alt

জাতীয়

আন্দোলন, অবরোধ, বিক্ষোভ বাড়ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৫ মে ২০২৫

রোববার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ -সংবাদ

দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন দাবি আদায়ে অবরোধ, আন্দোলন, বিক্ষোভ বাড়ছে। নিজ নিজ দাবিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নানা প্ল্যাটফর্ম, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন কখনও রাজপথে অবস্থান নিচ্ছে, কখনও আবার কর্মবিরতি পালন করছে। ব্যাহত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা। যানজটে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

নতুন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। বিভিন্ন দাবিতে সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তারা।

এই পরিস্থিতিতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, ‘পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অযৌক্তিক নানা দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে।’

আন্দোলনের কারণে রোববার,(২৫ মে ২০২৫)ও অচল ছিল এনবিআর। নগর ভবনে ফটকে তালা থাকায় প্রত্যাশিত সেবা পাননি সংশ্লিষ্ট সেবাপ্রত্যাশিতরা। বিক্ষোভে উত্তাল ছিল সচিবালয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দশ দফা দাবিতে অর্ধদিবস বন্ধ ছিল পেট্রোল পাম্প।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত সাড়ে ৯ মাসে অনেক দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে। তবে এখন এই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অযৌক্তিক নানা দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে যাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত প্রধান দায়িত্বগুলো পালনে বাধা সৃষ্টি হয়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রোববার এক বিবৃতি দিয়ে হুঁশিয়ার করেছে যে, ‘সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন- বর্তমান সরকারের এসব মূল দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়লে জনগণের কাছে সবকিছু প্রকাশ করে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে রোববার ও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত আসায় এনবিআরের সংশ্লিষ্টরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সচিবালয়ের আন্দোলন থামাতে পুনর্গঠন করা হয়েছে এ-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। এদিকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিপিসি তাদের আশ্বস্ত করতে সমর্থ হয়।

সচিবালয়ে বিক্ষোভ

রোববার ও ভিন্ন ভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বিক্ষোভ, আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে কর্মবিরতি, কেন্দ্রীয় শহীদ

মিনারে অবস্থান পল্লী বিদ্যুতে কর্মরতের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সামনে ছিল অবস্থান কর্মসূচি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে বেলা ১১টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন তার সমর্থক ও করপোরেশনের বড় একটি অংশের কর্মচারীরা। এই কর্মসূচির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এসব জায়গায় স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা এই অনুমোদিত খসড়াটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

অভিযোগ উঠেছে, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়াটি করা হয়েছে। অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্ন, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের খসড়াটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন কর্মচারীরা।

রোববার সকালে সচিবালয়ে দেখা যায়, শত শত কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে মিছিলে যোগ দেন। মিছিল থেকে ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’ ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়া হয়। মিছিলটি সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রদক্ষিণ করে।

একপর্যায়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে সমাবেশ করেন কর্মচারীরা। সেখানে দাবি পূরণ না হলে সোমবার সচিবালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

এ সময় কয়েকজন নেতা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দপ্তরে যান। অবশ্য তখন তিনি দপ্তরে ছিলেন না। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে তারা সচিবালয়ে মূল ফটকের কাছে যান। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়।

সেখানে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর অনুমোদিত অধ্যাদেশের খসড়াকে কালাকানুন আখ্যায়িত করে বলেন, এটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। দুপুরে তিনি এই ঘোষণা দেন। এরপর সচিবালয় চত্বরে বাদামতলায় অবস্থান নেন কর্মচারীরা।

পরে অবশ্য উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কর্মচারী নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান তাদের বলেছেন দাবির বিষয়টি তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন।

এ রকম পরিস্থিতিতে একজন কর্মচারী নেতা বলেন সোমবার সচিবালয়ের ফটকগুলোর কাছে অবস্থান নেবেন কর্মচারীরা। এ সময় কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেয়া হবে না।

এদিকে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দেয়ার জন্য এ-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

