খুন ও মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমে পূর্বপাড়া এলাকায় স্ত্রী মিতু আক্তারকে (২৮) নিজ হাতে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় হাজির হয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী সুমন ওরফে সাহজাহান (৪৫)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ ঘরে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার,(২০ মে ২০২৫) ভোর ৫টার দিকে থানায় হাজির হয়ে স্ত্রী হত্যার কথা পুলিশকে জানান স্বামী। পরে ঘর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মিতু (২৮) নৈদিঘীর পাথর এলাকার মন্টু শিকদারের কন্যা। স্বামী সুমন ওরফে সাহজাহান (৪৫) রিকারি বাজার বটতলা এলাকার শরিয়ত উল্লাহর পুত্র।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা বলেন, প্রায় ৮ মাস আগে মিতু আক্তারকে বিয়ে করে অভিযুক্ত সুম?ন। নিহত মিতুর আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিলো। সেখানে তিন সন্তান রয়েছে। সুমনেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ, ঝগড়াঝাটি লেগেই ছিলো। কিছুদিন আগে ঝগড়া করে মিতু তার বাবার বাড়ি চলে গেলে মঙ্গলবার তার স্বামীর বন্ধুরা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। সেদিনই রাত ২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে বন্ধুদের সহযোগিতায় স্ত্রী মিতুকে ধারালো বটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সুমন।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, স্ত্রীকে হত্যা করে নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী সুমন মিয়া। তবে ঘরে বসে মদ্যপানের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
ওসি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
অভয়নগরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যশোর অফিস জানায়, যশোরের অভয়নগরে শ্বশুরবাড়ির শিরীষগাছ থেকে শাকিল আহমেদ পরামানিক ওরফে শাকিল (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাঙ্গাগেট লক্ষীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শাকিল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম পরামানিকের ছেলে। তিনি নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় সরদার মিল ঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে অভয়নগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে খন্দকারপাড়ার শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেলের মেয়ে সিনথিয়ার সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাকিল শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। সাফওয়ান নামে তাদের ঘরে চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। গত এক বছর শাকিলের সঙ্গে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক কারবারিদের চলাচল করতে দেখা গেছে।
নিহতের স্ত্রী সিনথিয়া বেগম বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে জরুরি কাজের কথা বলে এক হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শাকিল। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি শুরু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পেছনে একটি শিরীষগাছে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। তার আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
শাকিলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেল বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঘরজামাই হিসেবে আমার বাড়িতে থাকত শাকিল। সম্প্রতি সে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। তবে পুলিশি তদন্তের পর সবকিছু পরিষ্কার হবে।’
এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ‘খ) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
খুন ও মরদেহ উদ্ধার
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমে পূর্বপাড়া এলাকায় স্ত্রী মিতু আক্তারকে (২৮) নিজ হাতে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় হাজির হয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী সুমন ওরফে সাহজাহান (৪৫)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ ঘরে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার,(২০ মে ২০২৫) ভোর ৫টার দিকে থানায় হাজির হয়ে স্ত্রী হত্যার কথা পুলিশকে জানান স্বামী। পরে ঘর থেকে রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মিতু (২৮) নৈদিঘীর পাথর এলাকার মন্টু শিকদারের কন্যা। স্বামী সুমন ওরফে সাহজাহান (৪৫) রিকারি বাজার বটতলা এলাকার শরিয়ত উল্লাহর পুত্র।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা বলেন, প্রায় ৮ মাস আগে মিতু আক্তারকে বিয়ে করে অভিযুক্ত সুম?ন। নিহত মিতুর আগে আরেকটি বিয়ে হয়েছিলো। সেখানে তিন সন্তান রয়েছে। সুমনেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ, ঝগড়াঝাটি লেগেই ছিলো। কিছুদিন আগে ঝগড়া করে মিতু তার বাবার বাড়ি চলে গেলে মঙ্গলবার তার স্বামীর বন্ধুরা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। সেদিনই রাত ২টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে বন্ধুদের সহযোগিতায় স্ত্রী মিতুকে ধারালো বটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ও গলায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সুমন।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, স্ত্রীকে হত্যা করে নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী সুমন মিয়া। তবে ঘরে বসে মদ্যপানের বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
ওসি জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
অভয়নগরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যশোর অফিস জানায়, যশোরের অভয়নগরে শ্বশুরবাড়ির শিরীষগাছ থেকে শাকিল আহমেদ পরামানিক ওরফে শাকিল (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাঙ্গাগেট লক্ষীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শাকিল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম পরামানিকের ছেলে। তিনি নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় সরদার মিল ঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে অভয়নগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে খন্দকারপাড়ার শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেলের মেয়ে সিনথিয়ার সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাকিল শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। সাফওয়ান নামে তাদের ঘরে চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। গত এক বছর শাকিলের সঙ্গে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক কারবারিদের চলাচল করতে দেখা গেছে।
নিহতের স্ত্রী সিনথিয়া বেগম বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে জরুরি কাজের কথা বলে এক হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় শাকিল। রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি শুরু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পেছনে একটি শিরীষগাছে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়। তার আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
শাকিলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেল বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঘরজামাই হিসেবে আমার বাড়িতে থাকত শাকিল। সম্প্রতি সে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। তবে পুলিশি তদন্তের পর সবকিছু পরিষ্কার হবে।’
এ ব্যাপারে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ‘খ) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’