পশু খামারিদের দেয়া পরিসংখ্যান মতে, আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য সারাদেশে খামারিদের কাছে ১ কোটি ২৪ লাখের বেশি গবাদি পশু রয়েছে। খামারিরা শেষ মূহুর্তে গবাদি পশুগুলো পশুর হাটে নেয়ার জন্য প্রস্তুত করছে। পশু তরতাজা করতে চলছে নানা প্রস্তুতিও। অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের খামারের গবাদি পশু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে
বিশেষ ট্রেনে পশু
বহন করা যাবে
চাঁদাবাজি, ছিনতাই প্রতিরোধে ওয়াচ টাওয়ার ও কন্ট্রোল রুম থাকছে
নির্দিষ্ট হাট ছাড়া মহাসড়কে পশুবোঝাই ট্রাক থামবে না: ডিআইজি হাইওয়ে
রাজধানীতে গবাদি পশুর হাটে যাতে কোনো সংকট না হয় তার জন্য উত্তর বঙ্গ থেকে গবাদি পশু ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
কোরবানির ঈদের বাজারে দুষ্ট চক্র যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি ও পথে পথে পশু বোঝাই ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করতে না পারে তার জন্য আগাম আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। থাকবে পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। নিরাপত্তা ওয়ার্চ টাওয়ার।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, সারাদেশে ছোট বড় মিলে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৬টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। এই সব খামারে কোরবানির যোগ্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ লাখ দুই হাজার ৯০৫টি গরু ও মহিষ কোরবানির যোগ্য আছে।
আর ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল ও ভেড়া আছে। এছাড়াও ৫ হাজার ১২টি অন্যান্য প্রজাতির কোরবানির যোগ্য পশু রয়েছে। তার উট ও দুম্বাও পশুর হাটে উঠানো হয়।
এই দিকে গত ৪ মে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদি পশু থাকায় চলতি বছর কোরবানির ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না। আর অবৈধভাবে কোনো পথেই গবাদি পশু দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। গবাদি পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
শুধু তাই না আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনে আওতায় ১৯টি পশুর হাটে অসুস্থ বা রোগে আক্রান্ত পশুদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে ২০টির বেশি পশু ডাক্তারের (ভেটেরিনারি) মেডিকেল টিম ও দুইটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঈদের সময় কাজ করবে।
এ দিকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার,(৬ মে ২০২৫) সংবাদকে জানান, কোরবানির ঈদের সময় মহাসড়কে চলাচলকারি পশু বোঝাই ট্রাক রাস্তায় থামবে না। যে হাটে পশু বোঝাই ট্রাক যাবে সেখানে থামবে। তবে ট্রাকের সামনে ব্যানারে হাটের নাম লেখা থাকবে।
আর মহাসড়কের পথে পথে বিভিন্ন পয়েণ্টে থাকবে কন্ট্রোল রুম। কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে হাইওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিবেন। মহাসড়কে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা না হয়। তার জন্য মহাসড়কের কাছে হাট থাকবে না। এই জন্য হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতিও নেয়া হয়ে হয়েছে।
পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য হাইওয়ে পুলিশের লিফলেট বিতরণ, প্রতিটি থানার ও কন্ট্রোল রুমে ফোন নম্বর দেয়া থাকবে। মহাসড়কের কাছে ঝুকিপূর্ণ পয়েণ্টগুলোতে এখন থেকে আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।পুলিশের এক জন বিভাগীয় ডিআইজি সংবাদকে জানান, কোরবানির ঈদে পশু বোঝাই ট্রাক আটকে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে তার জন্য পুলিশ পরিকল্পনা নিয়েছে।
রাস্তায় রাস্তায় থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। আর ছিনতাই ও চাঁদাবাজদের গতিবিধি নজরদারি করার জন্য পুলিশ কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। টার্গেট কোরবানির ঈদ নিরাপত্তা স্বস্তিদায়ক করা।
এ দিকে গ্রাম-গঞ্জে খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলা, পৌরসভায় ও গ্রামে আগে দলীয় এমপি, মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের নেতারা একাধিক পশু কোরবানি দিত। এইবার এখনও সেই রকম পরিস্থিতি নেই। অনেকেই নানা অনিয়মে আত্মগোপনে আছে। আবার কেউ মামলার আসামি হয়ে পলাতক আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সংখ্যাও কম নয়। আবার অনেকেই দুর্নীতর মামলায় কারাগারে আছে।
আগে পৌরসভার মেয়ররা একাধিক পশু কোরবানি দিত। এই কোরবানির ঈদে আগের মত অতিরিক্ত কোরবানি নাও হতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। তবে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ঈদ নিরাপত্তার জন্য এখনই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫
পশু খামারিদের দেয়া পরিসংখ্যান মতে, আসন্ন কোরবানির ঈদের জন্য সারাদেশে খামারিদের কাছে ১ কোটি ২৪ লাখের বেশি গবাদি পশু রয়েছে। খামারিরা শেষ মূহুর্তে গবাদি পশুগুলো পশুর হাটে নেয়ার জন্য প্রস্তুত করছে। পশু তরতাজা করতে চলছে নানা প্রস্তুতিও। অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের খামারের গবাদি পশু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে
বিশেষ ট্রেনে পশু
বহন করা যাবে
চাঁদাবাজি, ছিনতাই প্রতিরোধে ওয়াচ টাওয়ার ও কন্ট্রোল রুম থাকছে
নির্দিষ্ট হাট ছাড়া মহাসড়কে পশুবোঝাই ট্রাক থামবে না: ডিআইজি হাইওয়ে
রাজধানীতে গবাদি পশুর হাটে যাতে কোনো সংকট না হয় তার জন্য উত্তর বঙ্গ থেকে গবাদি পশু ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
কোরবানির ঈদের বাজারে দুষ্ট চক্র যাতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি ও পথে পথে পশু বোঝাই ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করতে না পারে তার জন্য আগাম আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। থাকবে পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল। নিরাপত্তা ওয়ার্চ টাওয়ার।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, সারাদেশে ছোট বড় মিলে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৬টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। এই সব খামারে কোরবানির যোগ্য ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬ লাখ দুই হাজার ৯০৫টি গরু ও মহিষ কোরবানির যোগ্য আছে।
আর ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল ও ভেড়া আছে। এছাড়াও ৫ হাজার ১২টি অন্যান্য প্রজাতির কোরবানির যোগ্য পশু রয়েছে। তার উট ও দুম্বাও পশুর হাটে উঠানো হয়।
এই দিকে গত ৪ মে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদি পশু থাকায় চলতি বছর কোরবানির ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না। আর অবৈধভাবে কোনো পথেই গবাদি পশু দেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। গবাদি পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।
শুধু তাই না আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনে আওতায় ১৯টি পশুর হাটে অসুস্থ বা রোগে আক্রান্ত পশুদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে ২০টির বেশি পশু ডাক্তারের (ভেটেরিনারি) মেডিকেল টিম ও দুইটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম ঈদের সময় কাজ করবে।
এ দিকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার,(৬ মে ২০২৫) সংবাদকে জানান, কোরবানির ঈদের সময় মহাসড়কে চলাচলকারি পশু বোঝাই ট্রাক রাস্তায় থামবে না। যে হাটে পশু বোঝাই ট্রাক যাবে সেখানে থামবে। তবে ট্রাকের সামনে ব্যানারে হাটের নাম লেখা থাকবে।
আর মহাসড়কের পথে পথে বিভিন্ন পয়েণ্টে থাকবে কন্ট্রোল রুম। কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে হাইওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিবেন। মহাসড়কে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা বা ঝামেলা না হয়। তার জন্য মহাসড়কের কাছে হাট থাকবে না। এই জন্য হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতিও নেয়া হয়ে হয়েছে।
পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য হাইওয়ে পুলিশের লিফলেট বিতরণ, প্রতিটি থানার ও কন্ট্রোল রুমে ফোন নম্বর দেয়া থাকবে। মহাসড়কের কাছে ঝুকিপূর্ণ পয়েণ্টগুলোতে এখন থেকে আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।পুলিশের এক জন বিভাগীয় ডিআইজি সংবাদকে জানান, কোরবানির ঈদে পশু বোঝাই ট্রাক আটকে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে তার জন্য পুলিশ পরিকল্পনা নিয়েছে।
রাস্তায় রাস্তায় থাকবে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। আর ছিনতাই ও চাঁদাবাজদের গতিবিধি নজরদারি করার জন্য পুলিশ কঠোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। টার্গেট কোরবানির ঈদ নিরাপত্তা স্বস্তিদায়ক করা।
এ দিকে গ্রাম-গঞ্জে খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলা, পৌরসভায় ও গ্রামে আগে দলীয় এমপি, মন্ত্রী ও জেলা পরিষদের নেতারা একাধিক পশু কোরবানি দিত। এইবার এখনও সেই রকম পরিস্থিতি নেই। অনেকেই নানা অনিয়মে আত্মগোপনে আছে। আবার কেউ মামলার আসামি হয়ে পলাতক আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সংখ্যাও কম নয়। আবার অনেকেই দুর্নীতর মামলায় কারাগারে আছে।
আগে পৌরসভার মেয়ররা একাধিক পশু কোরবানি দিত। এই কোরবানির ঈদে আগের মত অতিরিক্ত কোরবানি নাও হতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। তবে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ঈদ নিরাপত্তার জন্য এখনই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।