ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ধীরে ধীরে চাপ বাড়ানোর কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি। তারই অংশ ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবি আন্দোলন। এই দুই ইস্যুতে ইতোমধ্যে রাজপথে লাগাতার কর্মসূচি দিচ্ছে দলটি। এক সপ্তাহ ধরে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবনের সামনে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তার সমর্থকরা। আর শাহবাগে সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রদল।
এর পাল্টা হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। আগে ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন’- এই ইস্যুতেও দুই দলের বিরোধী অবস্থান দেখা গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে অবিলম্বে কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এনসিপি নেতারা। এসব নানা অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনকে ‘বিএনপিপন্থি কমিশন’ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেন এনসিপি নেতারা। এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচন কমিশনকে ‘বিএনপির দলীয় আখড়া’ বলে অভিহিত করেন। তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলেরও দাবি জানান। এনসিপি ও বিএনপি একই সময় মাঠের আন্দোলনে থাকলেও এমন বক্তব্য ও ঘোষণার মধ্য দিয়ে দল দু’টির মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ অভিহিত করে লিখিত বক্তব্যে দলটি বলে, ‘২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অবৈধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকাই দায়ী বলে আমরা মনে করি।’
নিত্যনতুন দাবি আদায়ের নামে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। তাদের শঙ্কা, রাষ্ট্রপতি অপসারণ, সংবিধান বাতিল, গণভোট, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো ইস্যুগুলোতে তারা (এনসিপি) ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সরকার সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কিনা কিংবা সরকারের অবস্থান তখন কী হয় সেটি নিয়েও তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ের জন্য দলটি ইশরাক এবং সাম্য- এই দুই ইস্যুতে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্যরে জানান দিতে চায়। এই দুই ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করে তারা সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায় করে নিতে চায়। তবে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে কোনো সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় না দলের শীর্ষমহল। এ জন্য নির্বাচনের দাবিতে সরাসরি কোনো কর্মসূচিতেও যাবে না দলটি।
এসব বিষয় নিয়ে গত সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে। বৈঠকে দলটির নীতিনির্ধারকরা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার ৯ মাসেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, সরকারের মধ্যে কতিপয় স্বার্থান্বেষী চক্র নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি করছে। ফলে নানা ঘটনায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সরকার সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারের একটি প্রভাবশালী অংশ বিরাজনীতিকরণ বা তাদের মদদপুষ্ট একটি দলকে প্রতিষ্ঠিত করতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে। তাদের এই চেষ্টা সফল হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে সংসদ নির্বাচন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি দুই ইস্যু (ইশরাক ও সাম্য) নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা করেন নেতারা। এরপরই গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে দলের নীতিনির্ধারকরা। ইশরাক-সাম্য ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করতে জনসমাগম আরও বাড়ানোর জন্য তাগিত দেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পরস্পরের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে কালো ছায়া দেখা যাচ্ছে।’ নেতাকর্মীদের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত থাকার কথাও বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরি বলেন, ‘এটা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার, তাদের দায়িত্ব ছিল একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া। কিন্তু তারা নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
দলটির স্থায়ী কমিটির অপর এক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা সরকারকে সময় দিচ্ছি, সুযোগ দিচ্ছি। তার মানে এই নয় যে, এই ধৈর্য অনন্তকাল থাকবে।’
ঢাকা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘সরকারকে বিপদে ফেলতে ও নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে নানা চক্রান্ত চলছে। গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন কিছু ইস্যু নিয়ে হঠাৎ করে একটি মহলের আন্দোলনে নামার ঘটনা সন্দেহজনক। পতিত স্বৈরাচারের লোকজনও হঠাৎ রাজপথে মিছিল করছে। এর মধ্য দিয়ে তারা সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সরকারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ধীরে ধীরে চাপ বাড়ানোর কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি। তারই অংশ ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবি আন্দোলন। এই দুই ইস্যুতে ইতোমধ্যে রাজপথে লাগাতার কর্মসূচি দিচ্ছে দলটি। এক সপ্তাহ ধরে ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে নগর ভবনের সামনে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তার সমর্থকরা। আর শাহবাগে সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রদল।
