alt

জাতীয়

সচিবালয়ে বিক্ষোভ চলছে, হুঁশিয়ারি হাসনাতদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা -সংবাদ

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার,( ২৬ মে ২০২৫) টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা দুপুর আড়াইটার দিকে সোমবারের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার সারাদেশের সরকারি দপ্তরে বিক্ষোভের ডাক

সরকারকে ‘জিম্মি’ করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না-হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লাহ ও হান্নান মাসউদের

তারা মঙ্গলবার আবারও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সচিবালয়ের বাইরে সারাদেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কর্মচারীরা।

তবে কর্মচারীরা সরকারের কাজে বাধা বা হুমকি দিলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সংস্কারে ‘বাধা দিয়ে’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

এছাড়া এনসিপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন আন্দোলন সর্ম্পকে বলেছেন, ‘মঙ্গলবার সচিবালয়, এনবিআর কিংবা পোর্টে যারা স্ট্রাইক করছেন, তাদের বলছি, বিপ্লব ওখানেও হবে।’

সচিবালয়ের সব গেট

বন্ধ করে বিক্ষোভ

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিনের মতো সোমবার ও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন তারা।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১, ২ ও ৪ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়। তবে ৩ নম্বর গেট বন্ধ না করায় তা জোর করে বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা।

এখন থেকে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সব সংগঠন মিলে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ নামে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

দুপুর আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে ঐক্য ফোরামের নেতারা মঙ্গলবারের (আজ) কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ সময় ‘ঐক্য ফোরামের’ কো-চেয়ারম্যান ও ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের’ একাংশের সভাপতি বাদিউল কবীর বলেন, কর্মসূচি ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ‘কালো’ আইন বা অধ্যাদেশ বাতিল বা সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাহার না করা হবে।

এই আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে চলমান কর্মসূচি সমাপ্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (আজ) সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায়

সমবেত হবেন।

কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সোমবার তাদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় সেই বৈঠক হয়নি বলে জানান বাদিউল কবীর।

ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আরেকাংশের সভাপতি নূরুল ইসলাম বলেন, সারাদেশের কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর গতকাল রোববার এর অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

কর্মচারীদের অভিযোগ, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশটি করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় খসড়াটি অনুমোদনের পর থেকেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করে আসছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

এর মধ্যেই গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কর্মচারীরা। এ অবস্থায় অধ্যাদেশটি প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার বেলা ১১টায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী মিছিল করে সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় জমায়েত হন।

তারা সচিবালয়ের ভেতর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে সমাবেশ করেন। এরপর তারা আবারও মিছিল নিয়ে বাদামতলায় জমায়েত হন।

একপর্যায়ে তারা সচিবালয়ের মূল ফটকের কাছে যান। এ সময় প্রধান ফটকসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটক বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে সেখান থেকে সরে এসে আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আসেন কর্মচারীরা। সেখানেই দুপুর আড়াইটায় মঙ্গলবার (আজ) কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে সোমবারের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি :

সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোক্ষের বিরুদ্ধে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, কর্মচারীরা সরকারের কাজে বাধা দিলে, হুমকি দিলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে।

তিনি বলেন, সংস্কারে ‘বাধা দিয়ে’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যান থেকে উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় এনসিপির পথসভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এখন সচিবালয়েও দেখলাম আন্দোলন হচ্ছে, বিক্ষোভ হচ্ছে। এনবিআর সংস্কারেও বাধা দেয়া হচ্ছে। দেখেন, আপনাদের বলতে চাই যখন জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলছিল, আপনারা কিন্তু কালো ব্যাজ ধারণ করে শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে অফিস করেছেন। এখন আপনারা হুমকি দেন- অফিস চলতে দিবেন না, অফিস বন্ধ করে রাখবেন। ৫ আগস্ট কিন্তু আপনাদের এই হিম্মতটা ছিল না। শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আপনারা কিন্তু তখন কেউ পদত্যাগ করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের যদি অসহায়-দুর্ভোগের রেজিমেন্ট হিসেবে পরিচিত হয়, সেটা হচ্ছে সচিবালয় এবং দুর্নীতির আতুরঘর হিসেবে যদি পরিচিত হয়, সেটা হচ্ছে এনবিআর।’

সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আপনারা যদি জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এই সরকারকে হুমকি-ধামকি দেন যে, সরকার সংস্কার কার্যক্রম করলে তাহলে সেটিকে বাধা দিবেন, আপনারা মনে রাখবেন এই জনগণ আপনাদের বিকল্প খুঁজে নিবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয়ের কোনো সচিব, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কী পদত্যাগ করেছিল? সন্তানদের, সাধারণ নাগরিকদের যে এভাবে রাস্তার মধ্যে গুলি করে হত্যা করছিল, একজন সচিব, একজন আমলা, একজন সরকারি চাকরিজীবীর কি পদত্যাগের খবর এসেছিল?’

