বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথগ্রহণ ঠেকাতে দায়ের করা রিট খারিজ হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তার সেই মন্তব্যকে আদালত অবমাননার শামিল দাবি করে তাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আইনজীবী জসিমউদ্দীন শনিবার সারজিসকে নোটিস পাঠিয়ে বলেছেন, “ফেইসবুকে দেয়া মন্তব্যটি আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। তাই নোটিসপ্রাপ্তির দুই ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিট খারিজ হওয়ার পর সারজিস ফেসবুকে লিখেছিলেন, “মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে হেরে যান বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর গেল ২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল তাকে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।
তবে ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ রিট করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। একইদিন নগর ভবনে ইশরাকের সমর্থকরা আন্দোলনে নামে, যাতে কার্যত নগর ভবনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘আইনি জটিলতা’ দেখিয়ে শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত করে। এরপর ইশরাক তার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন। সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন। রিট খারিজ হওয়ার পর ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শপথের দাবি জানান।
শুক্রবার এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায়, কোরবানির ঈদের আগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি— উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করব। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও প্রার্থীদের সমন্বয়ে জোনভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন করা হবে।”
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথগ্রহণ ঠেকাতে দায়ের করা রিট খারিজ হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তার সেই মন্তব্যকে আদালত অবমাননার শামিল দাবি করে তাকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আইনজীবী জসিমউদ্দীন শনিবার সারজিসকে নোটিস পাঠিয়ে বলেছেন, “ফেইসবুকে দেয়া মন্তব্যটি আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। তাই নোটিসপ্রাপ্তির দুই ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিট খারিজ হওয়ার পর সারজিস ফেসবুকে লিখেছিলেন, “মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?”
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে হেরে যান বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর গেল ২৭ মার্চ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল তাকে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।
তবে ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ রিট করে আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। একইদিন নগর ভবনে ইশরাকের সমর্থকরা আন্দোলনে নামে, যাতে কার্যত নগর ভবনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘আইনি জটিলতা’ দেখিয়ে শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত করে। এরপর ইশরাক তার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন। সমর্থকরাও একই দাবি তোলেন। রিট খারিজ হওয়ার পর ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শপথের দাবি জানান।
শুক্রবার এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায়, কোরবানির ঈদের আগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি— উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করব। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও প্রার্থীদের সমন্বয়ে জোনভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন করা হবে।”