খুন ও মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচাতো দুই ভাই আরিফ হোসেন ও খাইরুদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে আরিফ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার বড় ভাই খাইরুদ্দিন (৪০) গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার,(২০ মে ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড হাসিমারকাটা সিকাদার পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ ওই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে ও অপর আহত খাইরুদ্দিন জামাল উদ্দিনের ছেলে। সম্পর্কে তারা আপন চাচাতো ভাই। আরিফ হোসেন স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা জামায়াত নেতারা।
ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া সার্কেল এএসপি অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাজ্জাদ হোসেন সুজনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, নিহত আরিফ ও তার চাচাতো ভাই খাইরুদ্দিনসহ স্থানীয় ছোয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সুজন (৩৬) আরিফ ও খাইরুদ্দিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আরিফ মারা যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জমি-জমা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ রয়েছে। আরিফের পরিবারের বেশকিছু জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখলে রেখেছে সুজনের পরিবার। এ ঘটনায় সম্প্রতি সময়ে আরিফ তাদের জমি উদ্ধারে স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে নালিশ (বিচার) দেন। মূলত বিচার দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, সুজন সদ্য বিদেশ থেকে এসেছেন। বাড়ির পাশে তার টমটম গ্যারেজ ও মুরগী ফার্মের ব্যবসা রয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত আরিফের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন সুজনকে কৈয়ারবিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুন ও মরদেহ উদ্ধার
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচাতো দুই ভাই আরিফ হোসেন ও খাইরুদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে আরিফ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার বড় ভাই খাইরুদ্দিন (৪০) গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার,(২০ মে ২০২৫) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড হাসিমারকাটা সিকাদার পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ ওই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে ও অপর আহত খাইরুদ্দিন জামাল উদ্দিনের ছেলে। সম্পর্কে তারা আপন চাচাতো ভাই। আরিফ হোসেন স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের বায়তুলমাল সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা জামায়াত নেতারা।
ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া সার্কেল এএসপি অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাজ্জাদ হোসেন সুজনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, নিহত আরিফ ও তার চাচাতো ভাই খাইরুদ্দিনসহ স্থানীয় ছোয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সুজন (৩৬) আরিফ ও খাইরুদ্দিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আরিফ মারা যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জমি-জমা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ রয়েছে। আরিফের পরিবারের বেশকিছু জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখলে রেখেছে সুজনের পরিবার। এ ঘটনায় সম্প্রতি সময়ে আরিফ তাদের জমি উদ্ধারে স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে নালিশ (বিচার) দেন। মূলত বিচার দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, সুজন সদ্য বিদেশ থেকে এসেছেন। বাড়ির পাশে তার টমটম গ্যারেজ ও মুরগী ফার্মের ব্যবসা রয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত আরিফের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন সুজনকে কৈয়ারবিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।