বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি। যে কোনো সময় দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে আবারও দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। দলটি মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ইস্যু তৈরি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ‘সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে এই সরকার স্বৈরাচারদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে
শুরু করে সম্প্রতি সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা একই কৌশল বলে মনে করেন তারা।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) পৃথক পৃথক অনুষ্ঠনে বিএনপি নেতারা এসব অভিযোগ, দাবি ও সংশয়ের কথা বলেন। রাজধানীর খামাবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দলটির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে কিনা তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে এই সরকার স্বৈরাচারদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ আর অতীতে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের কৌশলের সঙ্গে তুলনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, সেভাবেই আব্দুল হামিদ পালিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি আব্দুল হামিদের বিষয়ে কিছু জানে না। বিষয়টি নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কর্মকা-ের কারণে সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।’
ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জনগণের। যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তৈরির সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধর্ম দিয়ে সমাজে বিভাজন না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ধর্ম মানুষকে ভালো হতে শিখায়। প্রতিটি ধর্মই ঐক্যের কথা বলে। তাই ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা ঠিক নয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, সেই চেতনা আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোনো শক্তি যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা লড়াই করেছি। এর উদ্দেশ্য একটি, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র চাই। ভোটের মাধ্যমে মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই। ঐক্য ও ভালোবাসা দিয়েই আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে নিষিদ্ধ করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। দেশের সংকট উত্তরণে বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায় বলেও জানান তিনি। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সরকার নানা অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে, অথচ জনগণ আর অপেক্ষা করতে রাজি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি করে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। দেশে বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না। জনগণ যাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।’ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে মুক্তি মিলবে না। জুলাই-আগস্টে দেশের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা ধরে রাখতে হবে। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের চাপে যেন ঐক্য নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
এ সময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।’
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি। যে কোনো সময় দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে আবারও দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি। দলটি মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ইস্যু তৈরি করে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ‘সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে এই সরকার স্বৈরাচারদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে
শুরু করে সম্প্রতি সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা একই কৌশল বলে মনে করেন তারা।
শুক্রবার, (০৯ মে ২০২৫) পৃথক পৃথক অনুষ্ঠনে বিএনপি নেতারা এসব অভিযোগ, দাবি ও সংশয়ের কথা বলেন। রাজধানীর খামাবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দলটির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছে কিনা তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে এই সরকার স্বৈরাচারদের নিরাপদে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ আর অতীতে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের কৌশলের সঙ্গে তুলনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট যেভাবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, সেভাবেই আব্দুল হামিদ পালিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি আব্দুল হামিদের বিষয়ে কিছু জানে না। বিষয়টি নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন রয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু কর্মকা-ের কারণে সরকার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।’
ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জনগণের। যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদ পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তৈরির সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ধর্ম দিয়ে সমাজে বিভাজন না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ধর্ম মানুষকে ভালো হতে শিখায়। প্রতিটি ধর্মই ঐক্যের কথা বলে। তাই ধর্ম দিয়ে বিভাজন করা ঠিক নয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, সেই চেতনা আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোনো শক্তি যেন আমাদের বিভক্ত করতে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা লড়াই করেছি। এর উদ্দেশ্য একটি, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র চাই। ভোটের মাধ্যমে মানুষ তার প্রতিনিধি নির্বাচন করবে আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই। ঐক্য ও ভালোবাসা দিয়েই আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তবে সরকার ও নির্বাচন কমিশন চাইলে নিষিদ্ধ করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। দেশের সংকট উত্তরণে বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায় বলেও জানান তিনি। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সরকার নানা অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাইছে, অথচ জনগণ আর অপেক্ষা করতে রাজি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি করে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। দেশে বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না। জনগণ যাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে, তারাই দেশ পরিচালনা করবে।’ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই এখনও শেষ হয়নি উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে মুক্তি মিলবে না। জুলাই-আগস্টে দেশের মানুষের মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, তা ধরে রাখতে হবে। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের চাপে যেন ঐক্য নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
এ সময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হোক।’