রোহিঙ্গাদের ডেটাবেজ সংরক্ষণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অন্য একটি মন্ত্রণালয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে তাদের ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক না কেন তার ব্যবহারের সুযোগ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বৈত এনআইডি কার্ডধারীদের দ্বিতীয়টি বাতিল করাসহ এনআইডি সংশোধনে সহজীকরণ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
দ্বৈত এনআইডি কার্ডধারীদের
দ্বিতীয়টি বাতিল হবে: হুমায়ুন কবীর
রোহিঙ্গা আর বিদেশিদের আমরা আমাদের ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেব না
‘সার্ভার যেখানেই থাকুক, রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করতে পারি, তাহলেই হবে। কাজেই তাদের ভোটার তলিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না
সোমবার,(৫ এপ্রিল ২০২ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান। এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক জানান, দেশে এখন পাঁচ শতাধিক দ্বৈত এনআইডি কার্ডধারী রয়েছেন। এসব নাগরিকের প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রটি বহাল রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করা হবে।
এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক। এজন্য প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিশনের কর্মকর্তা, সুধীজন ও মিডিয়ার লোকদের নিয়ে এ মাসেই একটি সেমিনার করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সহজ করতে জেলা পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল (গ ক্যাটাগরি), সেটা জেলা অফিসারকেও সেই দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই সেবা নিশ্চিত করতে যৌক্তিক আবেদন কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন ও সচিবালয় আমরা সবাই মিলে মানুষকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। আর আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি, সেজন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি।’
রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক না কেন তার ব্যবহারের সুযোগ কমিশন চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা আর বিদেশিদের আমরা আমাদের ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেব না।
রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে সার্ভার থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত নিলে এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘সার্ভার যেখানেই থাকুক, আমরা যদি রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করতে পারি, তাহলেই হবে। কাজেই তাদের ভোটার তলিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না। ভোটার হতে আসলে আমরা যত রকমভাবে সম্ভব চেক করে নেব।’
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটের আওতায় আনতে অস্ট্রেলিয়াসহ আট দেশে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই কার্যক্রম কানাডায় চালু হবে।’ এখন থেকে সুনির্দিষ্ট কারণ দর্শানো ব্যতীত এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন এনআইডির ডিজি। ৪০ দেশে এনআইডি সেবা চালুর বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি।
আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করবো। প্রবলেম চিহ্নিত ও সমাধান করে যেন ৪০ দেশে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাসে যদি সাত আটটা দেশে করতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। এ মাসের শেষ নাগাদ আরেকটু অগ্রগতি হবে বলে আশা করি। আমেরিকায় এখনও ক্লিয়ারেন্স পাইনি। পেলে কাজটা শুরু করতে পারবো।’
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
রোহিঙ্গাদের ডেটাবেজ সংরক্ষণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অন্য একটি মন্ত্রণালয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে তাদের ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক না কেন তার ব্যবহারের সুযোগ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বৈত এনআইডি কার্ডধারীদের দ্বিতীয়টি বাতিল করাসহ এনআইডি সংশোধনে সহজীকরণ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
দ্বৈত এনআইডি কার্ডধারীদের
দ্বিতীয়টি বাতিল হবে: হুমায়ুন কবীর
রোহিঙ্গা আর বিদেশিদের আমরা আমাদের ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেব না
‘সার্ভার যেখানেই থাকুক, রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করতে পারি, তাহলেই হবে। কাজেই তাদের ভোটার তলিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না
সোমবার,(৫ এপ্রিল ২০২ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান। এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক জানান, দেশে এখন পাঁচ শতাধিক দ্বৈত এনআইডি কার্ডধারী রয়েছেন। এসব নাগরিকের প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রটি বহাল রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল করা হবে।
এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক। এজন্য প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কমিশনের কর্মকর্তা, সুধীজন ও মিডিয়ার লোকদের নিয়ে এ মাসেই একটি সেমিনার করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সহজ করতে জেলা পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার এনআইডি সংশোধনের যে ক্ষমতা ছিল (গ ক্যাটাগরি), সেটা জেলা অফিসারকেও সেই দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই সেবা নিশ্চিত করতে যৌক্তিক আবেদন কমিশন দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন ও সচিবালয় আমরা সবাই মিলে মানুষকে দ্রুত সেবা দিতে চাই। আর আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন ঝুলে আছে। এগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি, সেজন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি।’
রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক না কেন তার ব্যবহারের সুযোগ কমিশন চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা আর বিদেশিদের আমরা আমাদের ডাটাবেজে প্রবেশ করতে দেব না।
রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে সার্ভার থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত নিলে এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘সার্ভার যেখানেই থাকুক, আমরা যদি রোহিঙ্গাদের আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করতে পারি, তাহলেই হবে। কাজেই তাদের ভোটার তলিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না। ভোটার হতে আসলে আমরা যত রকমভাবে সম্ভব চেক করে নেব।’
এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটের আওতায় আনতে অস্ট্রেলিয়াসহ আট দেশে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই কার্যক্রম কানাডায় চালু হবে।’ এখন থেকে সুনির্দিষ্ট কারণ দর্শানো ব্যতীত এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন এনআইডির ডিজি। ৪০ দেশে এনআইডি সেবা চালুর বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিং করেছি।
আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করবো। প্রবলেম চিহ্নিত ও সমাধান করে যেন ৪০ দেশে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আমরা গত কয়েক মাসে যদি সাত আটটা দেশে করতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। এ মাসের শেষ নাগাদ আরেকটু অগ্রগতি হবে বলে আশা করি। আমেরিকায় এখনও ক্লিয়ারেন্স পাইনি। পেলে কাজটা শুরু করতে পারবো।’