নগরীর নিম্নআয়ের পরিবারের গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এখানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। এসব রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ, কখনও কখনও পথ্যও দেয়া হয় কেন্দ্রটি থেকে। কিন্তু গত আট মাস ধরে এ রুটিনে ব্যত্যয় ঘটেছে।
গত ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ বা পথ্য দিচ্ছে না কেন্দ্রটি
নেই উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দও
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা নগরের স্যার ইকবাল রোডে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রোগীদের ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ নেই গত ১১ মাস ধরে। এতে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারের জন্য ভর্তি হওয়া নারীদের কোনো ওষুধ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আউটডোরের রোগীদেরও ওষুধের সংকট রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। আগে এসব রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। তখন প্রতি মাসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ কেনার জন্য এক লাখ এবং পথ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। কিন্তু গত বছর জুন মাস থেকে কোনো অর্থবরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণত নিম্নআয়ের লোকজন সেবা নিতে আসে। কিন্তু ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এছাড়া এখানে প্রতিদিন আউটডোরে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী আসে। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধের সংকট রয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ ৫ জন কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এর ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. শাহেলা আকতার বলেন, রোগীদের সমস্যার কথা কয়েকবার অধিদপ্তরে জানিয়েছি। সর্বশেষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী মাস থেকে হয়তো ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ দেয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
নগরীর নিম্নআয়ের পরিবারের গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এখানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। এসব রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ, কখনও কখনও পথ্যও দেয়া হয় কেন্দ্রটি থেকে। কিন্তু গত আট মাস ধরে এ রুটিনে ব্যত্যয় ঘটেছে।
গত ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ বা পথ্য দিচ্ছে না কেন্দ্রটি
নেই উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দও
সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা নগরের স্যার ইকবাল রোডে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রোগীদের ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ নেই গত ১১ মাস ধরে। এতে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারের জন্য ভর্তি হওয়া নারীদের কোনো ওষুধ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আউটডোরের রোগীদেরও ওষুধের সংকট রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। আগে এসব রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। তখন প্রতি মাসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ কেনার জন্য এক লাখ এবং পথ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। কিন্তু গত বছর জুন মাস থেকে কোনো অর্থবরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণত নিম্নআয়ের লোকজন সেবা নিতে আসে। কিন্তু ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এছাড়া এখানে প্রতিদিন আউটডোরে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী আসে। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধের সংকট রয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ ৫ জন কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এর ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. শাহেলা আকতার বলেন, রোগীদের সমস্যার কথা কয়েকবার অধিদপ্তরে জানিয়েছি। সর্বশেষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী মাস থেকে হয়তো ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ দেয়া হবে।