৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত ২১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ২২৭ জনের বিষয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ আসায় তাদের সাময়িকভাবে বাদ রেখে গত ৩০ ডিসেম্বর ১৮৯৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাদ পড়া প্রার্থীরা গেজেটভুক্তির দাবিতে জানুয়ারি থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আসছিলেন। ৯ জানুয়ারি তারা জনপ্রশাসন সচিব বরাবর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। সচিব মোখলেছ উর রহমান বলেন, “ফৌজদারি কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিল অথবা এমন কোনো হিডেন অপরাধ করেছে, যেটা সামনে আসছে- এমন ছাড়া অন্যদের নিয়োগপ্রাপ্তি শুধু একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার, তারা এটি পাবে।”
তবে এই আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২৯ এপ্রিল থেকে ছয় চাকরিপ্রার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। তারা হলেন, মো. ফয়সাল চোকদার, মো. মতিউর রহমান, এম এ হান্নান সরকার, দেবাশীষ ঘোষ ও সমরজিৎ চক্রবর্তী। তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা যখন ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম, সেটি শুধুমাত্র কোটা নিয়ে ছিল না। আমরা কোটার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভেরিফিকেশনের নামে যে হয়রানি তা নিরসনের দাবি জানিয়েছিলাম, যা এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।”
নুর বলেন, “৪৩তম বিসিএসের যাদের বাদ দেওয়া হল এটা তাদের সাথে বৈষম্য। এটা জুলাই আন্দোলনের চেতনার সাথে যায় না। কেউ যদি ফৌজদারি অপরাধ করে থাকে, নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকে, শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজ করে বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়, তাহলে তাদের বাদ দেওয়া হোক। কিন্তু এটা যেটা করেছে তা হচ্ছে মন চাইল, তাই বাদ দিয়ে দিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগের গুণ্ডারা শিক্ষার্থীদের হলের একটা সিটের বিনিময়ে নির্যাতন করেছে। তাদের মিছিল মিটিংয়ে আসলে সিট আছে, না হলে সিট নেই। নারীদের লাঞ্ছিত করেছে। তাই, তাদের প্রতি আমাদের কোন সহানূভূতি নেই। আপনারা যারা সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে বঞ্চিত হয়েছেন, আপনারা আজকে আল্টিমেটাম দেন, আমরা আপনাদের সাথে আছি।”
নুর আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের কিছু হলে সেখানে সবার আগে এ উপদেষ্টাদের ছুটে আসার কথা। অথচ তাদের আজ কোনো খবর নেই। আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সাথে কথা বলেছি। দরকার হলে আবার বলব।”
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত ২১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ২২৭ জনের বিষয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ আসায় তাদের সাময়িকভাবে বাদ রেখে গত ৩০ ডিসেম্বর ১৮৯৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাদ পড়া প্রার্থীরা গেজেটভুক্তির দাবিতে জানুয়ারি থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে আসছিলেন। ৯ জানুয়ারি তারা জনপ্রশাসন সচিব বরাবর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। সচিব মোখলেছ উর রহমান বলেন, “ফৌজদারি কিংবা রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত হয়েছিল অথবা এমন কোনো হিডেন অপরাধ করেছে, যেটা সামনে আসছে- এমন ছাড়া অন্যদের নিয়োগপ্রাপ্তি শুধু একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার, তারা এটি পাবে।”
তবে এই আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় ২৯ এপ্রিল থেকে ছয় চাকরিপ্রার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। তারা হলেন, মো. ফয়সাল চোকদার, মো. মতিউর রহমান, এম এ হান্নান সরকার, দেবাশীষ ঘোষ ও সমরজিৎ চক্রবর্তী। তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা যখন ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম, সেটি শুধুমাত্র কোটা নিয়ে ছিল না। আমরা কোটার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ভেরিফিকেশনের নামে যে হয়রানি তা নিরসনের দাবি জানিয়েছিলাম, যা এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।”
নুর বলেন, “৪৩তম বিসিএসের যাদের বাদ দেওয়া হল এটা তাদের সাথে বৈষম্য। এটা জুলাই আন্দোলনের চেতনার সাথে যায় না। কেউ যদি ফৌজদারি অপরাধ করে থাকে, নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকে, শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজ করে বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়, তাহলে তাদের বাদ দেওয়া হোক। কিন্তু এটা যেটা করেছে তা হচ্ছে মন চাইল, তাই বাদ দিয়ে দিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগের গুণ্ডারা শিক্ষার্থীদের হলের একটা সিটের বিনিময়ে নির্যাতন করেছে। তাদের মিছিল মিটিংয়ে আসলে সিট আছে, না হলে সিট নেই। নারীদের লাঞ্ছিত করেছে। তাই, তাদের প্রতি আমাদের কোন সহানূভূতি নেই। আপনারা যারা সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে বঞ্চিত হয়েছেন, আপনারা আজকে আল্টিমেটাম দেন, আমরা আপনাদের সাথে আছি।”
নুর আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের কিছু হলে সেখানে সবার আগে এ উপদেষ্টাদের ছুটে আসার কথা। অথচ তাদের আজ কোনো খবর নেই। আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সাথে কথা বলেছি। দরকার হলে আবার বলব।”