রাখাইন রাজ্যে চলমান মানবিক সংকটে জাতিসংঘ ‘মানবিক করিডোর’ খুলতে উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, “মানবিক করিডোরে আমরা রাজি যদি জাতিসংঘ এটার উদ্যোগ নেয়। এই পুরো বিষয়টি হবে দুইটি দেশের সঙ্গে কথা বলে। জাতিসংঘ যখন কাজ করে তখন সংশ্লিষ্টদের—মায়ানমার সরকার ও আমাদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “রাখাইনে গৃহযুদ্ধের মতো সহিংসতা চলছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সেখানকার মানুষের জন্য মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। তাই ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর’ নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ আসছে। তবে এটা এখনো অনেক দূরের বিষয়। যখন বাস্তব সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আসবে, তখন সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ঢাকা সফরের পর প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান ৮ এপ্রিল মানবিক সহায়তা করিডোর সংক্রান্ত ধারণার কথা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ২১ এপ্রিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, নীতিগতভাবে সরকার ‘মানবিক প্যাসেজ’-এর বিষয়ে সম্মত, তবে কিছু শর্ত পূরণ হলেই এটি কার্যকর করা হবে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক তৈরি হলে মঙ্গলবার এক ফেইসবুক পোস্টে প্রেস সচিব জানান, জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতাকে ‘প্রিম্যাচিউর’ বা সময়ের আগের প্রতিক্রিয়া বলে মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ ও অপারেটর নিয়োগ সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে চাই, যাদের আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে এবং যারা বিশ্বের বহু বন্দরে সফলভাবে কাজ করেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বমানের কোম্পানির মাধ্যমে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো।”
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব বিনিয়োগ চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব বন্দরের সম্মিলিত সক্ষমতা বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ ৭০ হাজার কন্টেইনার। ২০৩০ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ৭৮ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্র সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য
রাষ্ট্র সংস্কার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, “শেখ হাসিনা যে ভঙ্গুর অর্থনীতি রেখে গেছেন, তা থেকে দেশকে বের করে আনাই এই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ। আমাদের শহীদ তরুণরা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছে। অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এই সংস্কারের অন্যতম অংশ।”
তিনি বলেন, “সব কাজ শেষ করে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই হবে এই সরকারের শেষ কাজ।”
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
রাখাইন রাজ্যে চলমান মানবিক সংকটে জাতিসংঘ ‘মানবিক করিডোর’ খুলতে উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, “মানবিক করিডোরে আমরা রাজি যদি জাতিসংঘ এটার উদ্যোগ নেয়। এই পুরো বিষয়টি হবে দুইটি দেশের সঙ্গে কথা বলে। জাতিসংঘ যখন কাজ করে তখন সংশ্লিষ্টদের—মায়ানমার সরকার ও আমাদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “রাখাইনে গৃহযুদ্ধের মতো সহিংসতা চলছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ সেখানকার মানুষের জন্য মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। তাই ‘হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর’ নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ আসছে। তবে এটা এখনো অনেক দূরের বিষয়। যখন বাস্তব সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আসবে, তখন সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ঢাকা সফরের পর প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান ৮ এপ্রিল মানবিক সহায়তা করিডোর সংক্রান্ত ধারণার কথা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ২১ এপ্রিল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, নীতিগতভাবে সরকার ‘মানবিক প্যাসেজ’-এর বিষয়ে সম্মত, তবে কিছু শর্ত পূরণ হলেই এটি কার্যকর করা হবে।
এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক তৈরি হলে মঙ্গলবার এক ফেইসবুক পোস্টে প্রেস সচিব জানান, জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে এখনও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতাকে ‘প্রিম্যাচিউর’ বা সময়ের আগের প্রতিক্রিয়া বলে মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব শফিকুল আলম চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ ও অপারেটর নিয়োগ সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে চাই, যাদের আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে এবং যারা বিশ্বের বহু বন্দরে সফলভাবে কাজ করেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বমানের কোম্পানির মাধ্যমে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো।”
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব বিনিয়োগ চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব বন্দরের সম্মিলিত সক্ষমতা বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ ৭০ হাজার কন্টেইনার। ২০৩০ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ৭৮ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্র সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য
রাষ্ট্র সংস্কার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রেস সচিব বলেন, “শেখ হাসিনা যে ভঙ্গুর অর্থনীতি রেখে গেছেন, তা থেকে দেশকে বের করে আনাই এই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল কাজ। আমাদের শহীদ তরুণরা রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলেছে। অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এই সংস্কারের অন্যতম অংশ।”
তিনি বলেন, “সব কাজ শেষ করে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই হবে এই সরকারের শেষ কাজ।”
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি।