‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

মঙ্গলবার,(৬ মে ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

আইন উপদেষ্টা জানান, সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, এ আইনের গেজেট প্রকাশের পর তারা তা করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ইচ্ছামতো নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে। সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত যে আইন আছে, সেখানে একটা জটিলতার কারণে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারছিল না। কমিশনের অনুরোধে তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী সংশোধনীটা করে দিয়েছি।’

সিপিসির চূড়ান্ত অনুমোদন:

উপদেষ্টা পরিষদ দেওয়ানি কার্যবিধি অধ্যাদেশেরও (সিপিসি) চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সিভিল মামলার নিষ্পত্তি হতে যুগের পর যুগ লেগে যেত। এখানে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন আর মুলতবি করা যাবে না। আগে মামলার আর্জি আইনজীবীরা পড়ে পড়ে শোনাতেন। এটা মৌখিকভাবে উত্থাপন করতে করতে দুই-তিন বছর লেগে যেত।’

এখন ‘পে-ইন্ট বা লিখিত আর্জিই যথেষ্ট’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘পড়ে শোনাতে হবে না। মামলার

রায় পাওয়ার পর এক্সিকিউশনের জন্য আলাদাভাবে মামলা করতে হতো; সেটাও করতে হবে না। সমন জারির পদ্ধতি অনেক সহজ করেছি। সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এ আইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল দেওয়ানি কার্যবিধি সংস্কারের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।