আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি ছাড় নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ছাড় হবে, নাকি হবে না, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। দফায় দফায় একাধিক বৈঠক হলেও এখনও কোনো সমঝোতা হয়নি। সর্বশেষ একটা শর্তে এই ঋণের ভাগ্য ঝুলে আছে। সেটা হলো, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা বা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার উন্মুক্ত করে দেয়া। বাংলাদেশ সরকার সেটা করতে চাচ্ছে না।
অর্থনীতিবিদরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, ‘এখনই বরং বৈদেশিক মুদ্রার হার উন্মুক্ত করে দেয়া দরকার। কারণ সরকার বলছে, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো রয়েছে। যদি অর্থনীতির অবস্থা ভালো থাকে তাহলে এখন না হলে কখন?’
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রায় এক ঘণ্টা আইএমএফ বৈঠক করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে। এই বৈঠকেও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি কোনো পক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, বিনিময় হার এখনই পুরোপুরি বাজারমুখী করার পক্ষে নয় বাংলাদেশ
ব্যাংক। এছাড়া করহার বাড়ানো ও ভর্তুকি শূন্যে নামিয়ে আনাও এ মুহূর্তে সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে আরও সময় দিতে হবে। সেই বক্তব্য যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ দুটি বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না তা স্পষ্ট করেই আইএমএফকে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার,(৬ মে ২০২৫) কথা হয় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সরকার একদিকে বলছে, এখন মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছাড়া সম্ভব নয়। আবার আরেকদিকে বলছে, এখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো রয়েছে, লেনদেনের ভারসাম্যও ভালো অবস্থানে, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম কমেছে, অন্যান্য পণ্যের দামও পড়তি, আমদানি চাহিদাও কম, তাই চাপ আসার শঙ্কাও কম। তাহলে তো এখনই এটা করা দরকার। এখন না হলে কখন?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
মুদ্রার বিনিময় হার এখনই বাজারমুখী করতে নারাজ বাংলাদেশ, তা অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদও একাধিকবার বলেছেন। সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল আইএমএফের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক শেষ করে এসে সচিবালয়ে বলেছিলেন, ‘ওরা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটকে উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা বলেছে। আমরা বলেছি, একেবারে ওপেন করে দেয়া যাবে না। পাকিস্তানের মতো ২৮০ টাকা, শ্রীলঙ্কার মতো ৪০০ টাকায় পৌঁছে যাবে, সেটা আমি পারব না।’
অর্থ উপদেষ্টা সেদিন আরও বলেন, ‘এ সরকার আসার পর আইএমএফ থেকে আর টাকা পাওয়া যায়নি। তাদের সহযোগিতা ছাড়াই আমরা স্থিতিশীল আছি। অতএব তারা যে শর্ত চাপিয়ে দেবে, সেটা পারবে না। তাদের ঋণ না পেলেও সমস্যা হবে না।’
এ প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন ঋণ না পেলেও কোনো সমস্যা হবে না। সেটাই হয়তো ঠিক। কোনো আর্থিক সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এতে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হবে। কারণ একটা অনুমোদিত ঋণ শর্ত পূরণ না করতে পেরে বাংলাদেশ পেল না এটা ভালো দেখাবে না।’
বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমরা একটা বিনিয়োগ সম্মেলন করলাম। সরকার সেটাকে সফল হয়েছে বলে দাবি করলো। এখন যদি আইএমএফের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয় তাহলে বিনিয়োগকারীরা হয়তো মনে করতে পারে, ‘যে দেশ বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভালো লেনদেন করতে না পারে তাহলে আমাদের সঙ্গে কীভাবে করবে? অর্থাৎ বড় সংকট হবে ‘ইমেজ সংকট’।’
কোনো কারণে বাংলাদেশ যদি আইএমএফের ঋণ থেকে ছিটকে যায় সেটা দেশের জন্য ভালো হবে না বলে মনে করেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানো অর্থ হলো, একধাপ পেছনে যাওয়া। এতে দেশের অর্থনৈতিক পরিচালনার সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সমস্যা শর্ত নয়, বরং সংস্কারের গতি থেমে যাওয়া, যে কারণে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের উচিত, এই কর্মসূচিতে অটল থাকা। শুধু অর্থের জন্য নয়, বরং উন্মুক্ত, স্থিতিশীল ও টেকসই অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ কাজে লাগাতে সংস্কারের পথে থাকা উচিত।’
আর্থিক সংকটে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ। অনেক আলোচনা শেষে পরের বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য বেশি কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওই সব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় পর্যালোচনা শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। তবে সেই সভা না হওয়ায় কিস্তির ঋণ অনুমোদন বিলম্বিত হচ্ছে। ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে দেয়া শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আবার ঢাকায় এসেছিল আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সম্প্রতি তারা পর্যবেক্ষণ শেষে ঢাকা ত্যাগ করে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সভার বৈঠক গত শনিবার শেষ হয়েছে। বসন্তকালীন বৈঠকের এক ফাঁকে আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত বুধবার বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আলাদা বৈঠক হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে। তারপরও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। পরবর্তী বৈঠক হবে ২৩ মে।
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি ছাড় নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ছাড় হবে, নাকি হবে না, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। দফায় দফায় একাধিক বৈঠক হলেও এখনও কোনো সমঝোতা হয়নি। সর্বশেষ একটা শর্তে এই ঋণের ভাগ্য ঝুলে আছে। সেটা হলো, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা বা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার উন্মুক্ত করে দেয়া। বাংলাদেশ সরকার সেটা করতে চাচ্ছে না।
অর্থনীতিবিদরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, ‘এখনই বরং বৈদেশিক মুদ্রার হার উন্মুক্ত করে দেয়া দরকার। কারণ সরকার বলছে, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো রয়েছে। যদি অর্থনীতির অবস্থা ভালো থাকে তাহলে এখন না হলে কখন?’
