চাঞ্চল্যকর মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় রোববার,(৪ মে ২০২৫) মাগুরার আদালতে আসামিদের সশরীর উপস্থিতিতে দ্বিতীয় সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সাক্ষ্যগ্রহণ ও আইনি কার্যক্রম শেষে আগামী সপ্তাহেই লোমহর্ষক এ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী। রোববার মামলার অন্যতম সাক্ষী ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের একজন গাইনি বিশেষজ্ঞসহ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত সোমবার ৬ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণের জন্য তলব করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে হিটু শেখসহ তার পরিবারের চারজন আসামিকে হেলমেট পরিয়ে আদালতে আনা হয়। সকাল দশটার পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে আনা হয়। সেখানে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ আইনজীবীরা।
আসামিদের পক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কর্তৃক মনোনীত আইনজীবী সাক্ষীদের জেরা করেন। এ মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রতি কর্ম দিবসেই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান এই আইনজীবী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মাগুরার স্পেশাল পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলায় দ্রুত ও সবধরনের আইনগত পদ্ধতি মেনে সব আসামি ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে সপ্তাহের প্রতি কর্ম দিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রত্যেক সাক্ষীকে জেরা করছেন আসামিদের পক্ষে লিগ্যাল এইড নিয়োজিত আইনজীবীরা। আশা করা হচ্ছে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে আগামী সপ্তাহেই এই মামলার রায় পাওয়া যাবে। রায়ে আসামিদের যথোপযুক্ত শাস্তি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত ১০টার দিকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে মামলার ৪ আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নিহত শিশুর বোন জামাই সজিব শেখ ও তার (সজিব) ভাই রাতুল শেখকে খুন-জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। গত ১ মার্চ শনিবার মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী ওই শিশু। ৫ মার্চ বুধবার রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় শিশু আছিয়া। এ সময় আছিয়ার ধর্ষণকা-ের প্রতিবাদে সারাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সারাদেশে ‘তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া’ এই স্লোগানে ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের
দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আছিয়ার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবারে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ৮ মার্চ নিহত আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়।
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
চাঞ্চল্যকর মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় রোববার,(৪ মে ২০২৫) মাগুরার আদালতে আসামিদের সশরীর উপস্থিতিতে দ্বিতীয় সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ চার সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সাক্ষ্যগ্রহণ ও আইনি কার্যক্রম শেষে আগামী সপ্তাহেই লোমহর্ষক এ ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলার রায় হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী। রোববার মামলার অন্যতম সাক্ষী ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের একজন গাইনি বিশেষজ্ঞসহ ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত সোমবার ৬ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণের জন্য তলব করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে হিটু শেখসহ তার পরিবারের চারজন আসামিকে হেলমেট পরিয়ে আদালতে আনা হয়। সকাল দশটার পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে আনা হয়। সেখানে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুলসহ আইনজীবীরা।
আসামিদের পক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কর্তৃক মনোনীত আইনজীবী সাক্ষীদের জেরা করেন। এ মামলায় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রতি কর্ম দিবসেই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান এই আইনজীবী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মাগুরার স্পেশাল পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলায় দ্রুত ও সবধরনের আইনগত পদ্ধতি মেনে সব আসামি ও আসামিপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে সপ্তাহের প্রতি কর্ম দিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রত্যেক সাক্ষীকে জেরা করছেন আসামিদের পক্ষে লিগ্যাল এইড নিয়োজিত আইনজীবীরা। আশা করা হচ্ছে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে আগামী সপ্তাহেই এই মামলার রায় পাওয়া যাবে। রায়ে আসামিদের যথোপযুক্ত শাস্তি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত ১০টার দিকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে মামলার ৪ আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও নিহত শিশুর বোন জামাই সজিব শেখ ও তার (সজিব) ভাই রাতুল শেখকে খুন-জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। গত ১ মার্চ শনিবার মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী ওই শিশু। ৫ মার্চ বুধবার রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় শিশু আছিয়া। এ সময় আছিয়ার ধর্ষণকা-ের প্রতিবাদে সারাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সারাদেশে ‘তুমি কে আমি কে আছিয়া আছিয়া’ এই স্লোগানে ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের
দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আছিয়ার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবারে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ৮ মার্চ নিহত আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়।