alt

জাতীয়

দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়ন: হেফাজতের দুঃখ প্রকাশ

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে গত ৩ মে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী মঙ্গলবার,(৬ মে ২০২৫) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাক্সিক্ষতভাবে দুজন বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।’

ইসলামী উত্তরাধিকার আইন ও ইসলামী পারিবারিক আইন নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশন দিয়েছে তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ইসলামী দলগুলোর। এছাড়া, শ্রম আইন সংশোধন করে যৌনকর্মীদের মর্যাদা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ নিয়েও দলগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।

নারী সংস্কার কমিশন গত ১৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর থেকেই ধর্মভিত্তিক দলগুলো এসব সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণের বিরোধিতা করে আসছে। নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে গত শনিবার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। সেখানে অনেক বক্তাই নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেন।

একজন বক্তা নারী কমিশনকে ‘বেশ্যা কমিশন’ আখ্যায়িত করেন। আরেকজন বলেন, “অবৈধ সন্তানকে স্বীকৃতি দিতে’ কমিশন যৌনকর্মীদের স্বীকৃতির দাবি তুলেছে।

জনসম্মুখে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ায় হেফাজতে ইসলামকে উকিল নোটিস দেন ছয় নারী, যাদের মধ্যে তিনজন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী এবং বাকিরা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজন। নোটিসে বলা হয়, ‘নারীদের প্রতি হেফাজতের প্রকাশ্য বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, বিশেষ করে মাইকে নারীকে ‘বেশ্যা’ বলে গালি দেয়া, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

দুই বক্তার শব্দচয়ন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মঙ্গলবার হেফাজতে ইসলামের বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। মতাদর্শিক লড়াইকে ‘নারীর প্রতি ঘৃণা’ আকারে দেখাটা স্রেফ মূর্খতা। আমরা আবারও বলছি, যার যার ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরাও সংস্কারকাজে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী।”

অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে এই নারী সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞকে বাদ দিয়ে একদল এনজিওবাজ নারীবাদীকে নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো। যার ফলে এমন একচেটিয়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেক্যুলার প্রগতিশীল নারীসমাজের স্বার্থ ও মতাদর্শ রক্ষিত হলেও ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের ধর্মীয় চিন্তা ও বিবেচনা উপেক্ষিত হয়েছে। এই বৈষম্য মেনে নেয়ার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘উগ্র ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের ‘নারীবিদ্বেষী’ অপবাদ দেয়ার অপরাজনীতি বহু পুরনো। অথচ দেশজুড়ে আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দমুক্ত এসব মাদরাসায় সমাজের হাজার হাজার প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্যও বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এদেশের নারীদের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কখনও আলেম-ওলামার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয় না।’

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “আমাদের এই সামাজিক ভূমিকা ও ধর্মীয় অবস্থান আধুনিক ব্যবস্থায় এদেশের নারীকে ‘পণ্য’ বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্তরায় বলেই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে একদল উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে আমরা ছাড় দেব না।”

সেই সঙ্গে তিনি ‘সেক্যুলার প্রগতিশীলদের’ হুঁশিয়ার করে বলেন, “যারা এতকাল আলেম-ওলামাকে বিদ্বেষমূলকভাবে ‘জঙ্গি, ‘মৌলবাদী, ‘ধর্মব্যবসায়ী’ ও ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে কটাক্ষ করে এসেছেন, তাদেরও আমরা এ ধরনের আপত্তিকর শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আর শাপলা চত্বরের গণহত্যায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে কারা উৎসাহ দিয়েছিল তা আমরা ভুলে যাইনি।”

সিলেটে আইনজীবী বাবাকে খুন: ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসি

রাজশাহীতে এনজিওর ‘ঋণের চাপে’ আত্মহত্যার চেষ্টা

চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আরও ৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

আরও ৪ মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

‘মিথ্যাচার’ ও ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ নানা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলো আটাব

‘কোটি কোটি’ টাকা নিয়ে ‘লাপাত্তা’ সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তা, উৎকণ্ঠায় গ্রাহক

কোরবানির জন্য খামারিদের কাছে প্রস্তুত এক কোটি ২৪ লাখ গবাদিপশু

কুয়েটে এখনও ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা, বাড়ছে সেশনজট

ছবি

নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন

মোরেলগঞ্জে ওয়ারেন্টি আসামি ধরতে গিয়ে একজন নিহত

ছবি

‘শিরক ও বিদআত’ আখ্যা দিয়ে শতবর্ষী বটগাছ কেটে ফেলা হলো মাদারীপুরে

চট্টগ্রাম ওয়াসার অপরিকল্পিত পানি শোধনাগার, গ্রাহক ভোগান্তি চরমে

অবমাননাকর প্রতিক্রিয়া আশা করি না: আইন উপদেষ্টা

রাষ্ট্র সংস্কারে নিজস্ব ‘রূপরেখা’ দিলো এনসিপি

ছবি

আইএমএফের ঋণ: বাজারভিত্তিক ডলারের দামের প্রশ্নে টানাপোড়েন

ভোটাধিকার ফেরাতে নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জরুরি: ইউনূস

সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধন করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ হচ্ছে

