অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে অথবা পরবর্তী নির্বাচনে তারা প্রার্থী হবেন না, মুচলেকায় এমন স্বাক্ষর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। শনিবার,(২৪ মে ২০২৫) সন্ধ্যার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে ইশরাক হোসেন এ কথাগুলো লেখেন।
‘যতদিন ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া না হচ্ছে, ততদিন এ কর্মসূচি চলবে’ বলে হুঁশিয়ারি
বন্ধ রয়েছে নগর ভবনে নাগরিক সেবা
তিনজন পক্ষপাতদুষ্ট ও বিপজ্জনক উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে: ইশরাক
ফেইসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন লেখেন, ‘তিনজন পক্ষপাতদুষ্ট ও বিপজ্জনক উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে অথবা একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর করতে হবে যে তারা পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এটি কোনোভাবেই আপোসযোগ্য নয়।’
ইশরাক হোসেন আরও লেখেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে, যাতে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যে কোনো হুমকি সম্পর্কে আরও তথ্য উদ্ঘাটন করা যায়।’
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে শনিবার, সকাল থেকে আবার নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন করপোরেশনের কর্মচারীরা। তারা বলছেন, ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চলমান আন্দোলন পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী তার বেঁধে দেয়া সময় শনিবার বিকেলে শেষ হয়েছে। সে সময় পার হওয়ার আগে আগই দক্ষিণ সিটির কর্মচারীরা শনিবার, বেলা ১১টা থেকে আবার অবস্থান নিয়ে নগর ভবনের নিচতলায় ঢাকাবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।
১৪ মে এ কর্মসূচি শুরু করার পরদিন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন থেকে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ভবনেই স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয় অবস্থিত। সেটিও ১৫ মে থেকে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ওই দিন থেকে নগর ভবনে এসে আর অফিস করতে পারছেন না।
কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক সচিব মশিউর রহমানের কাছে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শনিবার, সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ইশরাকের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছিল। ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল, সেটা স্থগিত করা হয়নি। যতদিন তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া না হচ্ছে, ততদিন এ কর্মসূচি চলবে।’
গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করেন এবং ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। ডিএসসিসি এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশীদ ১৪ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
রিট করার পর ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা নগর ভবন অবরোধ করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন এবং তাকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজ করে দেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টে একটি রিট করে আমাকে মেয়র পদে শপথ গ্রহণ থেকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সবশেষে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা আশা রাখব, অন্তর্বর্তী সরকার আর এক দিনও কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তাদের আগামী দিনের এজেন্ডা জনগণের কাছে তুলে ধরবে।’
নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে আগের মতোই। কর্মচারীরা শনিবার ও নগর ভবনের নিচতলায় ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়ে এবং মাইকের শব্দ আর স্লোগানে তাঁতিয়ে রেখেছেন পুরো চত্বর। ঢাকা দক্ষিণ সিটির পরিচ্ছন্নতা শাখার একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমরা এই শহর পরিষ্কার করি, আমরা জানি কারা শহরের জন্য কাজ করতে পারে। ইশরাক ভাইকে নিয়েই আমরা কাজ করতে চাই।’
কর্মসূচির কারণে নগর ভবনের কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এ ভবন থেকে জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, বিল পরিশোধ, নির্মাণকাজের অনুমোদনসহ প্রাথমিক নাগরিক সেবাগুলো ১৫ মে থেকে শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ফটকের তালা না খোলায় সেবাপ্রত্যাশীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সেবা নিতে আসা এক বাসিন্দা বলেন, ‘মেয়রের জন্য আন্দোলন হতেই পারে, কিন্তু জনগণের অফিস তো বন্ধ রাখা যায় না!’