*অচল এনবিআর *

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেশিরভাগ শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারী এনবিআরের নিচতলায় প্রধান ফটকের পাশেই অবস্থান নেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় প্রবেশের প্রধান দুই ফটক। রোববার সকাল নয়টা থেকে এ পরিস্থিতি হয়। এ কারণে এনবিআরের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক দিন ধরে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ আন্দোলন চলছে।

এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদ করে আসছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার সরেজমিন দেখা যায়, সকাল নয়টার পর থেকেই কর্মকর্তারা প্রধান ফটক ও দোতলার মিলনায়তনে অবস্থান নেন। প্রধান ফটকে কারও কারও হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যান নিজের কার্যালয়ে আসেননি। তবে গত শনিবারের মতো রোববার ও ভবনের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নেন পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য। রোববার প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় গাড়ি নিয়ে ঢোকা কিংবা বের হওয়া যায়নি। তাই হেঁটে কর্মকর্তারা ভবনে ঢোকেন।

গত শনিবার বিকেলে আগামী দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ঘোষিত কর্মসূচি হলোÑ রোববার রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কাস্টম হাউস এবং শুল্ক স্টেশন ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। সোমবার আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি।

এদিকে রোববার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এনবিআর বিলুপ্ত না করার ঘোষণা দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এরপর আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।

পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিলুপ্ত না করে এ সংস্থাকে ‘স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণায় আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো।

পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে স্পষ্ট যে, এনবিআর বিলুপ্ত হবে না; বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করা হবে।’

*নগর ভবনে তালা*

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সামনে রোববার ও চলছে অবস্থান কর্মসূচি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে বেলা ১১টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন তার সমর্থক ও করপোরেশনের বড় একটি অংশের কর্মচারীরা।

গত ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতি দিয়ে এখনও চলছে। এতে নাগরিক সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, নগর ভবনের ফটকগুলোতে এখনও তালা ঝুলছে। ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে ইশরাকের সমর্থকরা কিছুক্ষণ পরপর নগর ভবন প্রাঙ্গণে মিছিল করছেন। মিছিল শেষ হলে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘জনতার মেয়র ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবেই। তা না হলে তারা ঘরে ফিরবেন না।’

নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে। ফটকে তালা থাকায় নগর ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারছেন না সেবাপ্রত্যাশীরা। বন্ধ রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধসহ সব নাগরিক সেবা।

*পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের শহীদ মিনারে অবস্থান*

অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। রোববার পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিদ্যুৎসেবা চালু রেখে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন কয়েকশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত বুধবার সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

৭ দফা দাবিগুলো হলো ১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ। ২. এক ও অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন। ৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্যকর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ। ৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল। ৫. গ্রাহকসেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে। ৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। ৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ দুই দফা দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এদিকে কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

* পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট*

তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ দশ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্প রোববার অর্ধদিবস বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকে রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলবে বলে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন। গত ১১ মে পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে ২৫ মে কর্মবিরতি পালনের এই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

সে অনুযায়ী ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ রাখা হয়। তবে হজ ফ্লাইট ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রাখার জন্য উড়োজাহাজের তেল পরিবহন চালু রাখা হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, পেট্রোল পাম্পগুলো কেবল অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের গাড়িতে তেল সরবরাহ করতে পারবে।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তেল বিক্রয়ের ওপর ন্যূনতম কমিশন ৭ শতাংশ করা এবং সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে জমির ইজারা মাশুল কমানো।

অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে পরিবেশ অধিদপ্তর, কলকারখানা অধিদপ্তর কিংবা ফায়ার সার্ভিস থেকে লাইসেন্স নেয়ার বিধান বাতিল; পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নেয়া জমির নবায়ন সহজ করা; বিএসটিআই শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট, স্ট্যাম্পিং এবং পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে; যত্রতত্র জ্বালানি তেল বিক্রয় বন্ধ করতে হবে এবং কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় ট্যাংকলরি থামানো যাবে না।

বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলে এই ঐক্য পরিষদ গঠিত। দুপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, বিপিসি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কমিশনসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়াও, তারা বিপিসিকে তাদের অন্যান্য দাবি আগামী দুই মাসের মধ্যে পূরণের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে।

বিপিসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আবারও ধর্মঘটে যাবেন তারা।

