নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি টানা পাঁচ দিন অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়ন। যোগ দিয়েই তারা সেবা বন্ধ ও ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি দেয় -সংবাদ
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তার সমর্থকদের টানা আন্দোলনে যোগ দিয়েছে এই করপোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়ন। তারা ঘোষণা দিয়েছে, আজ সকাল ১০টার মধ্যে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো না হলে ডিএসসিসি এলাকার সব নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে।
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর রিট আবেদনের আদেশ বুধবার
সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না
নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে মঙ্গলবার,(২০ মে ২০২৫) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন, স্ক্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতির নেতারা তাতে যোগ দেন।
ডিএসসিসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বর্তমান সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। আমাদের দাবি মেনে নিন। সামনে কোরবানির ঈদ, আমরা কী করতে পারি আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। আমরা ঢাকা অচল করে দেব।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবার ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে দিনভর লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এদিন সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনে অবস্থান নেয় তারা।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আসেন তারা। নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়। এ সময় তারা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। সড়কে অবস্থানের কারণে বঙ্গবাজার থেকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘কাল (বুধবার)১০টা পর্যন্ত সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমরা সেই সময়ই কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। যে যে অবস্থানে আছেন, সেই অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আমরাও সেই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’
‘ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে বসা নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দেয়া বিবৃতি চরম
মিথ্যাচার। যদি আগামীকালের মধ্যে এই দাবি মেনে নেয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ নিজেকে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিতে গত শনিবার স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠিও দেন ইশরাক হোসেন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার খিলক্ষেত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আদালতের রায় ঘোষণার পরও ইশরাককে শপথ নিতে দেয়া হচ্ছে না। আদালতের রায়ে চট্টগ্রামে শাহাদাত হোসেন মেয়র হতে পারলে ইশরাক কী দোষ করেছেন। অর্থাৎ সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না।’
বিএনপির এই নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বয়স অনেক কম। হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে গেছেন। এজন্য তার কথাবার্তায় ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।’
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর রিট আবেদনের আদেশ আজ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের আদেশ হবে আজ। মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ দুপুরে আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে মোহাম্মদ হোসেন এবং ইশরাক হোসেনের পক্ষে এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল শুনানি করেন।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের ভিত্তিতে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাককে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে তার শপথ অনুষ্ঠান এখনও হয়নি, যেজন্য তার সমর্থকরা অবস্থান কর্মূসচি পালন করে আসছেন।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না।
নগর ভবনে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি টানা পাঁচ দিন অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়ন। যোগ দিয়েই তারা সেবা বন্ধ ও ঢাকা অচলের হুঁশিয়ারি দেয় -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তার সমর্থকদের টানা আন্দোলনে যোগ দিয়েছে এই করপোরেশনের কর্মচারী ইউনিয়ন। তারা ঘোষণা দিয়েছে, আজ সকাল ১০টার মধ্যে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো না হলে ডিএসসিসি এলাকার সব নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে।
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর রিট আবেদনের আদেশ বুধবার
সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না
নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে মঙ্গলবার,(২০ মে ২০২৫) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন, স্ক্যাভেঞ্জারস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, পরিবহন চালক ও শ্রমিক ইউনিয়ন, বিদ্যুৎ কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমাজকল্যাণ সমিতির নেতারা তাতে যোগ দেন।
ডিএসসিসি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বর্তমান সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে মানুষকে কষ্ট দিয়েন না। আমাদের দাবি মেনে নিন। সামনে কোরবানির ঈদ, আমরা কী করতে পারি আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না। আমরা ঢাকা অচল করে দেব।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে মঙ্গলবার ও তার সমর্থকরা নগর ভবনে দিনভর লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এদিন সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনে অবস্থান নেয় তারা।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আসেন তারা। নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়। এ সময় তারা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। সড়কে অবস্থানের কারণে বঙ্গবাজার থেকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘কাল (বুধবার)১০টা পর্যন্ত সময় দিলাম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমরা সেই সময়ই কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব। যে যে অবস্থানে আছেন, সেই অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন বলে ঘোষণা করেছেন। আমরাও সেই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’
‘ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে বসা নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের দেয়া বিবৃতি চরম
মিথ্যাচার। যদি আগামীকালের মধ্যে এই দাবি মেনে নেয়া না হয়, এর খেসারত সরকারকেই দিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ নিজেকে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিতে গত শনিবার স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠিও দেন ইশরাক হোসেন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার খিলক্ষেত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আদালতের রায় ঘোষণার পরও ইশরাককে শপথ নিতে দেয়া হচ্ছে না। আদালতের রায়ে চট্টগ্রামে শাহাদাত হোসেন মেয়র হতে পারলে ইশরাক কী দোষ করেছেন। অর্থাৎ সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না।’
বিএনপির এই নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার বয়স অনেক কম। হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে গেছেন। এজন্য তার কথাবার্তায় ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।’
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর রিট আবেদনের আদেশ আজ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের আদেশ হবে আজ। মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ দুপুরে আদেশের জন্য দিন ঠিক করে দিয়েছে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে মোহাম্মদ হোসেন এবং ইশরাক হোসেনের পক্ষে এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল শুনানি করেন।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ের ভিত্তিতে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয় সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাককে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তবে তার শপথ অনুষ্ঠান এখনও হয়নি, যেজন্য তার সমর্থকরা অবস্থান কর্মূসচি পালন করে আসছেন।
গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না।