রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪টি বিভাগে ৫টি অস্থায়ীসহ ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দেবার নামে ইউজিসির নিয়ম না মানা, আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া, বিদেশে অবস্থানরত অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আবেদন করার সুযোগ না পাওয়াসহ নানান অভিযোগ উঠেছে।
আবেদন করার সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ৬ মে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ব্যাপকভাবে প্রচারিত না হওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারে নাই বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে পুনরায় আবেদন করার সুযোগ দানের দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কথা বলতে রাজি হননি তবে উপাচার্য বললেন বিজ্ঞাপন নিতে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পত্রিকার নাম দিয়ে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল স্মারক নম্বর বেরোবি/রে/শিক্ষক নিয়োগ- বিজ্ঞপ্তি /২০২৫/৯৮১ তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২৫ মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি বিভাগের জন্য ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড.হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়।
মোট ১৪টি বিভাগে ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দেবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্যে ১১টি স্থায়ী পদে এবং ৬টি বিভাগে শিক্ষা ছুটি জনিত শূন্য পদের বিপরীতে (অস্থায়ী) ভিত্তিতে নেবার কথা বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে প্রদান করা হয়। ইংরেজি দৈনিকে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় সেই পত্রিকার নাম কেউ কোনো দিন শোনেনি। আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞাপনটি দেয়া হয়েছে মূলত বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থী বা শিক্ষককতা পেশায় আছেন এমন প্রতিযোগীরা যাতে আবেদন করতে না পারেন- জানতে না পারেন সেজন্য কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিদেশে অধ্যায়নরত কয়েকজন প্রতিযোগীর স্বজনদের।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসির) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করেন এমন এক জন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে জানান- প্রথমতো, যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করার আগে ইউজিসিকে অবহিত করতে হয়।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষা জনিত ছুটিতে থাকা শিক্ষকের পরিবর্তে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হলে যদি ওই শিক্ষক শিক্ষা জনিত ছুটিতে যাবার পর থেকে কোনো বেতন ভাতা গ্রহণ না করেন তাহলে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। আর যদি বেতন ভাতা নিচ্ছেন এমন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অস্থায়ী ভিত্তিতে নেয়া যাবে না। কারণ নিয়োগ দেয়া হলে নয়া নিয়োগ পাওয়া শিক্ষককে কোনোভাবে বেতন ভাতা দিতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্য দিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেবার আগে অবশ্যই ইউজিসির অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে তাদের কাছে এমন আবেদন করা হয় নাই।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪টি বিভাগে ৫টি অস্থায়ীসহ ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দেবার নামে ইউজিসির নিয়ম না মানা, আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া, বিদেশে অবস্থানরত অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আবেদন করার সুযোগ না পাওয়াসহ নানান অভিযোগ উঠেছে।
আবেদন করার সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ৬ মে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ব্যাপকভাবে প্রচারিত না হওয়ায় অনেকেই আবেদন করতে পারে নাই বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে পুনরায় আবেদন করার সুযোগ দানের দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কথা বলতে রাজি হননি তবে উপাচার্য বললেন বিজ্ঞাপন নিতে নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পত্রিকার নাম দিয়ে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল স্মারক নম্বর বেরোবি/রে/শিক্ষক নিয়োগ- বিজ্ঞপ্তি /২০২৫/৯৮১ তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২৫ মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি বিভাগের জন্য ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড.হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়।
মোট ১৪টি বিভাগে ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দেবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্যে ১১টি স্থায়ী পদে এবং ৬টি বিভাগে শিক্ষা ছুটি জনিত শূন্য পদের বিপরীতে (অস্থায়ী) ভিত্তিতে নেবার কথা বলা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে প্রদান করা হয়। ইংরেজি দৈনিকে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় সেই পত্রিকার নাম কেউ কোনো দিন শোনেনি। আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকায় বিজ্ঞাপনটি দেয়া হয়েছে মূলত বিদেশে অবস্থানরত শিক্ষার্থী বা শিক্ষককতা পেশায় আছেন এমন প্রতিযোগীরা যাতে আবেদন করতে না পারেন- জানতে না পারেন সেজন্য কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিদেশে অধ্যায়নরত কয়েকজন প্রতিযোগীর স্বজনদের।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসির) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করেন এমন এক জন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে জানান- প্রথমতো, যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করার আগে ইউজিসিকে অবহিত করতে হয়।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষা জনিত ছুটিতে থাকা শিক্ষকের পরিবর্তে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হলে যদি ওই শিক্ষক শিক্ষা জনিত ছুটিতে যাবার পর থেকে কোনো বেতন ভাতা গ্রহণ না করেন তাহলে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। আর যদি বেতন ভাতা নিচ্ছেন এমন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই অস্থায়ী ভিত্তিতে নেয়া যাবে না। কারণ নিয়োগ দেয়া হলে নয়া নিয়োগ পাওয়া শিক্ষককে কোনোভাবে বেতন ভাতা দিতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্য দিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেবার আগে অবশ্যই ইউজিসির অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে তাদের কাছে এমন আবেদন করা হয় নাই।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।