বুধবার চবির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান -পিআইডি
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার কাজ দ্রুত করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে রাজি করাতে হবে।’
বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শনের পর বন্দর ও নৌপরিবহন খাতের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘হৃদপি-’ হিসেবে বর্ণনা করে এর আধুনিকায়নে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, ‘এই হৃৎপি-কে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হব। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।’
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুরুতেই বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ইয়ার্ড-৫ পরিদর্শনে যান ইউনূস। সেখানে তিনি একটি সভায় যোগ দেন এবং বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, সে কথা তুলে ধরেন ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’
‘বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বিশ্ব যেখানে এগিয়ে চলেছে, বাংলাদেশ ‘অনেক পিছিয়ে পড়েছে’ মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কেউ গুরুত্ব দেয় না। এজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমি বলেছি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে হবে। আশা করি সবাই এক দিন বুঝবে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে একাধিক টার্মিনাল নির্মাণ কনটেইনার জট কমাতে সাহায্য করবে। আমি আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যেই আপনি পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানও সভায় বক্তব্য দেন।
মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চবি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি দিয়েছে চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। বুধবার, চবির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে এ ডিগ্রি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রধান উপদেষ্টা। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েট। এ দিন ২২ গবেষককে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হবে।
সমাবর্তনে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ কয়েকজন উপদেষ্টা ছিলেন। চবির সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে।
জলাবদ্ধতা শূন্যে
নামিয়ে আনার নির্দেশ
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা চলতি মৌসুমে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার, দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের উন্নয়ন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদের ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ বছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে, তাই এবার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে যদি এ বছর আশানুরূপ ফল না আসে তাহলে তো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।
সভায় অন্যেদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের
ফলক উন্মোচন
এর আগে সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এ সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্খিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফর করছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার চবির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান -পিআইডি
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার কাজ দ্রুত করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে রাজি করাতে হবে।’
বুধবার, (১৪ মে ২০২৫) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শনের পর বন্দর ও নৌপরিবহন খাতের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘হৃদপি-’ হিসেবে বর্ণনা করে এর আধুনিকায়নে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, ‘এই হৃৎপি-কে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। এজন্য আমি নেপাল ও ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) কথা বলেছি। যদি তারা এতে যুক্ত হয়, তারা উপকৃত হবে, আমরাও হব। যারা যুক্ত হবে না, তারা পিছিয়ে পড়বে।’
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুরুতেই বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ইয়ার্ড-৫ পরিদর্শনে যান ইউনূস। সেখানে তিনি একটি সভায় যোগ দেন এবং বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে বিশ্বের খ্যাতিসম্পন্ন বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, সে কথা তুলে ধরেন ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’
‘বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বৈশ্বিক পর্যায়ের শীর্ষ কোম্পানিগুলোকে আগেও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বিশ্ব যেখানে এগিয়ে চলেছে, বাংলাদেশ ‘অনেক পিছিয়ে পড়েছে’ মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘কেউ গুরুত্ব দেয় না। এজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমি বলেছি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে হবে। আশা করি সবাই এক দিন বুঝবে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে একাধিক টার্মিনাল নির্মাণ কনটেইনার জট কমাতে সাহায্য করবে। আমি আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যেই আপনি পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানও সভায় বক্তব্য দেন।
মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি দিলো চবি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি দিয়েছে চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। বুধবার, চবির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে এ ডিগ্রি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রধান উপদেষ্টা। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন ২২ হাজার ৫৬০ জন গ্র্যাজুয়েট। এ দিন ২২ গবেষককে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হবে।
সমাবর্তনে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানসহ কয়েকজন উপদেষ্টা ছিলেন। চবির সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে।
জলাবদ্ধতা শূন্যে
নামিয়ে আনার নির্দেশ
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা চলতি মৌসুমে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার, দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের উন্নয়ন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি, সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদের ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ বছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে, তাই এবার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাতে যদি এ বছর আশানুরূপ ফল না আসে তাহলে তো সব কিছু মনে হবে জলে গেল।
সভায় অন্যেদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের
ফলক উন্মোচন
এর আগে সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের স্মারক ফলক উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এ সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত আছেন। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্খিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফর করছেন মুহাম্মদ ইউনূস।