alt

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণসংলাপ

জনগণের কাছে গিয়ে দ্বিমতের সমাধান খুঁজতে হবে: জোনায়েদ সাকি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, অংশীজনদের মধ্যে যে বিষয়গুলোতে দ্বিমত রয়েছে, সেগুলোর সমাধান জনগণের কাছে গিয়ে নিতে হবে। আর তা হতে হবে একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সব পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে দ্রুত জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে। তবে শুধু সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন নয়, প্রয়োজন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্রের চর্চা।

আলী রীয়াজ বলেন, "৫৩ বছর ধরে যারা দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের দায় রয়েছে।"

জোনায়েদ সাকি বলেন, "জনগণ যে মতামতের ওপর আস্থা রাখবেন, নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের বিজয়ী করবেন। আর বিজয়ীরাই রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের মতামত প্রতিফলিত করবেন।"

তিনি আরও বলেন, জনগণের মধ্যে পার্থক্য ও দ্বন্দ্ব থাকবেই, কিন্তু সেগুলোর মীমাংসা করাই রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব। আলোচনা থেকে যতটুকু ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, তার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন রাষ্ট্রীয় বন্দোবস্তের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ক্ষমতার দীর্ঘস্থায়ী প্রয়াসের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, "শেখ হাসিনা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাংলাদেশকে এক ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।"

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।

ছবি

সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় ২৫ কোটি টাকা খরচ করবে সরকার

ছবি

পলাতক ও দণ্ডিত আসামিদের বক্তব্য প্রচারে উদ্বেগ, সতর্ক করলো এনসিএসএ

ছবি

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

ছবি

নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

গাড়ি ভাঙচুর-পোড়ানোর মামলায় বিএমইউর চিকিৎসক গ্রেপ্তার, জামিন নামঞ্জুর

ছবি

এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদীকে নিবন্ধন দিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন

ছবি

নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুলের সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

হাসিনা-আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড: বিচারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলা আবশ্যক: এইচআরডব্লিউ

ছবি

দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি

ছবি

অ্যাপে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, ব্যালট ডাকযোগে

ছবি

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ কত

ছবি

নগদের সাবেক এমডিসহ সংশ্লিষ্টদের ৭৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

ছবি

একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু

ছবি

নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

কৃষি, বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়ে সিএ এবং ডাচ মন্ত্রীর আলোচনা

ছবি

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি

ছবি

লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি

ছবি

ভারতকে চিঠি দেবে সরকার

ছবি

যা বললো ভারত

ছবি

রাষ্ট্রনিযুক্ত হাসিনার আইনজীবী

ছবি

প্রধান কৌঁসুলি ও অ্যাটর্নি জেনারেল

ছবি

‘ঐতিহাসিক’ রায়: সরকার ও উপদেষ্টাদের প্রতিক্রিয়া

ছবি

হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

ছবি

ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৬ হাজার ছাড়িয়েছে: একদিনে আরও ১০০৭ জন হাসপাতালে

ছবি

জুলাই আন্দোলনের রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া, প্রত্যর্পণে ঢাকার পুনর্ব্যক্ত আহ্বান

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে ক্ষোভ—‘ন্যায্য সুযোগ পাইনি’, অভিযোগ শেখ হাসিনার

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড: জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকারের

ছবি

ভারতের কাছে শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত সরকারের

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আইসিটি-১ এর রায় ঘোষণা

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টা: শেখ হাসিনাসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড, প্রত্যার্পনের জন্য ভারতকে চিঠি পাঠানো হবে

ছবি

ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতার সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জনবল নিয়োগ চুক্তি সই

ছবি

‘জুলাই শহীদদের’ পরিচয় শনাক্তে বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে: আসিফ মাহমুদ

ছবি

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

tab

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণসংলাপ

জনগণের কাছে গিয়ে দ্বিমতের সমাধান খুঁজতে হবে: জোনায়েদ সাকি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, অংশীজনদের মধ্যে যে বিষয়গুলোতে দ্বিমত রয়েছে, সেগুলোর সমাধান জনগণের কাছে গিয়ে নিতে হবে। আর তা হতে হবে একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

সংলাপে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সব পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে দ্রুত জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে। তবে শুধু সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন নয়, প্রয়োজন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো গড়ে তোলা এবং গণতন্ত্রের চর্চা।

আলী রীয়াজ বলেন, "৫৩ বছর ধরে যারা দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের দায় রয়েছে।"

জোনায়েদ সাকি বলেন, "জনগণ যে মতামতের ওপর আস্থা রাখবেন, নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের বিজয়ী করবেন। আর বিজয়ীরাই রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের মতামত প্রতিফলিত করবেন।"

তিনি আরও বলেন, জনগণের মধ্যে পার্থক্য ও দ্বন্দ্ব থাকবেই, কিন্তু সেগুলোর মীমাংসা করাই রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব। আলোচনা থেকে যতটুকু ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, তার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন রাষ্ট্রীয় বন্দোবস্তের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ক্ষমতার দীর্ঘস্থায়ী প্রয়াসের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, "শেখ হাসিনা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাংলাদেশকে এক ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।"

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ, তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া ও জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।

back to top