চারটি সুনির্দিষ্ট দাবি পূরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় পূর্বঘোষিত কলম বিরতি কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। শনিবার,(২৪ মে ২০২৫) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। অন্যদিকে তাদের কর্মসূচি পালন ইস্যুতে সরকার সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
রোববার কাস্টম হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলো ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর ও সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে
শনিবার পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে এনবিআর ভবনে মোতায়েন করেছে সরকার। পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভবনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এদিপ বিল্লাহ, উপ-কর কমিশনার মো. মোস্তফিজুর রহমান এবং সহকারী কর কমিশনার মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এনবিআরের সংস্কার ঐক্য পরিষদের ঘোষণা বলেছে, আগামী ২৫ মে (রোববার) কাস্টম হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলো ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। এ দিন কাস্টম হাউস ও এলসি স্টেশনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সকাল ৯টা থেকে ঢাকার সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরের সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে এনবিআর প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। আগামীকাল (রোববার) বিকেল ৪টায় এনবিআর প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, ২৬ মে (সোমবার) থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে।
অন্যদিকে চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালনের জন্য শনিবার সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আসতে শুরু করেন। তারা নিচতলাসহ বিভিন্ন ফ্লোরে অবস্থান নেন। এরপরই পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করে সরকার। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশের সময় তাদের কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হয় এবং পরিচয়পত্র দেখানোর পর প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ, এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করার দাবিতে ২২ মে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। এ সময় সেবা বিঘ্নিত হওয়ায়
সেবাপ্রার্থীদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত অক্টোবর মাসে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদের নেতৃত্বে রাজস্ব খাত সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি গঠন করে। তিন মাসের মাথায় গত জানুয়ারি মাসে এই কমিটি একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা আলাদা করার সুপারিশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদ করে আসছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
চারটি সুনির্দিষ্ট দাবি পূরণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাওয়ায় পূর্বঘোষিত কলম বিরতি কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। শনিবার,(২৪ মে ২০২৫) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। অন্যদিকে তাদের কর্মসূচি পালন ইস্যুতে সরকার সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
রোববার কাস্টম হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলো ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর ও সোমবার থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে
শনিবার পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে এনবিআর ভবনে মোতায়েন করেছে সরকার। পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভবনে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এদিপ বিল্লাহ, উপ-কর কমিশনার মো. মোস্তফিজুর রহমান এবং সহকারী কর কমিশনার মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এনবিআরের সংস্কার ঐক্য পরিষদের ঘোষণা বলেছে, আগামী ২৫ মে (রোববার) কাস্টম হাউস এবং এলসি স্টেশনগুলো ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে। এ দিন কাস্টম হাউস ও এলসি স্টেশনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সকাল ৯টা থেকে ঢাকার সব ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দপ্তরের সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে এনবিআর প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। আগামীকাল (রোববার) বিকেল ৪টায় এনবিআর প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, ২৬ মে (সোমবার) থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে।
অন্যদিকে চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালনের জন্য শনিবার সকাল থেকেই আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আসতে শুরু করেন। তারা নিচতলাসহ বিভিন্ন ফ্লোরে অবস্থান নেন। এরপরই পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করে সরকার। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশের সময় তাদের কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হয় এবং পরিচয়পত্র দেখানোর পর প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ, এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করার দাবিতে ২২ মে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। এ সময় সেবা বিঘ্নিত হওয়ায়
সেবাপ্রার্থীদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত অক্টোবর মাসে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদের নেতৃত্বে রাজস্ব খাত সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি গঠন করে। তিন মাসের মাথায় গত জানুয়ারি মাসে এই কমিটি একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা আলাদা করার সুপারিশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদ করে আসছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।