ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে ৬ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। শনিবার,(১৭ মে ২০২৫) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজা। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।
আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী জানান, আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত বৃহস্পতিবার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা তৌফিক হাসান। ওই আবেদনের ওপর আসামিদের উপস্থিতিতে শনিবার শুনানি হয়। এরপর বিচারক তাদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা জিন্নাত বলেন, শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
অপরাধ করলে তো পালানোর
চেষ্টা করতাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি
করেছেন। তারা আদালতকে বলেছেন, কোনো অপরাধ করলে তারা পালানোর চেষ্টাই করতেন। ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজার আদালতে শনিবার রিমান্ড শুনানিতে তারা এ কথা বলেন।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজার আদালতে তিন আসামি হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের আইনজীবী নাই?’ আসামিরা ‘আছে’ বলে জানান। তবে শুনানিতে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে দেখা যায়নি। এ সময় আসামিদের কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান বিচারক।
তখন আসামি তামিম হওলাদার বলেন, ‘আমাদের ফার্মগেট আর গুলিস্তানে ফুটপাতে দোকান আছে। গুলিস্তানের দোকানে বিক্রি ভালো হতো না। এজন্য গুলিস্তান থেকে দোকানটা ফার্মগেট নিয়ে যাই। সেখানে একটা চৌকি ছিল, নিয়ে যাই। আমরা তিনজন সুজুকি বাইকে করে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে রমনা কালিমন্দিরে গিয়ে বসি।
‘দেখি স্টুডেন্টদের দুইপক্ষ দৌড়াদৌড়ি করছে। তাদের দৌড়ে আমাদের বাইকটা পড়ে যায়। লুকিং গ্ল্যাস ভেঙে যায়। আমরা বলি, আমাদের বাইকের ক্ষতি করলেন। এ সময় কয়েকজন আমাদের এলোপাথাড়ি আঘাত করে। আমরা আহত হই। আমাদের হাউকাউয়ে লোকজন জমা হয়। শাহবাগ থানার পুলিশও আসে। এসআই কামাল স্যার আমাদের এ অবস্থা দেখে ট্রিটমেন্ট নিতে বলেন। আমরা শমরিতা হাসপাতালে যাই চিকিৎসা নিতে। আমরা অপরাধ করলে তো পালিয়ে যেতাম।’ এ সময় তিনজনই বলেন, এই ঘটনার পর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা কোনো অপরাধ করেননি, সন্দেহের বশে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনই কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে আদালত আসামিদের ৬ দিন রিমান্ডের আদেশ দেয়।
পরে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে তামিম বলেন, ‘আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। আপনারা সবাই আমাদের ভুল বুঝতেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। মূল যে আসামি তাকে ধরা হোক। আমাদের কেন ধরছে? সুইসাইড করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’ আরেক আসামি সম্রাট মল্লিক বলেন, ‘আমাদের মিথ্যাভাবে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা পথচারী। সেখানে আমরা চা খেতে গিয়েছিলাম।’
গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বুধবার সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। এ দিকে ঘটনার রাতেই রাজধানীর রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বুধবার আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশের আবেদনের শুনানি নিয়ে শনিবার তাদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলো আদালত।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে ৬ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। শনিবার,(১৭ মে ২০২৫) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজা। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।
আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিন্নাত আলী জানান, আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত বৃহস্পতিবার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা তৌফিক হাসান। ওই আবেদনের ওপর আসামিদের উপস্থিতিতে শনিবার শুনানি হয়। এরপর বিচারক তাদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা জিন্নাত বলেন, শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
অপরাধ করলে তো পালানোর
চেষ্টা করতাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি
করেছেন। তারা আদালতকে বলেছেন, কোনো অপরাধ করলে তারা পালানোর চেষ্টাই করতেন। ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজার আদালতে শনিবার রিমান্ড শুনানিতে তারা এ কথা বলেন।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজার আদালতে তিন আসামি হাজির করা হলে বিচারক তাদেরকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের আইনজীবী নাই?’ আসামিরা ‘আছে’ বলে জানান। তবে শুনানিতে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে দেখা যায়নি। এ সময় আসামিদের কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান বিচারক।
তখন আসামি তামিম হওলাদার বলেন, ‘আমাদের ফার্মগেট আর গুলিস্তানে ফুটপাতে দোকান আছে। গুলিস্তানের দোকানে বিক্রি ভালো হতো না। এজন্য গুলিস্তান থেকে দোকানটা ফার্মগেট নিয়ে যাই। সেখানে একটা চৌকি ছিল, নিয়ে যাই। আমরা তিনজন সুজুকি বাইকে করে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে রমনা কালিমন্দিরে গিয়ে বসি।
‘দেখি স্টুডেন্টদের দুইপক্ষ দৌড়াদৌড়ি করছে। তাদের দৌড়ে আমাদের বাইকটা পড়ে যায়। লুকিং গ্ল্যাস ভেঙে যায়। আমরা বলি, আমাদের বাইকের ক্ষতি করলেন। এ সময় কয়েকজন আমাদের এলোপাথাড়ি আঘাত করে। আমরা আহত হই। আমাদের হাউকাউয়ে লোকজন জমা হয়। শাহবাগ থানার পুলিশও আসে। এসআই কামাল স্যার আমাদের এ অবস্থা দেখে ট্রিটমেন্ট নিতে বলেন। আমরা শমরিতা হাসপাতালে যাই চিকিৎসা নিতে। আমরা অপরাধ করলে তো পালিয়ে যেতাম।’ এ সময় তিনজনই বলেন, এই ঘটনার পর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা কোনো অপরাধ করেননি, সন্দেহের বশে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনই কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে আদালত আসামিদের ৬ দিন রিমান্ডের আদেশ দেয়।
পরে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে তামিম বলেন, ‘আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। আপনারা সবাই আমাদের ভুল বুঝতেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। মূল যে আসামি তাকে ধরা হোক। আমাদের কেন ধরছে? সুইসাইড করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।’ আরেক আসামি সম্রাট মল্লিক বলেন, ‘আমাদের মিথ্যাভাবে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা পথচারী। সেখানে আমরা চা খেতে গিয়েছিলাম।’
গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত বুধবার সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়। এ দিকে ঘটনার রাতেই রাজধানীর রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বুধবার আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশের আবেদনের শুনানি নিয়ে শনিবার তাদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলো আদালত।