মোট আক্রান্ত ২৭০৭ জন ও মৃত্যু ২০ জন , ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ৫৩ জন
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। এই বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের চেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ বলে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা মন্তব্য করেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩৩ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন শিশু, অন্যদের বয়স ২৬ থেকে ৩০ বছরের ৯ জন, ৭১ থেকে ৭৫ বছরের ১ জন, ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের ২ জন রয়েছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৩ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৭ জন ভর্তি আছে। এ নিয়ে ঢাকার ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৫২ জন ভর্তি আছে। অন্যরা ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ২০ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ২ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব গবেষক কবিরুল বাসার রোববার,(৪ মে ২০২৫) সন্ধ্যায় সংবাদকে জানান, এই বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ ও ঝুকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
এই গবেষকের মতে, এই বছর এডিস মশার ঘনত্ব অন্যবারের চেয়ে বেশি। এখন বৃষ্টিও হচ্ছে। এডিস মশা বাড়ছে। আর কিউলেক্্র মশার উপদ্রব কমছে।
এখনই মশা নিধন ও মশার
প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এখনই দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এটি প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ, গবেষনা, জনসচেতনতা ও ব্যক্তিগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাই অন্ট্রোলজিক্যাল সার্ভিলেন্সের পাশপাশি সেরো সারভিলেন্স বা ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে নিয়মিত জেনেরিক সার্ভিলেন্স করা দরকার।
ডেঙ্গু ভাইরাস খুব দ্রুত মিউটেটেড বা পরিবর্তিত হতে পারে। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তিত হলে সংক্রমণ আরও মারাত্বক হতে পারে। এগুলো ডেঙ্গু হেমোরোজিকের ঝুঁকি বাড়ায়। পরিবর্তিত পরিবেশে ভাইরাস খুব দ্রুত অভিযোচিত হয়। ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনের ফলে এটি আরও সংক্রমিত হতে পারে এবং ভ্যাকসিন চিকিৎসা পদ্ধতিও কম কার্যকর হয়ে যেতে পারে।
মোট আক্রান্ত ২৭০৭ জন ও মৃত্যু ২০ জন , ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ৫৩ জন
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। এই বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের চেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ণ বলে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা মন্তব্য করেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩৩ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ৬ জন, ঢাকা বিভাগে ৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন শিশু, অন্যদের বয়স ২৬ থেকে ৩০ বছরের ৯ জন, ৭১ থেকে ৭৫ বছরের ১ জন, ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের ২ জন রয়েছে।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন ভর্তি আছে। মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৩ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ৭ জন ভর্তি আছে। এ নিয়ে ঢাকার ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৫২ জন ভর্তি আছে। অন্যরা ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ২০ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, চট্রগ্রাম বিভাগে ২ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব গবেষক কবিরুল বাসার রোববার,(৪ মে ২০২৫) সন্ধ্যায় সংবাদকে জানান, এই বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ ও ঝুকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
এই গবেষকের মতে, এই বছর এডিস মশার ঘনত্ব অন্যবারের চেয়ে বেশি। এখন বৃষ্টিও হচ্ছে। এডিস মশা বাড়ছে। আর কিউলেক্্র মশার উপদ্রব কমছে।
এখনই মশা নিধন ও মশার
প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্বক চাপ সৃষ্টি করে। এখনই দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এটি প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ, গবেষনা, জনসচেতনতা ও ব্যক্তিগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তাই অন্ট্রোলজিক্যাল সার্ভিলেন্সের পাশপাশি সেরো সারভিলেন্স বা ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে নিয়মিত জেনেরিক সার্ভিলেন্স করা দরকার।
ডেঙ্গু ভাইরাস খুব দ্রুত মিউটেটেড বা পরিবর্তিত হতে পারে। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তিত হলে সংক্রমণ আরও মারাত্বক হতে পারে। এগুলো ডেঙ্গু হেমোরোজিকের ঝুঁকি বাড়ায়। পরিবর্তিত পরিবেশে ভাইরাস খুব দ্রুত অভিযোচিত হয়। ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনের ফলে এটি আরও সংক্রমিত হতে পারে এবং ভ্যাকসিন চিকিৎসা পদ্ধতিও কম কার্যকর হয়ে যেতে পারে।