ভিজিট ভিসায় হজ পালনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি সরকার। সেই প্রেক্ষিতে অনুমতি ছাড়া কেউ যেন হজ পালনের চেষ্টা না করেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রক্ষায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা পবিত্র স্থানগুলোতে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, হজ পারমিট ছাড়া মক্কায় প্রবেশ বা পবিত্র স্থানসমূহে অবস্থান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ধরনের নিয়ম লঙ্ঘন করলে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা, এমনকি বিদেশিদের ক্ষেত্রে বহিষ্কার ও ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
এছাড়া যারা ভিজিট ভিসাধারীদের হজ পালনে সহায়তা করবেন— যেমন: পরিবহন, আবাসন, সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশে সাহায্য ইত্যাদি— তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত যানবাহন পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “সৌদি সরকারের বিধিনিষেধ অনুসরণ করা শুধু দায়িত্ব নয়, বরং এটি বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা রক্ষার বিষয়।” তিনি হজের পবিত্রতা রক্ষা ও আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে সকলের সচেতনতা কামনা করেন।
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, “হজ একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা। সৌদি আরব হজ ব্যবস্থাপনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। অংশীজনদের সহযোগিতা ছাড়া এটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও জানান, সরকার ২০২৫ সালের হজকে সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এ বছর জিলকদ মাসের ১ তারিখ (২৯ এপ্রিল) থেকে জিলহজের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত সময়টিকে নজরদারির আওতায় রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে পারমিট ছাড়া মক্কা বা আশপাশের এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সকল বাংলাদেশি মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, হজের মতো পবিত্র ইবাদত যেন যথাযথ নিয়মে এবং অনুমতি সাপেক্ষেই পালন করা হয়।
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
ভিজিট ভিসায় হজ পালনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি সরকার। সেই প্রেক্ষিতে অনুমতি ছাড়া কেউ যেন হজ পালনের চেষ্টা না করেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রক্ষায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা পবিত্র স্থানগুলোতে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, হজ পারমিট ছাড়া মক্কায় প্রবেশ বা পবিত্র স্থানসমূহে অবস্থান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এ ধরনের নিয়ম লঙ্ঘন করলে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা, এমনকি বিদেশিদের ক্ষেত্রে বহিষ্কার ও ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।
এছাড়া যারা ভিজিট ভিসাধারীদের হজ পালনে সহায়তা করবেন— যেমন: পরিবহন, আবাসন, সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশে সাহায্য ইত্যাদি— তাদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত যানবাহন পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “সৌদি সরকারের বিধিনিষেধ অনুসরণ করা শুধু দায়িত্ব নয়, বরং এটি বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা রক্ষার বিষয়।” তিনি হজের পবিত্রতা রক্ষা ও আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে সকলের সচেতনতা কামনা করেন।
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, “হজ একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা। সৌদি আরব হজ ব্যবস্থাপনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। অংশীজনদের সহযোগিতা ছাড়া এটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও জানান, সরকার ২০২৫ সালের হজকে সফল করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এ বছর জিলকদ মাসের ১ তারিখ (২৯ এপ্রিল) থেকে জিলহজের ১৪ তারিখ (১০ জুন) পর্যন্ত সময়টিকে নজরদারির আওতায় রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে পারমিট ছাড়া মক্কা বা আশপাশের এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সকল বাংলাদেশি মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, হজের মতো পবিত্র ইবাদত যেন যথাযথ নিয়মে এবং অনুমতি সাপেক্ষেই পালন করা হয়।