ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা মো. আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে আসা সমালোচনার জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশে যাওয়ায় বাধা দেয়া তার মন্ত্রণালয়ের ‘দায়িত্ব’ নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ চলার মধ্যে উপদেষ্টা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে বা আদালত থেকে রায় এলে আইনিভাবে দলটিকে নিষিদ্ধ করা যাবে।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর। যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’
আইন উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেয়া না বা কারও চলাচলে বাধা দেয়া না।’ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন বলে পুলিশের বিশেষ শাখা নিশ্চিত করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আবদুল হামিদকেও আসামি করা হয়েছে। তার দেশ ছাড়ার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওসি ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে এটিএসআই মো. সোলায়মানকে।
একই দিন প্রত্যাহার করা হয় কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
হাছান চৌধুরীকে। এছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজহারুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহর ডাকে প্রধান উপদেষ্টা সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা।
তাতে সংহতি প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এই দাবির বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করবো এটা কীভাবে সম্ভব?
‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায়-দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।’
ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না।’ আইন উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। ‘আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাআল্লাহ।’
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা মো. আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে আসা সমালোচনার জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশে যাওয়ায় বাধা দেয়া তার মন্ত্রণালয়ের ‘দায়িত্ব’ নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ চলার মধ্যে উপদেষ্টা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে বা আদালত থেকে রায় এলে আইনিভাবে দলটিকে নিষিদ্ধ করা যাবে।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর। যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’
আইন উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেয়া না বা কারও চলাচলে বাধা দেয়া না।’ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন বলে পুলিশের বিশেষ শাখা নিশ্চিত করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যার ঘটনায় কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আবদুল হামিদকেও আসামি করা হয়েছে। তার দেশ ছাড়ার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওসি ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে এটিএসআই মো. সোলায়মানকে।
একই দিন প্রত্যাহার করা হয় কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
হাছান চৌধুরীকে। এছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজহারুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠন হাসনাত আব্দুল্লাহর ডাকে প্রধান উপদেষ্টা সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা।
তাতে সংহতি প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এই দাবির বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করবো এটা কীভাবে সম্ভব?
‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায়-দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।’
ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না।’ আইন উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। ‘আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাআল্লাহ।’