*শিক্ষকদের আল্টিমেটাম*

চাকরির শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে।

তিন দফা দাবি আদায়ে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি রোববার শেষ হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তারা।

সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

আদালত ‘অবমাননা’: হাসিনাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ

গবেষকদের ওপর ‘অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ দুঃখজনক’

যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোও জানানো হবে: আলী রীয়াজ

ডাকাতি রোধে দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ

নারী কমিশন: সরকারের ভূমিকায় ‘হতাশ’ গীতি আরা

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল, বানর ও হুতুমপেঁচা জব্দ

ছবি

‘আমাকে ‘র’ এজেন্ট বানিয়ে দেয়া হচ্ছে’

ছবি

ইশরাক সমর্থকদের অবরোধ অব্যাহত, নগর ভবন অচল

আরও ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠালো ভারত

এনবিআর ঐক্য পরিষদের আন্দোলন স্থগিত

সোমবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা

চট্টগ্রাম বন্দর: তিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন প্রেস সচিব

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চাইলেন তারেক রহমান

চানখাঁরপুলে ৬ হত্যা: এই প্রথম কোনো মামলার অভিযোগ আমলে নিলো ট্রাইব্যুনাল

বিকেলে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ঐকমত্য না হলেও সেগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হবে: আলী রীয়াজ

এনবিআরে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে, বন্ধ সেবা কার্যক্রম

ছবি

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন, জুলাই আন্দোলনের মামলায় বিচার শুরু

সংস্কৃতি উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলন স্থগিতের ব্যাখ্যা দিল বাংলা একাডেমি

ছবি

দশ দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে পেট্রল পাম্প বন্ধ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দেয়া হচ্ছে না : প্রেস সচিব

ঈদে ট্রেন যাত্রা : ৪ জুনের টিকিট বিক্রি আজ

ছবি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশসহ নিহত ২

নারায়ণগঞ্জে পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে তরুণ খুন, গ্রেপ্তার ৪

চাকরি অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

ছবি

টাঙ্গাইলে ঈদ উপলক্ষে ফিটনেসবিহীন বাসে সাজ-সজ্জার ধুম

ছবি

বিএডিসিতে কৃষি নীতিমালা বাস্তবায়ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

ছবি

কুড়িগ্রামে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

আসিফের সাবেক এপিএসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ন্যাশনাল ব্যাংকের ‘ঋণ আত্মসাৎ’: মনোয়ারা সিকদারসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

রেলের পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৫শ’ একর জমি অবৈধ দখলে

সালমান এফ রহমানের ছেলে ও ভাতিজার ৯ কোটি ডলারের সম্পত্তি জব্দ

আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হওয়ায় লন্ডনে সম্পদ জব্দ হয়েছে: গভর্নর

ফের নগর ভবন অবরোধ ইশরাক সমর্থকদের

বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় এনসিপি

tab

জাতীয়

আন্দোলন, অবরোধ, বিক্ষোভ বাড়ছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ -সংবাদ

রোববার, ২৫ মে ২০২৫

দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন দাবি আদায়ে অবরোধ, আন্দোলন, বিক্ষোভ বাড়ছে। নিজ নিজ দাবিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নানা প্ল্যাটফর্ম, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন কখনও রাজপথে অবস্থান নিচ্ছে, কখনও আবার কর্মবিরতি পালন করছে। ব্যাহত হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা। যানজটে দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

নতুন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। বিভিন্ন দাবিতে সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তারা।

এই পরিস্থিতিতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, ‘পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অযৌক্তিক নানা দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে।’

আন্দোলনের কারণে রোববার,(২৫ মে ২০২৫)ও অচল ছিল এনবিআর। নগর ভবনে ফটকে তালা থাকায় প্রত্যাশিত সেবা পাননি সংশ্লিষ্ট সেবাপ্রত্যাশিতরা। বিক্ষোভে উত্তাল ছিল সচিবালয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দশ দফা দাবিতে অর্ধদিবস বন্ধ ছিল পেট্রোল পাম্প।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত সাড়ে ৯ মাসে অনেক দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে। তবে এখন এই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অযৌক্তিক নানা দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে যাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত প্রধান দায়িত্বগুলো পালনে বাধা সৃষ্টি হয়।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ রোববার এক বিবৃতি দিয়ে হুঁশিয়ার করেছে যে, ‘সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন- বর্তমান সরকারের এসব মূল দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়লে জনগণের কাছে সবকিছু প্রকাশ করে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

