প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় দখলদাররা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার দড়িসোম এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বেআইনিভাবে চলছে ইট, বালুর ব্যবসা -সংবাদ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার দড়িসোম এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বেআইনিভাবে জমে উঠেছে ইট, বালু ও খোয়ার রমরমা ব্যবসা। নদীর সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হলেও সেগুলোর কোনো তোয়াক্কা না করেই চলছে এই দখল ও বাণিজ্য। শুধু নদীর পাড়ই নয়, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার একমাত্র সরকারি ইজারাভুক্ত গরুর হাটের বিশাল একটি অংশও দখলে নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাটের খালি জায়গা জুড়ে রাখা হচ্ছে ট্রাক ও লড়ি ভর্তি ইট-বালু। এতে সংকুচিত হয়ে পড়েছে হাটের কার্যক্রম, ব্যাহত হচ্ছে পশু বেচাকেনা, এমনকি বাচ্চাদের খেলার উপযুক্ত একমাত্র উন্মুক্ত স্থানটিও হারিয়ে যাচ্ছে। ইট-বালুর স্তুপ, ধুলাবালি এবং ভারী যান চলাচলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ব্যবসায়ীদের পেছনে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছত্রছায়া রয়েছে।
ফলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় দখলদাররা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে জায়গাটি শিশুদের জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে পুনঃস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি গরুর হাটকে প্রয়োজনীয় পরিসরে সম্প্রসারণ করে পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বিআইডবিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, ‘নদী দখলের বিষয়ে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। যারা নদীর সীমানা লঙ্ঘন করে বাণিজ্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেন, ‘অবৈধভাবে দখল ও ব্যবসার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অতিসত্ত্বর অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শীতলক্ষ্যা নদী ও গরুর হাট কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দুটি অংশ। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে এসব স্থানের পরিবেশ ও ব্যবহারযোগ্যতা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ না নিলে তা ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় দখলদাররা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার দড়িসোম এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বেআইনিভাবে চলছে ইট, বালুর ব্যবসা -সংবাদ
বুধবার, ২১ মে ২০২৫
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার দড়িসোম এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে বেআইনিভাবে জমে উঠেছে ইট, বালু ও খোয়ার রমরমা ব্যবসা। নদীর সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হলেও সেগুলোর কোনো তোয়াক্কা না করেই চলছে এই দখল ও বাণিজ্য। শুধু নদীর পাড়ই নয়, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার একমাত্র সরকারি ইজারাভুক্ত গরুর হাটের বিশাল একটি অংশও দখলে নিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাটের খালি জায়গা জুড়ে রাখা হচ্ছে ট্রাক ও লড়ি ভর্তি ইট-বালু। এতে সংকুচিত হয়ে পড়েছে হাটের কার্যক্রম, ব্যাহত হচ্ছে পশু বেচাকেনা, এমনকি বাচ্চাদের খেলার উপযুক্ত একমাত্র উন্মুক্ত স্থানটিও হারিয়ে যাচ্ছে। ইট-বালুর স্তুপ, ধুলাবালি এবং ভারী যান চলাচলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ব্যবসায়ীদের পেছনে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ছত্রছায়া রয়েছে।
ফলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না থাকায় দখলদাররা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে জায়গাটি শিশুদের জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠ হিসেবে পুনঃস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি গরুর হাটকে প্রয়োজনীয় পরিসরে সম্প্রসারণ করে পূর্বের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বিআইডবিউটিএ ঘোড়াশাল নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, ‘নদী দখলের বিষয়ে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। যারা নদীর সীমানা লঙ্ঘন করে বাণিজ্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ বলেন, ‘অবৈধভাবে দখল ও ব্যবসার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অতিসত্ত্বর অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শীতলক্ষ্যা নদী ও গরুর হাট কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দুটি অংশ। অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে এসব স্থানের পরিবেশ ও ব্যবহারযোগ্যতা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ না নিলে তা ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।