অপরাধভীতি দূর ও বিপদে পড়লে কীভাবে উদ্ধার হবে তা জানাতে নতুন এই উদ্যোগ
রাজশাহীর হেলেনাবাদ উপজেলায় ৮ জেলার স্কুল শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
পুলিশকে জানো, নিরাপদ থাকো এবং পুলিশের কাজে সহায়তা করো এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে থানা পরিদর্শন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। রোববার,(২৭ এপ্রিল ২০২৫) রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে শিশু ও কিশোর শিক্ষার্থীদের পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে আগামী দিনগুলোতে পুলিশের কাজে শিশু ও কিশোররা সহযোগী হিসেবে পাওয়া যায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান, আমাদের কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে দিন বদলের যে পুলিশিং তাতে খুদে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তা পুলিশ স্টেশনে (থানায়) গিয়ে কী দেখল তার একটি বার্তা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানাবেন।
এই বার্তা পুলিশ সম্পর্কে আমাদের খুদে শিক্ষার্থীদের মনোভাব জানতে পারবে। আগামীদিনে এই কর্মসূচি খুদে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। দেশে একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকর ফল দিবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা আশাবাদী।
কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শিশু শিক্ষার্থীরা জেলার নিকটস্থ থানায় পরিদর্শনের সময়, থানায় পুলিশ কীভাবে জিডি, মামলা করতে হয়। তা জানবে। আর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কীভাবে নিজেকে উদ্ধার করবে, বাল্যবিবাহ কীভাবে বন্ধ করবে, কোন কাজ ভালো আর কোন কাজ খারাপ তা তারা হাতে-কলমে থানা পরিদর্শনে গিয়ে শিখবে।
এমনকি পুলিশ সম্পর্কে তাদের খারাপ, ভালো ধারণা থাকলেও তাও পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। থানায় পুলিশ নিয়ে ভীতিকর অবস্থা সম্পর্কে তাদের ধারণা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তারা পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা থাকলে তাও অবহিত করবে। এমনকি তাদের মতামত ও গাইডলাইনও পুলিশকে অনুপ্রাণিত করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাবে।
রাজশাহী বিভাগের পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহ্জাহান রোববার সন্ধ্যায় সংবাদকে জানান, এই ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এর ফলে শিশুদের ভীতি কমবে। জনতা পুলিশ সম্পর্ক উন্নত হবে। নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিশুরা ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাঠপর্যায় থেকে জানা গেছে, থানার ওসিসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সরজমিনে পুলিশের কাজ পরিদর্শন করবেন শিক্ষার্থীরা। তারা নিজবাড়িতে এবং এলাকায় অপরাধের শিকার হলে তা থানা পুলিশকে কীভাবে অবহিত করবে তা সম্পর্কে জানতে পারবে। বাল্যবিয়ে কীভাবে রোধ করতে হবে তাও তারা জানতে পারবে। রোববার রাজশাহী বিভাগে এই প্রথম এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ,বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলাসহ (মোট ৮ জেলায়) ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে এই কর্মসূচি চলবে। এ কর্মসূচি সফল হলে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলা ও বিভাগ চালু হতে পারে।
আসছে পুলিশ সপ্তাহ এবং পুলিশ সংস্কার আইনে পুলিশকে জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোগে পুলিশ কাজ করছে। এছাড়াও গেল বছর জুলাই আন্দোলনে গণঅভুত্থানের পর
দেশজুড়ে পুলিশ নিয়ে যে ধারণা জন্মেছে তা থেকে উত্তরণে পুলিশের সংস্কার, পুলিশের পোশাকসহ অনেক কিছুই পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মাঠপর্যায়ের পুলিশের এখনও আচরণের পরিবর্তন হয়নি। অনেকেই এখনও নানাভাবে অনিয়ম করছে। তবে আগের চেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করছেন। পুলিশের ওপর থেকে যতই ব্যবস্থা ও উদ্যোগ নেয়া হয় মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর হলে পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
