লাঠিচার্জে আহত সাংবাদিকসহ ৩৭ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা -সংবাদ
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মিছিল কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। লাঠিপেটা করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে এবং জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার পর আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশ জানিয়েছে।
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেটে বৃদ্ধি এবং সব প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেয়ার তিন দফা দাবি নিয়ে বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি। পদযাত্রা সংক্ষিপ্ত করতে পুলিশ তাঁতীবাজার ও গুলিস্তান, জিপিও মোড়, মৎস্য ভবনে ব্যারিকেড দিলে শিক্ষার্থীরা সেগুলো ভেঙে সামনের দিকের অগ্রসর হন। তাদের মিছিল কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাদের পুলিশ বাধা দেয়।
একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীরা মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে চলে যান। পরে তারা আবারও ফিরে এসে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে রাস্তার ওপর বসে পড়েন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, যতক্ষণ তাদের দাবি না মেনে নেয়া হবে, ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে আমাদের ব্যারিকেডের বাইরে আছে। আমরা এখন সেখানেই আছি। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।’ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল বিভাগের সাদিয়া আক্তার নেলি, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রীতি আক্তার, ইংরেজি বিভাগের রাতুল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আবদুল্লাহ আল ফারুক, দর্শন বিভাগের আসিফ আদনান। এছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় তিন সংবাদকর্মীও আহত হয়েছেন। তারা হলেন দৈনিক সংবাদের মেহেদী হাসান, বাংলা ট্রিবিউনের সুবর্ণ আসসাইফ এবং ঢাকা পোস্টের মাহতাব লিমন।
আহত জবির ৩৭ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন
দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে অন্তত ৩৭ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার দুপুরে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।
পরে বেলা দেড়টার দিকে আহতদের মধ্যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। আহতরা হলেন, মো. রেদোওয়ান (২৪), আসিফ (২০), রহমান (২২), আকিব (২১), আরিফ (২২), রফিক (২৫), শফিক (২৫), ওমর ফারুক (২৪), মেহেদী হাসান (২৪), অর্থিব (২১), আপেল (২১), মুজাহিদ (২৩), রায়হান (২৩), ফারুক (২৩), আবু বক্কর (২২), নিউটন (২০), হানিফ (২২), জীবন (২২), মো. শহীদ (২০), মো. রাসেল (২২), জিসান (২২), মো. মাহাতাব (২৩), শহীদ (২৪), রাসেল (২৩), গৌরব (২৫), আব্দুল মান্নান (২২), নাহিদ (২৩), জুয়েল (২৩), মোহন (২২), সোহানুর রহমান সানি (২৪), মোছা. মাছুমা (২০), সংগ্রাম (২০), বাইতুল (২২), রাজু (২২), সুমন (২২), রাজীব (২২) ও আকাশ (২২)।
আহত জবি শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, আমরা তিন দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাচ্ছিলাম। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে। এতে আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৭ জনকে আহতাবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে পুলিশি বাধার বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি মাসুদুল আলম বলেন, পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। যমুনার সামনে যাওয়া বা সেখানে অবস্থান-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, কয়েকদিন আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনা ঘেরাও করা হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তখন কোনো ধরনের বাধা দেয়নি। উল্টো গরমে বিক্ষোভকারীদের স্বস্তি দিতে তাদের ওপর ঠান্ডা পানি স্প্রে করার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
আবাসন সমস্যায় থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত সোমবার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিয়ে ‘জবি ঐক্য’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন। সেদিন তাদের সমাবেশে দাবি আদায়ে যমুনা ঘেরাওয়ের কথা বলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেকে। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যায়। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ওই রাতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের তিন দফা দাবি হলো
আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে। এই আন্দোলনের কারণে সব ইনস্টিটিউট ও বিভাগের চলমান ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
লাঠিচার্জে আহত সাংবাদিকসহ ৩৭ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা -সংবাদ
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মিছিল কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। লাঠিপেটা করে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে এবং জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার পর আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ আহত অন্তত ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশ জানিয়েছে।
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেটে বৃদ্ধি এবং সব প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেয়ার তিন দফা দাবি নিয়ে বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি। পদযাত্রা সংক্ষিপ্ত করতে পুলিশ তাঁতীবাজার ও গুলিস্তান, জিপিও মোড়, মৎস্য ভবনে ব্যারিকেড দিলে শিক্ষার্থীরা সেগুলো ভেঙে সামনের দিকের অগ্রসর হন। তাদের মিছিল কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে তাদের পুলিশ বাধা দেয়।
একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। পরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীরা মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে চলে যান। পরে তারা আবারও ফিরে এসে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে রাস্তার ওপর বসে পড়েন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, যতক্ষণ তাদের দাবি না মেনে নেয়া হবে, ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা কাকরাইলে আমাদের ব্যারিকেডের বাইরে আছে। আমরা এখন সেখানেই আছি। তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।’ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল বিভাগের সাদিয়া আক্তার নেলি, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রীতি আক্তার, ইংরেজি বিভাগের রাতুল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আবদুল্লাহ আল ফারুক, দর্শন বিভাগের আসিফ আদনান। এছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় তিন সংবাদকর্মীও আহত হয়েছেন। তারা হলেন দৈনিক সংবাদের মেহেদী হাসান, বাংলা ট্রিবিউনের সুবর্ণ আসসাইফ এবং ঢাকা পোস্টের মাহতাব লিমন।
আহত জবির ৩৭ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন
দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে অন্তত ৩৭ জন শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার দুপুরে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার সময় কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।
পরে বেলা দেড়টার দিকে আহতদের মধ্যে ৩৭ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। আহতরা হলেন, মো. রেদোওয়ান (২৪), আসিফ (২০), রহমান (২২), আকিব (২১), আরিফ (২২), রফিক (২৫), শফিক (২৫), ওমর ফারুক (২৪), মেহেদী হাসান (২৪), অর্থিব (২১), আপেল (২১), মুজাহিদ (২৩), রায়হান (২৩), ফারুক (২৩), আবু বক্কর (২২), নিউটন (২০), হানিফ (২২), জীবন (২২), মো. শহীদ (২০), মো. রাসেল (২২), জিসান (২২), মো. মাহাতাব (২৩), শহীদ (২৪), রাসেল (২৩), গৌরব (২৫), আব্দুল মান্নান (২২), নাহিদ (২৩), জুয়েল (২৩), মোহন (২২), সোহানুর রহমান সানি (২৪), মোছা. মাছুমা (২০), সংগ্রাম (২০), বাইতুল (২২), রাজু (২২), সুমন (২২), রাজীব (২২) ও আকাশ (২২)।
আহত জবি শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, আমরা তিন দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাচ্ছিলাম। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে। এতে আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩৭ জনকে আহতাবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে পুলিশি বাধার বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি মাসুদুল আলম বলেন, পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। যমুনার সামনে যাওয়া বা সেখানে অবস্থান-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ নেই। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, কয়েকদিন আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনা ঘেরাও করা হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তখন কোনো ধরনের বাধা দেয়নি। উল্টো গরমে বিক্ষোভকারীদের স্বস্তি দিতে তাদের ওপর ঠান্ডা পানি স্প্রে করার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
আবাসন সমস্যায় থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত সোমবার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিয়ে ‘জবি ঐক্য’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করেন। সেদিন তাদের সমাবেশে দাবি আদায়ে যমুনা ঘেরাওয়ের কথা বলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেকে। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যায়। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ওই রাতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের তিন দফা দাবি হলো
আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে। এই আন্দোলনের কারণে সব ইনস্টিটিউট ও বিভাগের চলমান ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।