সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে আরও চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের ভাইয়ের দায়ের করা একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, “শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আসামির নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে জেলখানা থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে হাজির করা হয়।”
এর আগে সোমবার সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায়ও চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রিজন ভ্যান ঘিরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় সহিংসতায় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। আইনজীবীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। ওই রাতে তিনটি মামলা করে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম হল ও কোতোয়ালি মোড়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মোট তিনটি মামলায় শতাধিক ব্যক্তি আসামি হন।
মামলাগুলোর মধ্যে আদালত এলাকায় হামলার মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০/৭০০ জন, রঙ্গম হলের ঘটনায় ১৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জন এবং কোতোয়ালি মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অস্ত্রসহ হামলা, জখম, লুটপাট, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আলিফ হত্যার ঘটনায় ২৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় তার বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা করেন, যাতে ৩১ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়। আলিফের ভাই খানে আলমও একই ঘটনায় আরেকটি মামলা করেন, যাতে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়।
গত ২৫ নভেম্বর জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তা স্থগিত হয়।
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে আরও চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের ভাইয়ের দায়ের করা একটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পিপি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, “শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আসামির নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে জেলখানা থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে হাজির করা হয়।”
এর আগে সোমবার সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায়ও চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রিজন ভ্যান ঘিরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় সহিংসতায় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। আইনজীবীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে নিহত হন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। ওই রাতে তিনটি মামলা করে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণ, রঙ্গম হল ও কোতোয়ালি মোড়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মোট তিনটি মামলায় শতাধিক ব্যক্তি আসামি হন।
মামলাগুলোর মধ্যে আদালত এলাকায় হামলার মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০/৭০০ জন, রঙ্গম হলের ঘটনায় ১৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৩০০/৪০০ জন এবং কোতোয়ালি মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অস্ত্রসহ হামলা, জখম, লুটপাট, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আলিফ হত্যার ঘটনায় ২৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় তার বাবা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলা করেন, যাতে ৩১ জনের নামসহ অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনকে আসামি করা হয়। আলিফের ভাই খানে আলমও একই ঘটনায় আরেকটি মামলা করেন, যাতে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়।
গত ২৫ নভেম্বর জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে তা স্থগিত হয়।