অপরাধভীতি দূর ও বিপদে পড়লে কীভাবে উদ্ধার হবে তা জানাতে নতুন এই উদ্যোগ
রাজশাহীর হেলেনাবাদ উপজেলায় ৮ জেলার স্কুল শিক্ষার্থীরা -সংবাদ
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
পুলিশকে জানো, নিরাপদ থাকো এবং পুলিশের কাজে সহায়তা করো এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে থানা পরিদর্শন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। রোববার,(২৭ এপ্রিল ২০২৫) রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে শিশু ও কিশোর শিক্ষার্থীদের পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে আগামী দিনগুলোতে পুলিশের কাজে শিশু ও কিশোররা সহযোগী হিসেবে পাওয়া যায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান, আমাদের কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে দিন বদলের যে পুলিশিং তাতে খুদে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তা পুলিশ স্টেশনে (থানায়) গিয়ে কী দেখল তার একটি বার্তা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানাবেন।
এই বার্তা পুলিশ সম্পর্কে আমাদের খুদে শিক্ষার্থীদের মনোভাব জানতে পারবে। আগামীদিনে এই কর্মসূচি খুদে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। দেশে একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকর ফল দিবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা আশাবাদী।
কয়েকজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, শিশু শিক্ষার্থীরা জেলার নিকটস্থ থানায় পরিদর্শনের সময়, থানায় পুলিশ কীভাবে জিডি, মামলা করতে হয়। তা জানবে। আর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কীভাবে নিজেকে উদ্ধার করবে, বাল্যবিবাহ কীভাবে বন্ধ করবে, কোন কাজ ভালো আর কোন কাজ খারাপ তা তারা হাতে-কলমে থানা পরিদর্শনে গিয়ে শিখবে।
এমনকি পুলিশ সম্পর্কে তাদের খারাপ, ভালো ধারণা থাকলেও তাও পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। থানায় পুলিশ নিয়ে ভীতিকর অবস্থা সম্পর্কে তাদের ধারণা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তারা পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা থাকলে তাও অবহিত করবে। এমনকি তাদের মতামত ও গাইডলাইনও পুলিশকে অনুপ্রাণিত করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাবে।
রাজশাহী বিভাগের পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহ্জাহান রোববার সন্ধ্যায় সংবাদকে জানান, এই ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এর ফলে শিশুদের ভীতি কমবে। জনতা পুলিশ সম্পর্ক উন্নত হবে। নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিশুরা ভবিষ্যতে অবদান রাখতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাঠপর্যায় থেকে জানা গেছে, থানার ওসিসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সরজমিনে পুলিশের কাজ পরিদর্শন করবেন শিক্ষার্থীরা। তারা নিজবাড়িতে এবং এলাকায় অপরাধের শিকার হলে তা থানা পুলিশকে কীভাবে অবহিত করবে তা সম্পর্কে জানতে পারবে। বাল্যবিয়ে কীভাবে রোধ করতে হবে তাও তারা জানতে পারবে। রোববার রাজশাহী বিভাগে এই প্রথম এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ,বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলাসহ (মোট ৮ জেলায়) ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে এই কর্মসূচি চলবে। এ কর্মসূচি সফল হলে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলা ও বিভাগ চালু হতে পারে।
আসছে পুলিশ সপ্তাহ এবং পুলিশ সংস্কার আইনে পুলিশকে জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোগে পুলিশ কাজ করছে। এছাড়াও গেল বছর জুলাই আন্দোলনে গণঅভুত্থানের পর
দেশজুড়ে পুলিশ নিয়ে যে ধারণা জন্মেছে তা থেকে উত্তরণে পুলিশের সংস্কার, পুলিশের পোশাকসহ অনেক কিছুই পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মাঠপর্যায়ের পুলিশের এখনও আচরণের পরিবর্তন হয়নি। অনেকেই এখনও নানাভাবে অনিয়ম করছে। তবে আগের চেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করছেন। পুলিশের ওপর থেকে যতই ব্যবস্থা ও উদ্যোগ নেয়া হয় মাঠ পর্যায়ে তা কার্যকর হলে পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।