জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ের এক হত্যা মামলায় ‘দৈনিক সরেজমিন মাত্রার’ সাংবাদিক লিটন সিকদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার, (৭ মে ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দেয়।
শুনানিতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া লিটন সিকদার আদালতকে জানিয়েছেন, তাকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে, ওই ঘটনার সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। লিটন বলেন, ‘ঘটনার তিন মাস পর আমি কারামুক্ত হই। সেই ঘটনার মামলায় আমি কীভাবে আসামি হই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই নাজমুল আলম লিটনকে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় মো.জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এর আগে সকালে লিটনকে আদালতে আনার পর তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে নেয়ার পথে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের লিটন বলেন,‘আমি একজন সাংবাদিক। জেলে থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি। আমি
সাংবাদিক লিটন। জেলে থেকে আসামি হয়ে গেছি। জেলে ছিলাম তারপরও আমি আসামি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমি জেলে ছিলাম সাইবার মামলাতে।
‘তারপর আমাকে এ মামলায় আসামি করে দেয়া হয়েছে। আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে জাতিসংঘে তুলে ধরুন। আমি একজন সাংবাদিক। তারপরও আমি কেন আসামি হলাম।’ শুনানিতে আদালত লিটনের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ মঞ্জুর করার পর, বিচারকের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান লিটন।
তখন আদালত বলেন, ‘আপনার আইনজীবী নাই?’ লিটন বলেন, ‘আজ নাই, আমি একজন সাংবাদিক। ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার নিয়ে ২০২০ সালে নিউজ করি। এজন্য ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মেয়ের জামাই আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান দোলন আমার নামে ২০২০ সালে ২৬টি মামলা দেয়। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।
‘গত বছরের ২২ অক্টোবর আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাই। জেলে থেকে কীভাবে আমি এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হই।’ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ২১ জুলাই রাজধানীর ভাটারায় আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় মামলার আসামিরা। একে মো. জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ের এক হত্যা মামলায় ‘দৈনিক সরেজমিন মাত্রার’ সাংবাদিক লিটন সিকদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার, (৭ মে ২০২৫) ঢাকার মহানগর হাকিম জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দেয়।
শুনানিতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া লিটন সিকদার আদালতকে জানিয়েছেন, তাকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে, ওই ঘটনার সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। লিটন বলেন, ‘ঘটনার তিন মাস পর আমি কারামুক্ত হই। সেই ঘটনার মামলায় আমি কীভাবে আসামি হই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই নাজমুল আলম লিটনকে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় মো.জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এর আগে সকালে লিটনকে আদালতে আনার পর তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে নেয়ার পথে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের লিটন বলেন,‘আমি একজন সাংবাদিক। জেলে থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় আসামি। আমি
সাংবাদিক লিটন। জেলে থেকে আসামি হয়ে গেছি। জেলে ছিলাম তারপরও আমি আসামি। আমি ন্যায়বিচার দাবি করছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমি জেলে ছিলাম সাইবার মামলাতে।
‘তারপর আমাকে এ মামলায় আসামি করে দেয়া হয়েছে। আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে জাতিসংঘে তুলে ধরুন। আমি একজন সাংবাদিক। তারপরও আমি কেন আসামি হলাম।’ শুনানিতে আদালত লিটনের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ মঞ্জুর করার পর, বিচারকের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে চান লিটন।
তখন আদালত বলেন, ‘আপনার আইনজীবী নাই?’ লিটন বলেন, ‘আজ নাই, আমি একজন সাংবাদিক। ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকা পাচার নিয়ে ২০২০ সালে নিউজ করি। এজন্য ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মেয়ের জামাই আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুর রহমান দোলন আমার নামে ২০২০ সালে ২৬টি মামলা দেয়। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়।
‘গত বছরের ২২ অক্টোবর আমি কারাগার থেকে মুক্তি পাই। জেলে থেকে কীভাবে আমি এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত হই।’ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ২১ জুলাই রাজধানীর ভাটারায় আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় মামলার আসামিরা। একে মো. জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনি মারা যান।