মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যার মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। রোববার,(৪ মে ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ জুন দিন ঠিক করেন। আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত আলী জানান, এ দিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তা দিতে পারেননি। এরপর বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান ৩২ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেন। ঘটনার পরের দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে নারাজি আবেদন করা হয়। এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি ফের তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গে ৪ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। মামলার বলা হয়, ওই রাতে পৌনে ৮টার দিকে এক যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মুঠোফোন চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন।
‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর তাকে হলের
দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র মারধর করে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
ঘটনার কয়েকদিন পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ফুফাত বোন আসমা আক্তার। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার সঙ্গে আসমার মামলাটি একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে হত্যার মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। রোববার,(৪ মে ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ জুন দিন ঠিক করেন। আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত আলী জানান, এ দিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তা দিতে পারেননি। এরপর বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান ৩২ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেন। ঘটনার পরের দিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান ২১ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তদন্ত সুষ্ঠু হয়নি উল্লেখ করে নারাজি আবেদন করা হয়। এরপর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি ফের তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গে ৪ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। মামলার বলা হয়, ওই রাতে পৌনে ৮টার দিকে এক যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান। মুঠোফোন চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন।
‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর তাকে হলের
দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র মারধর করে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
ঘটনার কয়েকদিন পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহ মুহাম্মদ মাসুমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ফুফাত বোন আসমা আক্তার। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার সঙ্গে আসমার মামলাটি একসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেয়।