আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতিশ্রুতি’ পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রবাড়ীর কাজলা অংশ থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন গ্যাসের দাবিতে আন্দোলনে নামা স্থানীয় বাসিন্দারা। আগামী ১৫ দিন ওই এলাকার সিএনজি রিফুয়েলিং পাম্পটি বন্ধ থাকবে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে তারা সড়ক ছাড়েন। ফলে তিন ঘণ্টা পর ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনে যোগ দেয়া কাজলার পাড়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ হান্নান বলেন, পুলিশ আমাদের বলেছে, কাজলার সুলেমান মিয়ার সিএনজি পাম্ম আগামী ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে গ্যাস সমস্যার সমাধান করে লাগলে আবার আলোচনা করবে। পুলিশ কথা দেয়ায় আমরা রাস্তা ছাইড়া দিছি।’
কাজলার পাড় মোড়ের কাছে সম্প্রতি ওই সিএনজি রিফুয়েলিং পাম্পটি চালু করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নতুন মেশিন দিয়ে গ্যাস পাইপলাইনের পুরো গ্যাস টেনে নেয় পাম্পটি। তাতে দিনের বেশিরভাগ সময় তিতাসের আবাসিক সংযোগে গ্যাস থাকে না।
আগে সন্ধ্যার পর কিছুটা গ্যাস পাওয়া গেলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে চুলা জ্বলছে না এলাকার কোনো বাসায়। এ পরিস্থিতিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে হাত-মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মূল সড়কে আসার আহ্বান জানান স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়েকশ নারী-পুরুষ সড়কে নামলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলে আন্দোলনকারীরা তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পাম্পটি চালু হওয়ার পর থেকেই তাদের সমস্যার শুরু। গ্যাস না পেলে তারা সড়ক ছাড়বেন না। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫ দিন পাম্পটি বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
স্থানীয় গৃহিনী সেতারা খাতুন বলেন, স্বামী তার ব্যাংকার, সকাল ৭টার মধ্যে তার জন্য দুপুরের খাবার করে দিতে হয়। ‘আগে রাতে রান্না করে রাখতাম, এখন গ্যাস নাই। প্রথম দুই দিন মনে করেছিলাম, লাইনে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। দেখি এক সপ্তাহ হলো গ্যাসের কোনো খবর নাই। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাস আর আলাদা চুলা কিনতে হলো।’
এলাকায় গ্যাস না থাকার কথা জানিয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন কাজলা কুতুবখালী এলাকার জসিম উদ্দিন। তাতেও কাজ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফোন দিলাম, কোনো কামে লাগলো না। রাস্তায় নামা ছাড়া তো কোনো উপায় ছিল না।’
কর্মজীবী লতিফ সিদ্দিকি কাজলায় একা থাকেন বাসা নিয়ে। নিজের রান্না নিজেই করেন জানিয়ে বলেন, ‘দুপুরে এক বেলা রান্না করি, তাই দিয়ে দুই বেলা খাই। সকালে হোটেলে নাস্তা করি। গত এক সপ্তাহ তিন বেলাই হোটেলে খাচ্ছি উপায় না পেয়ে। আমি তো হোটেলের খাবার খাব না বলেই কষ্ট করে রান্না করি।’
কাজলা এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কোনো প্রকার ঘোষণা বা এলাকায় মাইকিং করেনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির ফেইসবুক পেইজেও ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজলা অংশ অবরোধ করলে তিতাস এক বার্তায় জানায়, এ দিন দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা দোলাইরপাড় থেকে দনিয়া শনির আখড়া সড়কের উভয়পাশে সব শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আশপাশেরও এলাকাতেও গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস কর্তৃপক্ষের জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষকে সময়ে সময়ে পুরো চিত্র জানিয়ে দেই। কখন কোন এলাকায় গ্যাসের চাপ কেমন থাকবে। মূলত মেইন লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্যাস যাচ্ছে না। যে পরিমাণ গ্যাস দরকার তা তো আসছে না লাইনে।’
পুলিশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সেখানে আমার অফিসারকে পাঠিয়েছিলাম ম্যানেজ করার জন্য। কিন্তু এরকম কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা না।’ যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘সেখানে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন বিষয়টি আমার জানা নেই।’