এর পাল্টা হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। আগে ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন’- এই ইস্যুতেও দুই দলের বিরোধী অবস্থান দেখা গেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আমলে নিয়ে অবিলম্বে কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। কর্মসূচিতে বক্তব্যকালে ইশরাক হোসেনের মেয়র পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এনসিপি নেতারা। এসব নানা অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনকে ‘বিএনপিপন্থি কমিশন’ আখ্যা দিয়ে বক্তব্য দেন এনসিপি নেতারা। এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচন কমিশনকে ‘বিএনপির দলীয় আখড়া’ বলে অভিহিত করেন। তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলেরও দাবি জানান। এনসিপি ও বিএনপি একই সময় মাঠের আন্দোলনে থাকলেও এমন বক্তব্য ও ঘোষণার মধ্য দিয়ে দল দু’টির মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ অভিহিত করে লিখিত বক্তব্যে দলটি বলে, ‘২০২০ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অবৈধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকাই দায়ী বলে আমরা মনে করি।’
নিত্যনতুন দাবি আদায়ের নামে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। তাদের শঙ্কা, রাষ্ট্রপতি অপসারণ, সংবিধান বাতিল, গণভোট, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো ইস্যুগুলোতে তারা (এনসিপি) ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সরকার সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কিনা কিংবা সরকারের অবস্থান তখন কী হয় সেটি নিয়েও তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ের জন্য দলটি ইশরাক এবং সাম্য- এই দুই ইস্যুতে তাদের রাজনৈতিক শক্তি ও সামর্থ্যরে জানান দিতে চায়। এই দুই ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করে তারা সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায় করে নিতে চায়। তবে এসব কর্মসূচির মাধ্যমে কোনো সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় না দলের শীর্ষমহল। এ জন্য নির্বাচনের দাবিতে সরাসরি কোনো কর্মসূচিতেও যাবে না দলটি।
এসব বিষয় নিয়ে গত সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে। বৈঠকে দলটির নীতিনির্ধারকরা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার ৯ মাসেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, সরকারের মধ্যে কতিপয় স্বার্থান্বেষী চক্র নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি করছে। ফলে নানা ঘটনায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সরকার সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারের একটি প্রভাবশালী অংশ বিরাজনীতিকরণ বা তাদের মদদপুষ্ট একটি দলকে প্রতিষ্ঠিত করতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে। তাদের এই চেষ্টা সফল হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই বৈঠকে সংসদ নির্বাচন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি দুই ইস্যু (ইশরাক ও সাম্য) নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা করেন নেতারা। এরপরই গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে দলের নীতিনির্ধারকরা। ইশরাক-সাম্য ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করতে জনসমাগম আরও বাড়ানোর জন্য তাগিত দেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পরস্পরের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে কালো ছায়া দেখা যাচ্ছে।’ নেতাকর্মীদের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত থাকার কথাও বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরি বলেন, ‘এটা একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার, তাদের দায়িত্ব ছিল একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা তুলে দেয়া। কিন্তু তারা নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
দলটির স্থায়ী কমিটির অপর এক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা সরকারকে সময় দিচ্ছি, সুযোগ দিচ্ছি। তার মানে এই নয় যে, এই ধৈর্য অনন্তকাল থাকবে।’
ঢাকা উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ‘সরকারকে বিপদে ফেলতে ও নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে নানা চক্রান্ত চলছে। গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন কিছু ইস্যু নিয়ে হঠাৎ করে একটি মহলের আন্দোলনে নামার ঘটনা সন্দেহজনক। পতিত স্বৈরাচারের লোকজনও হঠাৎ রাজপথে মিছিল করছে। এর মধ্য দিয়ে তারা সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। সরকারও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’