ছবি

দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া

ছবি

আরাকানের নতুন প্রশাসনে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব দেখতে চায় বাংলাদেশ : খলিলুর রহমান

ছবি

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো সহায়তা চাননি: তৌহিদ হোসেন

ছবি

তরুণদের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের

ছবি

নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে বিদ্বেষমূলক প্রতিক্রিয়া জাতির প্রতি অবমাননাকর: আইন উপদেষ্টা

ছবি

বিতর্কিত আইন বাতিল করে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ অনুমোদন, ৯টি ধারা বাতিল

ছবি

ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা

ছবি

আরো ৪ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো চিন্ময় দাসকে

ছবি

অযত্নে বিকল হচ্ছে বিএমডিএ কার্যালয়ের অত্যাধুনিক কৃষিযন্ত্র

চিন্ময় দাসকে আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

সরকারি পরিসংখ্যান মারাত্মক ফ্যাসাদ তৈরি করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

‘বিনা নোটিশে সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ নেই’

ছবি

রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজ ব্যবহারের সুযোগ চায় নির্বাচন কমিশন

ছবি

দেশ ও শ্রমিকের স্বার্থে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার দাবি বায়রার

এপ্রিলে রপ্তানি আয়ে সামান্য উন্নতি, মূল্যস্ফীতিও কমেছে

ছবি

পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ কেন ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চান না?

পাকিস্তানের আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ

ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু ২১ মে, বিশেষ ট্রেন চলবে ৫ জোড়া

tab

জাতীয়

দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়ন: হেফাজতের দুঃখ প্রকাশ

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫

ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে গত ৩ মে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী মঙ্গলবার,(৬ মে ২০২৫) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাক্সিক্ষতভাবে দুজন বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।’

ইসলামী উত্তরাধিকার আইন ও ইসলামী পারিবারিক আইন নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশন দিয়েছে তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ইসলামী দলগুলোর। এছাড়া, শ্রম আইন সংশোধন করে যৌনকর্মীদের মর্যাদা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশ নিয়েও দলগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে।

নারী সংস্কার কমিশন গত ১৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর থেকেই ধর্মভিত্তিক দলগুলো এসব সুপারিশ ও পর্যবেক্ষণের বিরোধিতা করে আসছে। নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে গত শনিবার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। সেখানে অনেক বক্তাই নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেন।

একজন বক্তা নারী কমিশনকে ‘বেশ্যা কমিশন’ আখ্যায়িত করেন। আরেকজন বলেন, “অবৈধ সন্তানকে স্বীকৃতি দিতে’ কমিশন যৌনকর্মীদের স্বীকৃতির দাবি তুলেছে।

জনসম্মুখে এ ধরনের বক্তব্য দেয়ায় হেফাজতে ইসলামকে উকিল নোটিস দেন ছয় নারী, যাদের মধ্যে তিনজন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী এবং বাকিরা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজন। নোটিসে বলা হয়, ‘নারীদের প্রতি হেফাজতের প্রকাশ্য বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, বিশেষ করে মাইকে নারীকে ‘বেশ্যা’ বলে গালি দেয়া, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

দুই বক্তার শব্দচয়ন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মঙ্গলবার হেফাজতে ইসলামের বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। মতাদর্শিক লড়াইকে ‘নারীর প্রতি ঘৃণা’ আকারে দেখাটা স্রেফ মূর্খতা। আমরা আবারও বলছি, যার যার ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরাও সংস্কারকাজে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী।”

অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে এই নারী সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞকে বাদ দিয়ে একদল এনজিওবাজ নারীবাদীকে নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো। যার ফলে এমন একচেটিয়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেক্যুলার প্রগতিশীল নারীসমাজের স্বার্থ ও মতাদর্শ রক্ষিত হলেও ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের ধর্মীয় চিন্তা ও বিবেচনা উপেক্ষিত হয়েছে। এই বৈষম্য মেনে নেয়ার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘উগ্র ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের ‘নারীবিদ্বেষী’ অপবাদ দেয়ার অপরাজনীতি বহু পুরনো। অথচ দেশজুড়ে আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দমুক্ত এসব মাদরাসায় সমাজের হাজার হাজার প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্যও বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এদেশের নারীদের সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কখনও আলেম-ওলামার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয় না।’

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, “আমাদের এই সামাজিক ভূমিকা ও ধর্মীয় অবস্থান আধুনিক ব্যবস্থায় এদেশের নারীকে ‘পণ্য’ বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্তরায় বলেই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে একদল উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে আমরা ছাড় দেব না।”

সেই সঙ্গে তিনি ‘সেক্যুলার প্রগতিশীলদের’ হুঁশিয়ার করে বলেন, “যারা এতকাল আলেম-ওলামাকে বিদ্বেষমূলকভাবে ‘জঙ্গি, ‘মৌলবাদী, ‘ধর্মব্যবসায়ী’ ও ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে কটাক্ষ করে এসেছেন, তাদেরও আমরা এ ধরনের আপত্তিকর শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আর শাপলা চত্বরের গণহত্যায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে কারা উৎসাহ দিয়েছিল তা আমরা ভুলে যাইনি।”

back to top