গ্রেড ও পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সোমবার (২০ মে) থেকে শুরু হওয়া এ লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকেও কোনো ক্লাস না নিয়ে।
‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি মোর্চার ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন। তাঁদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—এন্ট্রি লেভেলে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিত করা।
এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা বিদ্যালয়ে এসেছি, শিক্ষার্থীরাও এসেছে, তবে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে না। এই কর্মসূচি দেশব্যাপী চালু হয়েছে।”
সহকারী শিক্ষকরা গত ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে ১৬ থেকে ২০ মে দুই ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে অর্ধদিবস এবং এখন শুরু হয়েছে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত শিক্ষা সংস্কার পরামর্শক কমিটি সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলে দ্বাদশ গ্রেডের বেতন দেওয়ার প্রস্তাব করলেও তারা চান সহকারী শিক্ষক পদ রেখে একাদশ গ্রেডে বেতন নিশ্চিত করা হোক।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তিনি পদোন্নতি ও গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শিক্ষক নেতাদের দাবি, “আশ্বাসে বিশ্বাস নেই, সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।”
বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে, প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পান। গত বছরের অক্টোবরে গঠিত প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কার পরামর্শক কমিটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করে। সেই সুপারিশে প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের কথা বলা হয়।
পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়।
দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
গ্রেড ও পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সোমবার (২০ মে) থেকে শুরু হওয়া এ লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকেও কোনো ক্লাস না নিয়ে।
‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ নামের একটি মোর্চার ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন। তাঁদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—এন্ট্রি লেভেলে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ নিশ্চিত করা।
এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা বিদ্যালয়ে এসেছি, শিক্ষার্থীরাও এসেছে, তবে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে না। এই কর্মসূচি দেশব্যাপী চালু হয়েছে।”
সহকারী শিক্ষকরা গত ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে ১৬ থেকে ২০ মে দুই ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে অর্ধদিবস এবং এখন শুরু হয়েছে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত শিক্ষা সংস্কার পরামর্শক কমিটি সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলে দ্বাদশ গ্রেডের বেতন দেওয়ার প্রস্তাব করলেও তারা চান সহকারী শিক্ষক পদ রেখে একাদশ গ্রেডে বেতন নিশ্চিত করা হোক।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং তিনি পদোন্নতি ও গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শিক্ষক নেতাদের দাবি, “আশ্বাসে বিশ্বাস নেই, সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।”
বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে, প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পান। গত বছরের অক্টোবরে গঠিত প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কার পরামর্শক কমিটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করে। সেই সুপারিশে প্রধান শিক্ষকের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের কথা বলা হয়।
পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়।
দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।