alt

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে রোমাঞ্চকর লাসুবন গিরিখাত

সংগ্রাম দত্ত, প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল : সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

সিন্দুরখান ইউনিয়নে জঙ্গলবেষ্টিত এলাকায় লাসুবন গিরিখাত -সংবাদ

দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত ও পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীন লাসুবন গিরিখাত।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গল বেষ্টিত পাহাড়ি এলাকা এটি। খাসি ভাষায় লাসুবন শব্দের অর্থ পাহাড়ি ফুল বা জংলি ফুল। লাসুবন গিরিখাত নাম হলেও শ্রীমঙ্গল গিরিখাত নামেই স্থানীয়রা চেনে বেশি। ছোট-বড় অনেক পাথুরে ছড়া আছে এই গিরিখাতে। এই এলাকায় ইতোমধ্যে বড় তিনটি গিরিখাত সম্প্রতি নজরে এসেছে সবার। স্থানীয় খাসি ভাষায় ক্রেম ক্লু, ক্রেম কেরি ও ক্রেম উল্কা নামে বড় তিন গিরিখাত পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ হতে পারে।

লাসুবন গিরিখাতগুলোর কোনোটা এক কিলোমিটার আবার কোনোটা এর চেয়ে কম। কিছু কিছু জায়গা আছে খাড়া পাথরের পাহাড়। গিরিখাত এলাকাটি পড়েছে স্থানীয় নাহার খাসিয়া পুঞ্জির ভেতরে। লাংগুলিয়া ছড়া নামের একটি পাহাড়ি ছড়া ধরে পুরো এলাকাটি ঘুরে আসা যায়। এই লাংগুলিয়া ছড়াটি ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ বেয়ে মিশেছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস ছড়ায়। সাপের মতো আঁকাবাঁকা ছড়ার সঙ্গে মিশেছে আরও প্রায় শ’খানেক ছোট-বড় পাথুরে ছড়া। এর মধ্যে কয়েকটি গিরিখাত রয়েছে। পাহাড় থেকে শ’পাঁচেক ফুট নিচে এসব গিরিখাত কোথাও বড় আবার কোথাও সরু। বৃষ্টি নেই তবুও অনবরত টুপ টুপ করে পানির বড় বড় ফোঁটা পাথরের গা থেকে নিচে পড়ছে। সূর্যের আলো এখানে লুকোচুরি খেলে। একেবারে নিচের বা ভেতরের অংশে সূর্যের আলো পৌঁছানোর সুযোগ নেই। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। রয়েছে ছোট ছোট ঝিরিধারায় অবিরাম জলের শব্দ। তবে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি থাকে পাহাড়ের বুক বেয়ে নেমে আসা এসব ছোট ঝিরিগুলোতে।

লাসুবন যেতে হলে প্রথমে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে জিপ বা মোটরসাইকেল নিয়ে সিন্দুরখান যেতে হবে। সিন্দুরখান পৌঁছে হরিণছড়া চা বাগানের কাছে যেয়ে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে লাসুবনের পথ। চাইলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে গাইড হিসেবে। তারপর হেঁটে কয়েক কিলোমিটার যেতে হয়। এই হাঁটার পথটি পুরোটাই পাহাড়ি ছড়া ও খাড়া পাহাড়-টিলাবেষ্টিত।

ছবি

সাম্য হত্যাকাণ্ড: ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের, শাহবাগ থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি

ইশরাককে মেয়র ঘোষণা: আইনী পরামর্শ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি ২৭ জনের

পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর থাকবে: ডিএমপি

প্রতারণার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

দেশের গণমাধ্যম অবারিত স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রেস সচিব

ছবি

পলিসি ব্রেকফাস্ট: নির্মল বায়ু আইন তৈরি ও জ্বালানি নীতিমালা হালনাগাদের দাবি

কলেজ থেকে তুলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ, তিন জনের যাবজ্জীবন

ছবি

সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে: রিজভী

ছবি

খুমেক : অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্যসেবা, সংক্রামক রোগের ঝুঁকি

মোকতাদির ও আরিফসহ ৬ জনের দেশত্যাগ নিষেধ

জাপানের কাছে আরও বেশি ঋণ ও বাজেট সহায়তা চায় বাংলাদেশ

উপদেষ্টা মাহফুজকে বোতল ছুড়লো কে? ‘খুঁজছে’ পুলিশ

কিছু প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছানো খুব কঠিন : বাসদ

দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস, পিও ও এনসিপি নেতাকে ডেকেছে দুদক

নগদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অস্থিরতা শুরু

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন, ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে সূচক

ছবি

দাবি আদায়ে জগন্নাথে ‘শাটডাউন’: তিন দফার সঙ্গে ‘পুলিশি হামলার’ বিচারের দাবি আন্দোলনকারীদের

