পুলিশ সপ্তাহের মতবিনিময়
নাগরিকদের প্রত্যাশা একটি পেশাদার, জনবান্ধব পুলিশ বাহিনীর। তবে বিশিষ্টজনদের মতে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কখনোই একটি স্বাধীন ও দক্ষ পুলিশবাহিনী গঠনে আগ্রহ দেখায়নি। এ কারণে পুলিশ বাহিনী দমনমূলক চরিত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা এখনই সংস্কার প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি ছিল পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর অংশ। এতে সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, "রাজনীতিবিদরা কখনো পুলিশকে পেশাদার হতে দেয়নি। এমনকি একাত্তরের পরও আইন-কানুন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবই আজকের পরিস্থিতির মূল কারণ।"
সভায় মুখ্য আলোচক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, "পুলিশ বাহিনী আজ এক অদ্ভুত অবস্থায় আছে। জনগণের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তন নয়, অভ্যন্তরীণ সংস্কার জরুরি।"
নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, "রাষ্ট্র যখন নিপীড়নমূলক হয়, তখন পুলিশ কখনোই জনতার হয়ে কাজ করতে পারে না। পুলিশকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে হলে বুদ্ধিমত্তা, সংবেদনশীলতা ও স্বাধীনতার চর্চা করতে হবে।"
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “পুলিশ কেবল আইন প্রয়োগ করে না, তারা জনগণের অধিকার ও মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার দায়িত্বও পালন করে। জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের প্রকৃত শক্তি।”
সভায় বক্তারা ১৮৬১ সালের পুরনো পুলিশ আইন সংস্কারের দাবি জানান। পাশাপাশি, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকেও অনেকেই পর্যাপ্ত না বলে সমালোচনা করেন। তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে সংস্কারের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, স্বাধীন কমিশন, এবং পুলিশ বাহিনীর ভিতর থেকে সাহসিক সংস্কার।
পুলিশ যেন নিরীহ মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়—এই প্রত্যাশা প্রকাশ করেন শিল্পী, লেখক ও নাগরিক প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, পুলিশের উচিত হবে অপরাধ দমন, মিথ্যা মামলা বন্ধ, এবং সব শ্রেণির মানুষের জন্য সমানসুবিধা নিশ্চিত করা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকী, শিল্পপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, গায়ক আসিফ আকবরসহ অনেকে।
পুলিশ সপ্তাহের মতবিনিময়
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
নাগরিকদের প্রত্যাশা একটি পেশাদার, জনবান্ধব পুলিশ বাহিনীর। তবে বিশিষ্টজনদের মতে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব কখনোই একটি স্বাধীন ও দক্ষ পুলিশবাহিনী গঠনে আগ্রহ দেখায়নি। এ কারণে পুলিশ বাহিনী দমনমূলক চরিত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা এখনই সংস্কার প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে ‘নাগরিক ভাবনায় জনতার পুলিশ: নিরাপত্তা ও আস্থার বন্ধন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি ছিল পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর অংশ। এতে সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, "রাজনীতিবিদরা কখনো পুলিশকে পেশাদার হতে দেয়নি। এমনকি একাত্তরের পরও আইন-কানুন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবই আজকের পরিস্থিতির মূল কারণ।"
সভায় মুখ্য আলোচক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, "পুলিশ বাহিনী আজ এক অদ্ভুত অবস্থায় আছে। জনগণের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমছে। শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তন নয়, অভ্যন্তরীণ সংস্কার জরুরি।"
নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, "রাষ্ট্র যখন নিপীড়নমূলক হয়, তখন পুলিশ কখনোই জনতার হয়ে কাজ করতে পারে না। পুলিশকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে হলে বুদ্ধিমত্তা, সংবেদনশীলতা ও স্বাধীনতার চর্চা করতে হবে।"
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “পুলিশ কেবল আইন প্রয়োগ করে না, তারা জনগণের অধিকার ও মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার দায়িত্বও পালন করে। জনগণের আস্থা অর্জনই পুলিশের প্রকৃত শক্তি।”
সভায় বক্তারা ১৮৬১ সালের পুরনো পুলিশ আইন সংস্কারের দাবি জানান। পাশাপাশি, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকেও অনেকেই পর্যাপ্ত না বলে সমালোচনা করেন। তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে সংস্কারের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, স্বাধীন কমিশন, এবং পুলিশ বাহিনীর ভিতর থেকে সাহসিক সংস্কার।
পুলিশ যেন নিরীহ মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়—এই প্রত্যাশা প্রকাশ করেন শিল্পী, লেখক ও নাগরিক প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, পুলিশের উচিত হবে অপরাধ দমন, মিথ্যা মামলা বন্ধ, এবং সব শ্রেণির মানুষের জন্য সমানসুবিধা নিশ্চিত করা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম, অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকী, শিল্পপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, অধ্যাপক সায়মা ফেরদৌস, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, গায়ক আসিফ আকবরসহ অনেকে।