নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কমিশনের সুপারিশগুলো এখনো সরকার বাস্তবায়ন করেনি, তাই বিষয়টি প্রিম্যাচিউর (অসময়ে দাখিল করা)।
সোমবার (২০ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ৪ মে রিটটি দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী। তিনি কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন স্থগিত করতে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। পাশাপাশি, ধর্মীয় ও পারিবারিক আইন সংশ্লিষ্ট যেকোনো সংস্কার আগে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ইসলামিক আইনজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনার দাবি জানানো হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, বহুবিবাহ ‘ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত’ একটি বিধান। ফলে কমিশনের ওই সুপারিশ সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ন করে’।
আরও বলা হয়, “মাই বডি, মাই চয়েজ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরিয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে (ওই প্রতিবেদনে) নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।যৌনকর্মীর পেশাকে (সেক্স ওয়ার্ক) বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাব ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।”
প্রতিবেদনে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা ‘শরিয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ বলে রিট আবেদনকারীর ভাষ্য।
রওশন আলী বলেছিলেন, “রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরিয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এ রিট আবেদন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। এটি দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংবিধানিক ভারসাম্য এবং সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গ্রহণ করা একটি আইনগত পদক্ষেপ।”
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ স্থগিতে হাইকোর্টে রিট
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি ধর্মভিত্তিক দলগুলোর
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, কমিশনের সুপারিশগুলো এখনো সরকার বাস্তবায়ন করেনি, তাই বিষয়টি প্রিম্যাচিউর (অসময়ে দাখিল করা)।
সোমবার (২০ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত ৪ মে রিটটি দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী। তিনি কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন স্থগিত করতে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। পাশাপাশি, ধর্মীয় ও পারিবারিক আইন সংশ্লিষ্ট যেকোনো সংস্কার আগে সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ইসলামিক আইনজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনার দাবি জানানো হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, বহুবিবাহ ‘ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত’ একটি বিধান। ফলে কমিশনের ওই সুপারিশ সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ন করে’।
আরও বলা হয়, “মাই বডি, মাই চয়েজ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরিয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে (ওই প্রতিবেদনে) নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।যৌনকর্মীর পেশাকে (সেক্স ওয়ার্ক) বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাব ইসলামি মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।”
প্রতিবেদনে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা ‘শরিয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ বলে রিট আবেদনকারীর ভাষ্য।
রওশন আলী বলেছিলেন, “রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরিয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। এ রিট আবেদন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। এটি দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংবিধানিক ভারসাম্য এবং সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গ্রহণ করা একটি আইনগত পদক্ষেপ।”
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ স্থগিতে হাইকোর্টে রিট
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলে সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি ধর্মভিত্তিক দলগুলোর