এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-কলেজের শপথ বদলানো হয়েছে।
গত তিন বছর স্কুল-কলেজের প্রতিদিনের সমাবেশের শপথে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং এ সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা ছিল। নতুন শপথে তা বাদ দেয়া হয়েছে। শপথ থেকে বাদ পড়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনায়’ দেশ গড়ার প্রত্যয়ও।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল-কলেজের সমাবেশে শপথবাক্যকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে ২০২১ সালের আগের আদলে। আর গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ পরিবর্তন করা হয়।
বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে শপথ পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। উপ-সচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ‘সাম্যের বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠায় নতুন শপথটি স্কুল-কলেজের সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠ করতে বলা হয়েছে।
নতুন শপথ হলো- ‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না।
হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’
২০২২ সালের আগে এ শপথটিই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ করা হতো। ২০১৩ সালের আগে ‘অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না’ অংশটি বাদে বাকি শপথবাক্যটি পাঠ করা হতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল শপথে ‘অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না’ অংশটি যুক্ত হয়।২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শপথ পরিবর্তন করে।
সে শপথটি ছিল- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
‘আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-কলেজের শপথ বদলানো হয়েছে।
গত তিন বছর স্কুল-কলেজের প্রতিদিনের সমাবেশের শপথে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং এ সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা ছিল। নতুন শপথে তা বাদ দেয়া হয়েছে। শপথ থেকে বাদ পড়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনায়’ দেশ গড়ার প্রত্যয়ও।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল-কলেজের সমাবেশে শপথবাক্যকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে ২০২১ সালের আগের আদলে। আর গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ পরিবর্তন করা হয়।
বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে শপথ পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। উপ-সচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ‘সাম্যের বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠায় নতুন শপথটি স্কুল-কলেজের সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠ করতে বলা হয়েছে।
নতুন শপথ হলো- ‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না।
হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’
২০২২ সালের আগে এ শপথটিই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠ করা হতো। ২০১৩ সালের আগে ‘অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না’ অংশটি বাদে বাকি শপথবাক্যটি পাঠ করা হতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল শপথে ‘অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না’ অংশটি যুক্ত হয়।২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শপথ পরিবর্তন করে।
সে শপথটি ছিল- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
‘আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’