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রায় এক ঘণ্টা আইএমএফ বৈঠক করেছে বাংলাদেশের সঙ্গে। এই বৈঠকেও সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি কোনো পক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, বিনিময় হার এখনই পুরোপুরি বাজারমুখী করার পক্ষে নয় বাংলাদেশ
ব্যাংক। এছাড়া করহার বাড়ানো ও ভর্তুকি শূন্যে নামিয়ে আনাও এ মুহূর্তে সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে আরও সময় দিতে হবে। সেই বক্তব্য যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ দুটি বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে না তা স্পষ্ট করেই আইএমএফকে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার,(৬ মে ২০২৫) কথা হয় বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘সরকার একদিকে বলছে, এখন মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছাড়া সম্ভব নয়। আবার আরেকদিকে বলছে, এখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো রয়েছে, লেনদেনের ভারসাম্যও ভালো অবস্থানে, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম কমেছে, অন্যান্য পণ্যের দামও পড়তি, আমদানি চাহিদাও কম, তাই চাপ আসার শঙ্কাও কম। তাহলে তো এখনই এটা করা দরকার। এখন না হলে কখন?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
মুদ্রার বিনিময় হার এখনই বাজারমুখী করতে নারাজ বাংলাদেশ, তা অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদও একাধিকবার বলেছেন। সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল আইএমএফের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠক শেষ করে এসে সচিবালয়ে বলেছিলেন, ‘ওরা ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটকে উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা বলেছে। আমরা বলেছি, একেবারে ওপেন করে দেয়া যাবে না। পাকিস্তানের মতো ২৮০ টাকা, শ্রীলঙ্কার মতো ৪০০ টাকায় পৌঁছে যাবে, সেটা আমি পারব না।’
অর্থ উপদেষ্টা সেদিন আরও বলেন, ‘এ সরকার আসার পর আইএমএফ থেকে আর টাকা পাওয়া যায়নি। তাদের সহযোগিতা ছাড়াই আমরা স্থিতিশীল আছি। অতএব তারা যে শর্ত চাপিয়ে দেবে, সেটা পারবে না। তাদের ঋণ না পেলেও সমস্যা হবে না।’
এ প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন ঋণ না পেলেও কোনো সমস্যা হবে না। সেটাই হয়তো ঠিক। কোনো আর্থিক সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এতে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হবে। কারণ একটা অনুমোদিত ঋণ শর্ত পূরণ না করতে পেরে বাংলাদেশ পেল না এটা ভালো দেখাবে না।’
বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমরা একটা বিনিয়োগ সম্মেলন করলাম। সরকার সেটাকে সফল হয়েছে বলে দাবি করলো। এখন যদি আইএমএফের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয় তাহলে বিনিয়োগকারীরা হয়তো মনে করতে পারে, ‘যে দেশ বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভালো লেনদেন করতে না পারে তাহলে আমাদের সঙ্গে কীভাবে করবে? অর্থাৎ বড় সংকট হবে ‘ইমেজ সংকট’।’
কোনো কারণে বাংলাদেশ যদি আইএমএফের ঋণ থেকে ছিটকে যায় সেটা দেশের জন্য ভালো হবে না বলে মনে করেন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানো অর্থ হলো, একধাপ পেছনে যাওয়া। এতে দেশের অর্থনৈতিক পরিচালনার সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সমস্যা শর্ত নয়, বরং সংস্কারের গতি থেমে যাওয়া, যে কারণে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের উচিত, এই কর্মসূচিতে অটল থাকা। শুধু অর্থের জন্য নয়, বরং উন্মুক্ত, স্থিতিশীল ও টেকসই অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ কাজে লাগাতে সংস্কারের পথে থাকা উচিত।’
আর্থিক সংকটে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ। অনেক আলোচনা শেষে পরের বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। ঋণের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার ও অভ্যন্তরীণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের জন্য বেশি কিছু পরামর্শ মানার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। ওই সব শর্ত প্রতিপালনের বিষয়টি পর্যালোচনা সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আসছে ঋণের কিস্তিগুলো। ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তিতে প্রায় ২২১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
তৃতীয় পর্যালোচনা শেষে গত ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ৬৪ দশমিক ৫ কোটি ডলার ছাড় দেয়ার কথা ছিল সংস্থাটির। তবে সেই সভা না হওয়ায় কিস্তির ঋণ অনুমোদন বিলম্বিত হচ্ছে। ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের আগে দেয়া শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আবার ঢাকায় এসেছিল আইএমএফের ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সম্প্রতি তারা পর্যবেক্ষণ শেষে ঢাকা ত্যাগ করে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সভার বৈঠক গত শনিবার শেষ হয়েছে। বসন্তকালীন বৈঠকের এক ফাঁকে আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত বুধবার বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের আলাদা বৈঠক হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে। তারপরও বিষয়টি সুরাহা হয়নি। পরবর্তী বৈঠক হবে ২৩ মে।