সৌদি আরবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের।
বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) রিয়াদে এই বৈঠক হয়। এ সময় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে করমর্দন করেন তারা। এই ছবি সৌদির রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচার করা হয়।
বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ট্রাম্প সিরিয়ার ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে তারা আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি বিবেচনা করার ঘোষণা দেন।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানান, শারাকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বানও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
আল-কায়েদার সঙ্গে শারার অতীত সংযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অংশ। ইসরায়েল শারার প্রশাসন নিয়ে এখনও গভীরভাবে সন্দিহান থাকলেও সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ওই ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা শারাকে
এখনও একজন ‘জিহাদী’ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন; যদিও ২০১৬ সালে তিনি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সিরিয়াকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসরায়েল সরকার তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও ওই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। দেশটির বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত শারার জন্য একটি বড় সাফল্য। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণভার নেন তিনি। তবে গত মার্চে বাশারপন্থিদের আকস্মিক হামলা ও পাল্টা ইসলামপন্থিদের আক্রমণে শত শত লোক নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
আহমেদ আল-শারা আগে আল-কায়েদার সিরিয়া শাখার নেতা ছিলেন। ইরাকে থাকতে তিনি এই সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন। পরে পাঁচ বছর সেখানকার মার্কিন কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র তার মাথার দাম হিসেবে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা তুলে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ১৪,২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই করেছে। চুক্তিটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি’ বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সফরকালে গতকাল মঙ্গলবার এই চুক্তি হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো সৌদি আরবকে ১৪,২০০ কোটি ডলার মূল্যের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও অন্যান্য সামরিক সেবা সরবরাহ করবে।
চুক্তি সইয়ের পর মঞ্চে এক বক্তব্যে ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ‘বিস্ময়কর’ একজন মানুষ বলে প্রশংসা করেন। ‘সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী’ বলেন তিনি।
উপসাগরীয় অঞ্চলের ধনী আরব দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগের আশা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প সৌদি আরব সফরে যান।
এই সফরে ট্রাম্পের প্রধান লক্ষ্য অর্থনৈতিক চুক্তি, গাজা যুদ্ধ বা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা নয়।
সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। অস্ত্রচুক্তি দীর্ঘদিন ধরেই দেশ দুটির এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হয়ে আছে।
কিন্তু ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন ইয়েমেনে ছড়িয়ে পড়া ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকার কারণে দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যাকাণ্ড ঘিরে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যে ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের হাত থাকার খবর বেরিয়ে এসেছিল। তবে বিন সালমান এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৯ সালে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকার সময় সৌদি আরবকে একঘরে করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তারপরও বাইডেনের আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছিল।
গতবছর থেকে আবার সৌদি আরবে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিক্রি শুরু হয়। আর এবার ট্রাম্পের আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে ওই ঐতিহাসিক চুক্তি হলো। ট্রাম্প এ চুক্তির পর এক ভাষণে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব আজ তাদের সম্পর্ক আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে।’
বক্তব্যে ট্রাম্প আরও কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে সিরিয়া, ইরান এবং গাজা-ইসরায়েল প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন। সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান বলে জানান তিনি।
ওদিকে, গাজাবাসীর আরও ভালো একটি ভবিষ্যৎ দরকার উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, কিন্তু গাজার নেতারা সাধারণ মানুষকে অপহরণ, নির্যাতন ও হামলার নিশানা করা বন্ধ না করা পর্যন্ত সেটি ঘটবে না।
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সৌদি আরবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের।
বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) রিয়াদে এই বৈঠক হয়। এ সময় সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উপস্থিতিতে করমর্দন করেন তারা। এই ছবি সৌদির রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচার করা হয়।
বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ট্রাম্প সিরিয়ার ইসলামপন্থি নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে তারা আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া এবং দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি বিবেচনা করার ঘোষণা দেন।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র জানান, শারাকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আহ্বানও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
আল-কায়েদার সঙ্গে শারার অতীত সংযোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু অংশ। ইসরায়েল শারার প্রশাসন নিয়ে এখনও গভীরভাবে সন্দিহান থাকলেও সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ওই ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা শারাকে
এখনও একজন ‘জিহাদী’ নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন; যদিও ২০১৬ সালে তিনি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সিরিয়াকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসরায়েল সরকার তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও ওই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। দেশটির বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত শারার জন্য একটি বড় সাফল্য। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির নিয়ন্ত্রণভার নেন তিনি। তবে গত মার্চে বাশারপন্থিদের আকস্মিক হামলা ও পাল্টা ইসলামপন্থিদের আক্রমণে শত শত লোক নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়।
আহমেদ আল-শারা আগে আল-কায়েদার সিরিয়া শাখার নেতা ছিলেন। ইরাকে থাকতে তিনি এই সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন। পরে পাঁচ বছর সেখানকার মার্কিন কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র তার মাথার দাম হিসেবে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা তুলে নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ১৪,২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি সই করেছে। চুক্তিটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি’ বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সফরকালে গতকাল মঙ্গলবার এই চুক্তি হয়। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো সৌদি আরবকে ১৪,২০০ কোটি ডলার মূল্যের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও অন্যান্য সামরিক সেবা সরবরাহ করবে।
চুক্তি সইয়ের পর মঞ্চে এক বক্তব্যে ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ‘বিস্ময়কর’ একজন মানুষ বলে প্রশংসা করেন। ‘সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী’ বলেন তিনি।
উপসাগরীয় অঞ্চলের ধনী আরব দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগের আশা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প সৌদি আরব সফরে যান।
এই সফরে ট্রাম্পের প্রধান লক্ষ্য অর্থনৈতিক চুক্তি, গাজা যুদ্ধ বা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা নয়।
সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। অস্ত্রচুক্তি দীর্ঘদিন ধরেই দেশ দুটির এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হয়ে আছে।
কিন্তু ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন ইয়েমেনে ছড়িয়ে পড়া ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকার কারণে দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যাকাণ্ড ঘিরে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যে ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের হাত থাকার খবর বেরিয়ে এসেছিল। তবে বিন সালমান এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৯ সালে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকার সময় সৌদি আরবকে একঘরে করার অঙ্গীকার করেছিলেন। তারপরও বাইডেনের আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছিল।
গতবছর থেকে আবার সৌদি আরবে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিক্রি শুরু হয়। আর এবার ট্রাম্পের আমলে সৌদি আরবের সঙ্গে ওই ঐতিহাসিক চুক্তি হলো। ট্রাম্প এ চুক্তির পর এক ভাষণে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব আজ তাদের সম্পর্ক আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে।’
বক্তব্যে ট্রাম্প আরও কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে সিরিয়া, ইরান এবং গাজা-ইসরায়েল প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন। সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান বলে জানান তিনি।
ওদিকে, গাজাবাসীর আরও ভালো একটি ভবিষ্যৎ দরকার উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, কিন্তু গাজার নেতারা সাধারণ মানুষকে অপহরণ, নির্যাতন ও হামলার নিশানা করা বন্ধ না করা পর্যন্ত সেটি ঘটবে না।