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতিশ্রুতি’ পেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রবাড়ীর কাজলা অংশ থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন গ্যাসের দাবিতে আন্দোলনে নামা স্থানীয় বাসিন্দারা। আগামী ১৫ দিন ওই এলাকার সিএনজি রিফুয়েলিং পাম্পটি বন্ধ থাকবে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে তারা সড়ক ছাড়েন। ফলে তিন ঘণ্টা পর ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনে যোগ দেয়া কাজলার পাড়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ হান্নান বলেন, পুলিশ আমাদের বলেছে, কাজলার সুলেমান মিয়ার সিএনজি পাম্ম আগামী ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে গ্যাস সমস্যার সমাধান করে লাগলে আবার আলোচনা করবে। পুলিশ কথা দেয়ায় আমরা রাস্তা ছাইড়া দিছি।’
কাজলার পাড় মোড়ের কাছে সম্প্রতি ওই সিএনজি রিফুয়েলিং পাম্পটি চালু করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নতুন মেশিন দিয়ে গ্যাস পাইপলাইনের পুরো গ্যাস টেনে নেয় পাম্পটি। তাতে দিনের বেশিরভাগ সময় তিতাসের আবাসিক সংযোগে গ্যাস থাকে না।
আগে সন্ধ্যার পর কিছুটা গ্যাস পাওয়া গেলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে চুলা জ্বলছে না এলাকার কোনো বাসায়। এ পরিস্থিতিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে হাত-মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মূল সড়কে আসার আহ্বান জানান স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কয়েকশ নারী-পুরুষ সড়কে নামলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলে আন্দোলনকারীরা তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পাম্পটি চালু হওয়ার পর থেকেই তাদের সমস্যার শুরু। গ্যাস না পেলে তারা সড়ক ছাড়বেন না। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫ দিন পাম্পটি বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
স্থানীয় গৃহিনী সেতারা খাতুন বলেন, স্বামী তার ব্যাংকার, সকাল ৭টার মধ্যে তার জন্য দুপুরের খাবার করে দিতে হয়। ‘আগে রাতে রান্না করে রাখতাম, এখন গ্যাস নাই। প্রথম দুই দিন মনে করেছিলাম, লাইনে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। দেখি এক সপ্তাহ হলো গ্যাসের কোনো খবর নাই। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার গ্যাস আর আলাদা চুলা কিনতে হলো।’
এলাকায় গ্যাস না থাকার কথা জানিয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছিলেন কাজলা কুতুবখালী এলাকার জসিম উদ্দিন। তাতেও কাজ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফোন দিলাম, কোনো কামে লাগলো না। রাস্তায় নামা ছাড়া তো কোনো উপায় ছিল না।’
কর্মজীবী লতিফ সিদ্দিকি কাজলায় একা থাকেন বাসা নিয়ে। নিজের রান্না নিজেই করেন জানিয়ে বলেন, ‘দুপুরে এক বেলা রান্না করি, তাই দিয়ে দুই বেলা খাই। সকালে হোটেলে নাস্তা করি। গত এক সপ্তাহ তিন বেলাই হোটেলে খাচ্ছি উপায় না পেয়ে। আমি তো হোটেলের খাবার খাব না বলেই কষ্ট করে রান্না করি।’
কাজলা এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কোনো প্রকার ঘোষণা বা এলাকায় মাইকিং করেনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির ফেইসবুক পেইজেও ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা বুধবার(২১-০৫- ২০২৫) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজলা অংশ অবরোধ করলে তিতাস এক বার্তায় জানায়, এ দিন দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট পাঁচ ঘণ্টা দোলাইরপাড় থেকে দনিয়া শনির আখড়া সড়কের উভয়পাশে সব শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আশপাশেরও এলাকাতেও গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাস কর্তৃপক্ষের জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষকে সময়ে সময়ে পুরো চিত্র জানিয়ে দেই। কখন কোন এলাকায় গ্যাসের চাপ কেমন থাকবে। মূলত মেইন লাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্যাস যাচ্ছে না। যে পরিমাণ গ্যাস দরকার তা তো আসছে না লাইনে।’
পুলিশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘সেখানে আমার অফিসারকে পাঠিয়েছিলাম ম্যানেজ করার জন্য। কিন্তু এরকম কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা না।’ যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘সেখানে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন বিষয়টি আমার জানা নেই।’