তবে রোববার ও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত আসায় এনবিআরের সংশ্লিষ্টরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। সচিবালয়ের আন্দোলন থামাতে পুনর্গঠন করা হয়েছে এ-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। এদিকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিপিসি তাদের আশ্বস্ত করতে সমর্থ হয়।

সচিবালয়ে বিক্ষোভ

রোববার ও ভিন্ন ভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বিক্ষোভ, আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে কর্মবিরতি, কেন্দ্রীয় শহীদ

মিনারে অবস্থান পল্লী বিদ্যুতে কর্মরতের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সামনে ছিল অবস্থান কর্মসূচি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে বেলা ১১টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন তার সমর্থক ও করপোরেশনের বড় একটি অংশের কর্মচারীরা। এই কর্মসূচির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এসব জায়গায় স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা এই অনুমোদিত খসড়াটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

অভিযোগ উঠেছে, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশের খসড়াটি করা হয়েছে। অধ্যাদেশের খসড়ায় শৃঙ্খলা বিঘ্ন, কর্তব্য সম্পাদনে বাধা, ছুটি ছাড়া কর্মে অনুপস্থিত, কর্তব্য পালন না করার জন্য আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ না দিয়ে চাকরিচ্যুতির বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। অধ্যাদেশের খসড়াটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা পুনর্বিবেচনারও দাবি করছেন কর্মচারীরা।

রোববার সকালে সচিবালয়ে দেখা যায়, শত শত কর্মচারী দপ্তর ছেড়ে মিছিলে যোগ দেন। মিছিল থেকে ‘অবৈধ কালো আইন মানব না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’ ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়া হয়। মিছিলটি সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রদক্ষিণ করে।

একপর্যায়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে সমাবেশ করেন কর্মচারীরা। সেখানে দাবি পূরণ না হলে সোমবার সচিবালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

এ সময় কয়েকজন নেতা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের দপ্তরে যান। অবশ্য তখন তিনি দপ্তরে ছিলেন না। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে তারা সচিবালয়ে মূল ফটকের কাছে যান। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়।

সেখানে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর অনুমোদিত অধ্যাদেশের খসড়াকে কালাকানুন আখ্যায়িত করে বলেন, এটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। দুপুরে তিনি এই ঘোষণা দেন। এরপর সচিবালয় চত্বরে বাদামতলায় অবস্থান নেন কর্মচারীরা।

পরে অবশ্য উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কর্মচারী নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান তাদের বলেছেন দাবির বিষয়টি তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন।

এ রকম পরিস্থিতিতে একজন কর্মচারী নেতা বলেন সোমবার সচিবালয়ের ফটকগুলোর কাছে অবস্থান নেবেন কর্মচারীরা। এ সময় কাউকে ঢুকতে এবং বের হতে দেয়া হবে না।

এদিকে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দেয়ার জন্য এ-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

*অচল এনবিআর *

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেশিরভাগ শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারী এনবিআরের নিচতলায় প্রধান ফটকের পাশেই অবস্থান নেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় প্রবেশের প্রধান দুই ফটক। রোববার সকাল নয়টা থেকে এ পরিস্থিতি হয়। এ কারণে এনবিআরের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক দিন ধরে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ আন্দোলন চলছে।

এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পর থেকে এর প্রতিবাদ করে আসছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার সরেজমিন দেখা যায়, সকাল নয়টার পর থেকেই কর্মকর্তারা প্রধান ফটক ও দোতলার মিলনায়তনে অবস্থান নেন। প্রধান ফটকে কারও কারও হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এনবিআর চেয়ারম্যান নিজের কার্যালয়ে আসেননি। তবে গত শনিবারের মতো রোববার ও ভবনের ভেতরে ও বাইরে অবস্থান নেন পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য। রোববার প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় গাড়ি নিয়ে ঢোকা কিংবা বের হওয়া যায়নি। তাই হেঁটে কর্মকর্তারা ভবনে ঢোকেন।