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, ইশরাকের শপথ গ্রহণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। তাদের অভিযোগ, শুরু থেকে সময়ক্ষেপণ, চিঠি চালাচালি আর ব্যাখ্যার জালে ইশরাকের শপথ গ্রহণ আটকে রাখা হচ্ছে। ডিএসসিসির এক সাবেক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জানি, কারা ইচ্ছা করে বিলম্ব করছে। আজ (শনিবার,) যদি উপদেষ্টা চান, কাল (রবিবার) সকালেই শপথ হয়ে যায়।’
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে অথবা পরবর্তী নির্বাচনে তারা প্রার্থী হবেন না, মুচলেকায় এমন স্বাক্ষর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। শনিবার,(২৪ মে ২০২৫) সন্ধ্যার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে ইশরাক হোসেন এ কথাগুলো লেখেন।
‘যতদিন ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া না হচ্ছে, ততদিন এ কর্মসূচি চলবে’ বলে হুঁশিয়ারি
বন্ধ রয়েছে নগর ভবনে নাগরিক সেবা
তিনজন পক্ষপাতদুষ্ট ও বিপজ্জনক উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে: ইশরাক
ফেইসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন লেখেন, ‘তিনজন পক্ষপাতদুষ্ট ও বিপজ্জনক উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে অথবা একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর করতে হবে যে তারা পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। এটি কোনোভাবেই আপোসযোগ্য নয়।’
ইশরাক হোসেন আরও লেখেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে, যাতে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যে কোনো হুমকি সম্পর্কে আরও তথ্য উদ্ঘাটন করা যায়।’
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে শনিবার, সকাল থেকে আবার নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন করপোরেশনের কর্মচারীরা। তারা বলছেন, ইশরাককে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
ইশরাককে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চলমান আন্দোলন পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী তার বেঁধে দেয়া সময় শনিবার বিকেলে শেষ হয়েছে। সে সময় পার হওয়ার আগে আগই দক্ষিণ সিটির কর্মচারীরা শনিবার, বেলা ১১টা থেকে আবার অবস্থান নিয়ে নগর ভবনের নিচতলায় ঢাকাবাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।
১৪ মে এ কর্মসূচি শুরু করার পরদিন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন থেকে সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ভবনেই স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যালয় অবস্থিত। সেটিও ১৫ মে থেকে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ওই দিন থেকে নগর ভবনে এসে আর অফিস করতে পারছেন না।
কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়কারী সাবেক সচিব মশিউর রহমানের কাছে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে শনিবার, সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ইশরাকের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছিল। ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল, সেটা স্থগিত করা হয়নি। যতদিন তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া না হচ্ছে, ততদিন এ কর্মসূচি চলবে।’
গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করেন এবং ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। ডিএসসিসি এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশীদ ১৪ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।
রিট করার পর ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা নগর ভবন অবরোধ করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন এবং তাকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজ করে দেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টে একটি রিট করে আমাকে মেয়র পদে শপথ গ্রহণ থেকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সবশেষে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা আশা রাখব, অন্তর্বর্তী সরকার আর এক দিনও কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তাদের আগামী দিনের এজেন্ডা জনগণের কাছে তুলে ধরবে।’
নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে আগের মতোই। কর্মচারীরা শনিবার ও নগর ভবনের নিচতলায় ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়ে এবং মাইকের শব্দ আর স্লোগানে তাঁতিয়ে রেখেছেন পুরো চত্বর। ঢাকা দক্ষিণ সিটির পরিচ্ছন্নতা শাখার একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমরা এই শহর পরিষ্কার করি, আমরা জানি কারা শহরের জন্য কাজ করতে পারে। ইশরাক ভাইকে নিয়েই আমরা কাজ করতে চাই।’
কর্মসূচির কারণে নগর ভবনের কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এ ভবন থেকে জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, বিল পরিশোধ, নির্মাণকাজের অনুমোদনসহ প্রাথমিক নাগরিক সেবাগুলো ১৫ মে থেকে শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল। ফটকের তালা না খোলায় সেবাপ্রত্যাশীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সেবা নিতে আসা এক বাসিন্দা বলেন, ‘মেয়রের জন্য আন্দোলন হতেই পারে, কিন্তু জনগণের অফিস তো বন্ধ রাখা যায় না!’
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, ইশরাকের শপথ গ্রহণে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। তাদের অভিযোগ, শুরু থেকে সময়ক্ষেপণ, চিঠি চালাচালি আর ব্যাখ্যার জালে ইশরাকের শপথ গ্রহণ আটকে রাখা হচ্ছে। ডিএসসিসির এক সাবেক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জানি, কারা ইচ্ছা করে বিলম্ব করছে। আজ (শনিবার,) যদি উপদেষ্টা চান, কাল (রবিবার) সকালেই শপথ হয়ে যায়।’