alt

জাতীয়

ওষুধ কেনার অর্থ নেই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা : রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নগরীর নিম্নআয়ের পরিবারের গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এখানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। এসব রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ, কখনও কখনও পথ্যও দেয়া হয় কেন্দ্রটি থেকে। কিন্তু গত আট মাস ধরে এ রুটিনে ব্যত্যয় ঘটেছে।

গত ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ বা পথ্য দিচ্ছে না কেন্দ্রটি

নেই উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দও

সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা নগরের স্যার ইকবাল রোডে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রোগীদের ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ নেই গত ১১ মাস ধরে। এতে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারের জন্য ভর্তি হওয়া নারীদের কোনো ওষুধ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আউটডোরের রোগীদেরও ওষুধের সংকট রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। আগে এসব রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। তখন প্রতি মাসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ কেনার জন্য এক লাখ এবং পথ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। কিন্তু গত বছর জুন মাস থেকে কোনো অর্থবরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণত নিম্নআয়ের লোকজন সেবা নিতে আসে। কিন্তু ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।

এছাড়া এখানে প্রতিদিন আউটডোরে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী আসে। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধের সংকট রয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ ৫ জন কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এর ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. শাহেলা আকতার বলেন, রোগীদের সমস্যার কথা কয়েকবার অধিদপ্তরে জানিয়েছি। সর্বশেষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী মাস থেকে হয়তো ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ দেয়া হবে।

ছবি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত, অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার

ছবি

টঙ্গীতে কারখানা বন্ধ ঘোষণায় শ্রমিক বিক্ষোভ

রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি ১৮ মে

ছবি

শিক্ষার্থীদের নিয়ে থানার কার্যক্রম পরিদর্শন

ঐকমত্যের বাইরে সংস্কারের প্রয়োজন নেই: আমীর খসরু

ছবি

আড়াই মাসেও অপহৃত লিখনের সন্ধান মেলেনি

নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার অনন্তলোকে

ছবি

২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন, বাদ শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের নাম

ছবি

বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া চলছে

ছবি

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে নিহতের কন্যার আত্মহত্যা

১৭ হাজার ৭৭৭ জন মালয়েশিয়া যেতে না পারার ‘সব দায়’ রিক্রুটিং এজেন্সির

ছবি

আরেক হত্যা মামলা : হাসিনার সঙ্গে অভিনেতা, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ আসামি ৪০৭

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ

আইএমএফের ঋণে অনিশ্চয়তা, ‘আর্থিক’ সংকট না হলেও ‘ইমেজ’ সংকটের আশঙ্কা

পাঠ্যবই মুদ্রণ: কাগজ আমদানি নিয়ে ‘ত্রিমুখী’ অবস্থান

ছবি

পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

বাংলাদেশ চায় ভারত-পাকিস্তান সমস্যার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

গুজরাটে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি

ছবি

দক্ষিণাঞ্চলের গ্রিড বিপর্যয়ে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

জনগণের কাছে গিয়ে দ্বিমতের সমাধান খুঁজতে হবে: জোনায়েদ সাকি

ছবি

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলা: শফিক রেহমানের খালাসে রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি নেই

ছবি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ৪ মে

ছবি

পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে রোম ছেড়েছেন অধ্যাপক ইউনূস

ছবি

পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার শহীদকন্যার ঢাকায় আত্মহত্যা

ছবি

‘ভিত্তিমূল্য’ নির্ধারণ করে পুনর্মূল্যায়ন হবে বিদ্যুতের দাম: উপদেষ্টা

ছবি

আন্দোলনের মধ্যে ইউআইইউতে ভিসিসহ ১২ জনের পদত্যাগ

রাজধানীতে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার বাসার নিরাপত্তাকর্মী

শাহজালালে পোশাকে লেপ্টে ৫ কোটি টাকার স্বর্ণ পাচারে যুবক গ্রেপ্তার

ছবি

কেমন আছেন সিলেট অঞ্চলে খাসিয়ারা

ঝটিকা মিছিল: ৭ দিনে ছাত্রলীগ ও আ’লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

সিনহা হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্নের দাবি সাবেকদের

এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির ‘ঘোষণা’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

ছবি

চাহিদার চেয়ে চালের উৎপাদন বেশি, তবুও দাম আকাশছোঁয়া, কারণ কী?

ছবি

রাঙামাটিতে পিকআপ ও অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৬

‘উন্নত চিকিৎসার নামে নাপা ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে’

tab

জাতীয়

ওষুধ কেনার অর্থ নেই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

নগরীর নিম্নআয়ের পরিবারের গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এখানে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। এসব রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ, কখনও কখনও পথ্যও দেয়া হয় কেন্দ্রটি থেকে। কিন্তু গত আট মাস ধরে এ রুটিনে ব্যত্যয় ঘটেছে।

গত ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ বা পথ্য দিচ্ছে না কেন্দ্রটি

নেই উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দও

সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনা নগরের স্যার ইকবাল রোডে অবস্থিত সরকারি প্রতিষ্ঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রোগীদের ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ নেই গত ১১ মাস ধরে। এতে নরমাল ডেলিভারি ও সিজারের জন্য ভর্তি হওয়া নারীদের কোনো ওষুধ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আউটডোরের রোগীদেরও ওষুধের সংকট রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ পাঁচ কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২টি সিজার ও ৫০ থেকে ৬০টি নরমাল ডেলিভারি হয়ে থাকে। আগে এসব রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হতো। তখন প্রতি মাসে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ওষুধ কেনার জন্য এক লাখ এবং পথ্য কেনার জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হতো। কিন্তু গত বছর জুন মাস থেকে কোনো অর্থবরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় ৮ মাস ধরে রোগীদের কোনো ওষুধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই প্রতিষ্ঠানটিতে সাধারণত নিম্নআয়ের লোকজন সেবা নিতে আসে। কিন্তু ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।

এছাড়া এখানে প্রতিদিন আউটডোরে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী আসে। কিন্তু তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধের সংকট রয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়ন ও আউটসোর্সিং খাতে নিয়োগ পাওয়া নার্সসহ ৫ জন কর্মচারীর বেতন বরাদ্দ নেই গত ৮ মাস। এর ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ডা. শাহেলা আকতার বলেন, রোগীদের সমস্যার কথা কয়েকবার অধিদপ্তরে জানিয়েছি। সর্বশেষ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী মাস থেকে হয়তো ওষুধ কেনার জন্য অর্থবরাদ্দ দেয়া হবে।

back to top