গত শনিবার বিকেলে আগামী দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। ঘোষিত কর্মসূচি হলোÑ রোববার রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা কাস্টম হাউস এবং শুল্ক স্টেশন ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি। সোমবার আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি।

এদিকে রোববার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এনবিআর বিলুপ্ত না করার ঘোষণা দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এরপর আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।

পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিলুপ্ত না করে এ সংস্থাকে ‘স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণায় আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো।

পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি থেকে স্পষ্ট যে, এনবিআর বিলুপ্ত হবে না; বরং এটিকে সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় আরও শক্তিশালী করা হবে।’

*নগর ভবনে তালা*

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের সামনে রোববার ও চলছে অবস্থান কর্মসূচি। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে বেলা ১১টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন তার সমর্থক ও করপোরেশনের বড় একটি অংশের কর্মচারীরা।

গত ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতি দিয়ে এখনও চলছে। এতে নাগরিক সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, নগর ভবনের ফটকগুলোতে এখনও তালা ঝুলছে। ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে ইশরাকের সমর্থকরা কিছুক্ষণ পরপর নগর ভবন প্রাঙ্গণে মিছিল করছেন। মিছিল শেষ হলে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘জনতার মেয়র ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবেই। তা না হলে তারা ঘরে ফিরবেন না।’

নগর ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলছে। ফটকে তালা থাকায় নগর ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারছেন না সেবাপ্রত্যাশীরা। বন্ধ রয়েছে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধসহ সব নাগরিক সেবা।

*পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের শহীদ মিনারে অবস্থান*

অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। রোববার পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বিদ্যুৎসেবা চালু রেখে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন কয়েকশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত বুধবার সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

৭ দফা দাবিগুলো হলো ১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ। ২. এক ও অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার ন্যায় পুনর্গঠন। ৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্যকর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ। ৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল। ৫. গ্রাহকসেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করতে হবে। ৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। ৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ দুই দফা দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এদিকে কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

* পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট*

তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ দশ দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্প রোববার অর্ধদিবস বন্ধ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকে রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলবে বলে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন। গত ১১ মে পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে ২৫ মে কর্মবিরতি পালনের এই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

সে অনুযায়ী ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ রাখা হয়। তবে হজ ফ্লাইট ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রাখার জন্য উড়োজাহাজের তেল পরিবহন চালু রাখা হয়।

ঘোষণায় বলা হয়, পেট্রোল পাম্পগুলো কেবল অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের গাড়িতে তেল সরবরাহ করতে পারবে।

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তেল বিক্রয়ের ওপর ন্যূনতম কমিশন ৭ শতাংশ করা এবং সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে জমির ইজারা মাশুল কমানো।

অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে পরিবেশ অধিদপ্তর, কলকারখানা অধিদপ্তর কিংবা ফায়ার সার্ভিস থেকে লাইসেন্স নেয়ার বিধান বাতিল; পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নেয়া জমির নবায়ন সহজ করা; বিএসটিআই শুধু ডিসপেন্সিং ইউনিট, স্ট্যাম্পিং এবং পরিমাপ যাচাইয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে; যত্রতত্র জ্বালানি তেল বিক্রয় বন্ধ করতে হবে এবং কাগজপত্র পরীক্ষার নামে রাস্তায় ট্যাংকলরি থামানো যাবে না।

বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলে এই ঐক্য পরিষদ গঠিত। দুপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তারা ১৫ দিন সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

বৈঠক শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, বিপিসি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কমিশনসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়াও, তারা বিপিসিকে তাদের অন্যান্য দাবি আগামী দুই মাসের মধ্যে পূরণের জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে।

বিপিসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আবারও ধর্মঘটে যাবেন তারা।

*শিক্ষকদের আল্টিমেটাম*

চাকরির শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে সোমবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে।

তিন দফা দাবি আদায়ে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি রোববার শেষ হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তারা।

সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

back to top