।

ডবলছড়া খাসিয়া পূঞ্জিটি শমসেরনগর চা বাগান পেরিয়ে ডবলছড়া চা বাগানের পাশে পাহাড়ি ঢালু এলাকায় অবস্থিত। শমসেরনগর ইউনিয়নাধীন ডবলছড়া খাসিয়াপুঞ্জিতে ৫০টির অধিক পরিবার রয়েছে বলে জানা যায়। এদের সকলেই খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসী। ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতে উৎপাদিত পান শমসেরনগর বাজারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নাধীন কালেঞ্জি পুঞ্জিতে প্রায় ৮০টিরও অধিক খাসিয়া পরিবার বসবাস করে। এটি উপজেলার সর্ববৃহৎ খাসিয়া পুঞ্জি। এদের উৎপাদিত পান ভানুগাছ বাজারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

পাত্রখোলা খাসিয়াপুঞ্জি কমলগঞ্জ উপজেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত পাত্রখোলা চা বাগানে পাশে এই পুঞ্জিটির অবস্থান। এখানে খাসিয়া পরিবার রয়েছে প্রায় পঞ্চাশটি।

কমলগঞ্জ উপজেলায় উপরোক্ত খাসিয়াপুঞ্জি ছাড়াও কাঁটাবিল খাসিয়াপুঞ্জি ও খাসিপুর পুঞ্জি নামে ছোট দুটি পুঞ্জির অস্তিত্ব রয়েছে। মাঝে মধ্যে খাসিয়ারা পান চাষের সুবিধার্থে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় অস্থায়ী পুঞ্জি গড়ে তোলে বলেও জানা যায়।

back to top