জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি নতুন আবাসিক হল চালু হওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ডাইনিং সুবিধা এখনও চালু হয়নি। ফলে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অতিরিক্ত ব্যয় তো আছেই।
‘নতুন হলগুলোতে গ্যাস সংযোগ না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বা কাঠ ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে রান্না হচ্ছে, যার ফলে খাবারের দাম বেড়েছে। এসব হলে এক বেলার খাবারে খরচ পড়ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, যেখানে গ্যাস সুবিধাসম্পন্ন পুরোনো হলে একই খাবার মিলছে ৩০ টাকায়
শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হলগুলো হলো ২১ নম্বর হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা হল এবং বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল। ২০২২ সালের শুরুতে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয় হলগুলো। কিন্তু ডাইনিং সুবিধা নেই। শিক্ষার্থীদের তিন বেলা খাবারের জন্য বটতলা বা পাশের পুরোনো হলের আশপাশের দোকানে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও শ্রমের পাশাপাশি ব্যয়ও প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। নতুন হলগুলোতে গ্যাস সংযোগ না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বা কাঠ ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে রান্না হচ্ছে, যার ফলে খাবারের দাম বেড়েছে। এসব হলে এক বেলার খাবারে খরচ পড়ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, যেখানে গ্যাস সুবিধাসম্পন্ন পুরোনো হলে একই খাবার মিলছে ৩০ টাকায়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইরাজুল ইসলাম তৌসিফ বলেন, ‘ডাইনিং না থাকায় আমাদের বাইরের খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থের অপচয়। এছাড়াও এতো শিক্ষার্থীদের জন্য তিনবেলার খাবার সব সময় মজুদ থাকে না। বাইরে খেতে গিয়ে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়। হলের ক্যান্টিনে শুধু উচ্চমূল্যের খাবার পাওয়া যায়, যা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর সামর্থ্যের বাইরে। দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে ডাইনিং চালু হলে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় কমবে এবং স্বস্তি মিলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ‘প্রয়োজনীয় লোকবল ও গ্যাস সংযোগের অভাবে ডাইনিং চালু করা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নতুন লোক নিয়োগের অনুমোদন দিচ্ছে না। প্রতিটি হলে মাত্র ১৬ জন কর্মচারী আছেন, যারা পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত। তিনি আরও জানান, ডাইনিং চালুর বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্যাস সংযোগের সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির ডাইনিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
বিপুল ব্যয়ে নির্মিত এই হলগুলোতে ন্যূনতম সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন, সতর্ক করে বলেছেন যে, আরও দেরি হলে তাদের আর্থিক চাপ ও ভোগান্তি বাড়বে, যা শিক্ষাজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি নতুন আবাসিক হল চালু হওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ডাইনিং সুবিধা এখনও চালু হয়নি। ফলে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অতিরিক্ত ব্যয় তো আছেই।
‘নতুন হলগুলোতে গ্যাস সংযোগ না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বা কাঠ ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে রান্না হচ্ছে, যার ফলে খাবারের দাম বেড়েছে। এসব হলে এক বেলার খাবারে খরচ পড়ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, যেখানে গ্যাস সুবিধাসম্পন্ন পুরোনো হলে একই খাবার মিলছে ৩০ টাকায়
শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হলগুলো হলো ২১ নম্বর হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা হল এবং বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল। ২০২২ সালের শুরুতে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয় হলগুলো। কিন্তু ডাইনিং সুবিধা নেই। শিক্ষার্থীদের তিন বেলা খাবারের জন্য বটতলা বা পাশের পুরোনো হলের আশপাশের দোকানে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও শ্রমের পাশাপাশি ব্যয়ও প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। নতুন হলগুলোতে গ্যাস সংযোগ না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস বা কাঠ ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে রান্না হচ্ছে, যার ফলে খাবারের দাম বেড়েছে। এসব হলে এক বেলার খাবারে খরচ পড়ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, যেখানে গ্যাস সুবিধাসম্পন্ন পুরোনো হলে একই খাবার মিলছে ৩০ টাকায়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইরাজুল ইসলাম তৌসিফ বলেন, ‘ডাইনিং না থাকায় আমাদের বাইরের খাবারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা সময় ও অর্থের অপচয়। এছাড়াও এতো শিক্ষার্থীদের জন্য তিনবেলার খাবার সব সময় মজুদ থাকে না। বাইরে খেতে গিয়ে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়। হলের ক্যান্টিনে শুধু উচ্চমূল্যের খাবার পাওয়া যায়, যা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর সামর্থ্যের বাইরে। দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে ডাইনিং চালু হলে আমাদের জীবনযাত্রার ব্যয় কমবে এবং স্বস্তি মিলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ‘প্রয়োজনীয় লোকবল ও গ্যাস সংযোগের অভাবে ডাইনিং চালু করা যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নতুন লোক নিয়োগের অনুমোদন দিচ্ছে না। প্রতিটি হলে মাত্র ১৬ জন কর্মচারী আছেন, যারা পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত। তিনি আরও জানান, ডাইনিং চালুর বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্যাস সংযোগের সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির ডাইনিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
বিপুল ব্যয়ে নির্মিত এই হলগুলোতে ন্যূনতম সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন, সতর্ক করে বলেছেন যে, আরও দেরি হলে তাদের আর্থিক চাপ ও ভোগান্তি বাড়বে, যা শিক্ষাজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।