ছবি

ছাত্রদল নেতাদের ‘তুই’ সম্বোধনে ক্ষোভ, উপাচার্যের সমালোচনায় রিজভী

ছবি

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে ভারত

ছবি

জবির যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে এত গড়িমসি কেন? প্রশ্ন সারজিসের

সাবেক সেনাসদস্যদের প্রতি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ: আইএসপিআর

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ করতে সাত দফা সিদ্ধান্ত

ছবি

আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, উপদেষ্টার ওপর বোতল নিক্ষেপে উত্তপ্ত কাকরাইল

ছবি

‘চল চল যমুনা যাই’ এই রাজনীতি আর হতে দেব না : মাহফুজ আলম

তারিক সিদ্দিকীর সাড়ে ৬ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাজশাহী নার্সিং কলেজ

‘লও ঠেলা’ গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

লরি ঠেলে সন্তানকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা, সারারাত দাঁড়িয়ে ছিল মা হাতি

ছবি

নগদের বিরুদ্ধে ২৩শ’ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’ ও ‘অর্থ পাচার প্রমাণের’ কথা জানালো দুদক

ছবি

নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট

ছবি

তীব্র গরমে চরম স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন গর্ভবতীরা

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা সেরাদের হাতে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যা : উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মিছিল-সমাবেশ

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন টিউলিপ : দুদক চেয়ারম্যান

ছবি

সীমান্ত দিয়ে আরও ৬০ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ

tab

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে রোমাঞ্চকর লাসুবন গিরিখাত

সংগ্রাম দত্ত, প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল

সিন্দুরখান ইউনিয়নে জঙ্গলবেষ্টিত এলাকায় লাসুবন গিরিখাত -সংবাদ

সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত ও পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীন লাসুবন গিরিখাত।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গল বেষ্টিত পাহাড়ি এলাকা এটি। খাসি ভাষায় লাসুবন শব্দের অর্থ পাহাড়ি ফুল বা জংলি ফুল। লাসুবন গিরিখাত নাম হলেও শ্রীমঙ্গল গিরিখাত নামেই স্থানীয়রা চেনে বেশি। ছোট-বড় অনেক পাথুরে ছড়া আছে এই গিরিখাতে। এই এলাকায় ইতোমধ্যে বড় তিনটি গিরিখাত সম্প্রতি নজরে এসেছে সবার। স্থানীয় খাসি ভাষায় ক্রেম ক্লু, ক্রেম কেরি ও ক্রেম উল্কা নামে বড় তিন গিরিখাত পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ হতে পারে।

লাসুবন গিরিখাতগুলোর কোনোটা এক কিলোমিটার আবার কোনোটা এর চেয়ে কম। কিছু কিছু জায়গা আছে খাড়া পাথরের পাহাড়। গিরিখাত এলাকাটি পড়েছে স্থানীয় নাহার খাসিয়া পুঞ্জির ভেতরে। লাংগুলিয়া ছড়া নামের একটি পাহাড়ি ছড়া ধরে পুরো এলাকাটি ঘুরে আসা যায়। এই লাংগুলিয়া ছড়াটি ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ বেয়ে মিশেছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস ছড়ায়। সাপের মতো আঁকাবাঁকা ছড়ার সঙ্গে মিশেছে আরও প্রায় শ’খানেক ছোট-বড় পাথুরে ছড়া। এর মধ্যে কয়েকটি গিরিখাত রয়েছে। পাহাড় থেকে শ’পাঁচেক ফুট নিচে এসব গিরিখাত কোথাও বড় আবার কোথাও সরু। বৃষ্টি নেই তবুও অনবরত টুপ টুপ করে পানির বড় বড় ফোঁটা পাথরের গা থেকে নিচে পড়ছে। সূর্যের আলো এখানে লুকোচুরি খেলে। একেবারে নিচের বা ভেতরের অংশে সূর্যের আলো পৌঁছানোর সুযোগ নেই। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। রয়েছে ছোট ছোট ঝিরিধারায় অবিরাম জলের শব্দ। তবে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি থাকে পাহাড়ের বুক বেয়ে নেমে আসা এসব ছোট ঝিরিগুলোতে।

লাসুবন যেতে হলে প্রথমে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে জিপ বা মোটরসাইকেল নিয়ে সিন্দুরখান যেতে হবে। সিন্দুরখান পৌঁছে হরিণছড়া চা বাগানের কাছে যেয়ে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে লাসুবনের পথ। চাইলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে গাইড হিসেবে। তারপর হেঁটে কয়েক কিলোমিটার যেতে হয়। এই হাঁটার পথটি পুরোটাই পাহাড়ি ছড়া ও খাড়া পাহাড়-টিলাবেষ্টিত।

back to top