এদিকে পৃথক দাবিদাওয়া নিয়ে সচিবালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম বন্দরে চলমান আন্দোলনকে ইঙ্গিত করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।

তিনি সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।

এতে আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘আজ সচিবালয়, এনবিআর কিংবা পোর্টে যারা স্ট্রাইক করছেন, তাদের বলছি, বিপ্লব ওখানেও হবে। আপনারা দুর্নীতি আর লুটপাটের স্বাধীনতা চাচ্ছেন, কিন্তু চব্বিশ-পরবর্তী সময়ে এটা আর পাবেন না। হাসিনার পুরো শাসনামলের প্রতিটি গুম, খুন, দুর্নীতি, অর্থ পাচার-সবকিছুর সহযোগী আপনারা। ভাববেন না, পার পেয়ে গেছেন। পুনশ্চ বলছি, পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব দুর্নীতিগ্রস্তদের অপসারণ করে, নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া।’

অধ্যাদেশে ৪টি বিষয় অপরাধের আওতাভুক্ত :

অধ্যাদেশে সরকারি কর্মচারীদের চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

এসব অপরাধের শাস্তির বিষয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেয়া, চাকরি হতে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দণ্ড দেয়া যাবে। কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।

অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। তার ভিত্তিতে দণ্ড আরোপ করা যাবে।

এভাবে দণ্ড আরোপ করা হলে দোষী কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতির দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা যাবে।

বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ১৫ লাখের মতো। আইন অনুযায়ী সবাই কর্মচারী।

ছবি

জুলাইযোদ্ধা-কর্মচারী সংঘর্ষ: দ্বিতীয় দিনেও চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে বন্ধ চিকিৎসাসেবা

ছবি

পারস্পরিক বৈশ্বিক আস্থা হুমকির মুখে: নিক্কেই ফোরামে অধ্যাপক ইউনূস

ছবি

নয়টি অঞ্চলে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত

সচিবালয়ে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি

ছবি

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দিনে ঝরতে পারে বৃষ্টি

প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সংঘর্ষ, আহত ৩

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আমু, ইনু ও মেননসহ ১১ জন

বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ: শিগগিরই ‘কঠোর’ কর্মসূচির পরিকল্পনা ২৫ ক্যাডারের

ছবি

গরুর খামার করে স্বাবলম্বী আগৈলঝাড়ার শামিম

আরও ১৩৭ জনকে ঠেলে পাঠালো ভারত

ছবি

সুব্রত বাইন ৮, মোল্লা মাসুদসহ তিনজন ৬ দিনের রিমান্ডে

ছবি

‘জুলাই বিপ্লবীদের’ ধন্যবাদ দিলেন ‘মুক্ত-স্বাধীন’ আজহার

ছবি

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রকে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি

লঘুচাপ: সাগর উত্তাল, ১৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

মিরপুরে দম্পতি খুন, ঘটনাস্থল থেকে একজন আটক

রাজশাহীর পর এবার চট্টগ্রাম, শিবিরের বিরুদ্ধে বাম ছাত্রজোটের ওপর হামলার অভিযোগ

‘হয়রানিমূলক’ ১১৪৪৮ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ, সহযোগিতা চায় সরকার

ছবি

৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা

ছবি

চক্ষুবিজ্ঞানের কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই আহতদের মারামারি

বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা সচিবালয় কর্মচারীদের

ছবি

ক্ষমতায় থাকতে চাইলে নির্বাচনে আসুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে তারেক রহমান

ছবি

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সেনা সহায়তার প্রসঙ্গে ডিএনসিসি–সেনাবাহিনীর ব্যাখ্যা

ছবি

বাংলাদেশে জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, ৭ জুন কোরবানির ঈদ

চক্ষু ইনস্টিটিউটে জুলাইয়ের আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের মারামারি

লঘুচাপ হয়ে উঠেছে ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপ’, দেশে বাড়ছে বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি

ভারি বৃষ্টিতে চার বিভাগে নদ-নদীর পানি বাড়ার আশঙ্কা, কিছু এলাকায় বিপৎসীমা ছাড়াতে পারে

ছবি

পাচার হওয়া সম্পদ ফেরাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইল বাংলাদেশ

ছবি

জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন

গভীররাতে বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত

ছবি

চার দিনের সফরে জাপানের পথে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জিলহজের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৭ বা ৮ জুন ঈদুল আজহা, ছুটি টানা ১০ দিন

সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ: আইজিপি

ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর: তিন ব্যবসায়ী রিমান্ডে

এনসিপির সাবেক নেতা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দুই পিও’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ট্যানারি মালিকদের কাছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের পাওনা ২৫ কোটি টাকা

tab

জাতীয়

সচিবালয়ে বিক্ষোভ চলছে, হুঁশিয়ারি হাসনাতদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা -সংবাদ

সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার,( ২৬ মে ২০২৫) টানা তৃতীয় দিনের মতো সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা দুপুর আড়াইটার দিকে সোমবারের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার সারাদেশের সরকারি দপ্তরে বিক্ষোভের ডাক

সরকারকে ‘জিম্মি’ করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না-হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লাহ ও হান্নান মাসউদের

তারা মঙ্গলবার আবারও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সচিবালয়ের বাইরে সারাদেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কর্মচারীরা।

তবে কর্মচারীরা সরকারের কাজে বাধা বা হুমকি দিলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। সংস্কারে ‘বাধা দিয়ে’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।

এছাড়া এনসিপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন আন্দোলন সর্ম্পকে বলেছেন, ‘মঙ্গলবার সচিবালয়, এনবিআর কিংবা পোর্টে যারা স্ট্রাইক করছেন, তাদের বলছি, বিপ্লব ওখানেও হবে।’

সচিবালয়ের সব গেট

বন্ধ করে বিক্ষোভ

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিনের মতো সোমবার ও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ের গেটগুলোর সামনে অবস্থান নেন তারা।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১, ২ ও ৪ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়। তবে ৩ নম্বর গেট বন্ধ না করায় তা জোর করে বন্ধ করে দেন কর্মচারীরা।

এখন থেকে সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সব সংগঠন মিলে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ নামে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

দুপুর আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে ঐক্য ফোরামের নেতারা মঙ্গলবারের (আজ) কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ সময় ‘ঐক্য ফোরামের’ কো-চেয়ারম্যান ও ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের’ একাংশের সভাপতি বাদিউল কবীর বলেন, কর্মসূচি ততক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ‘কালো’ আইন বা অধ্যাদেশ বাতিল বা সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাহার না করা হবে।

এই আইন বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে চলমান কর্মসূচি সমাপ্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (আজ) সকাল ১০টায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায়

সমবেত হবেন।

কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সোমবার তাদের সঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকায় সেই বৈঠক হয়নি বলে জানান বাদিউল কবীর।

ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের আরেকাংশের সভাপতি নূরুল ইসলাম বলেন, সারাদেশের কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ -এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর গতকাল রোববার এর অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

কর্মচারীদের অভিযোগ, সাড়ে চার দশক আগের বিশেষ বিধানের কিছু ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন ধারা’ সংযোজন করে অধ্যাদেশটি করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় খসড়াটি অনুমোদনের পর থেকেই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-মিছিল করে আসছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

এর মধ্যেই গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে সরকার। এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কর্মচারীরা। এ অবস্থায় অধ্যাদেশটি প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার বেলা ১১টায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারী মিছিল করে সচিবালয় চত্বরের বাদামতলায় জমায়েত হন।

তারা সচিবালয়ের ভেতর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে সমাবেশ করেন। এরপর তারা আবারও মিছিল নিয়ে বাদামতলায় জমায়েত হন।

একপর্যায়ে তারা সচিবালয়ের মূল ফটকের কাছে যান। এ সময় প্রধান ফটকসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটক বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে সেখান থেকে সরে এসে আবারও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আসেন কর্মচারীরা। সেখানেই দুপুর আড়াইটায় মঙ্গলবার (আজ) কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে সোমবারের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি :

সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোক্ষের বিরুদ্ধে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, কর্মচারীরা সরকারের কাজে বাধা দিলে, হুমকি দিলে জনগণই তাদের বিকল্প খুঁজে নেবে।

তিনি বলেন, সংস্কারে ‘বাধা দিয়ে’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারকে জিম্মি করলে পরিস্থিতি ভালো হবে না।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যান থেকে উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় এনসিপির পথসভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এখন সচিবালয়েও দেখলাম আন্দোলন হচ্ছে, বিক্ষোভ হচ্ছে। এনবিআর সংস্কারেও বাধা দেয়া হচ্ছে। দেখেন, আপনাদের বলতে চাই যখন জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলছিল, আপনারা কিন্তু কালো ব্যাজ ধারণ করে শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে অফিস করেছেন। এখন আপনারা হুমকি দেন- অফিস চলতে দিবেন না, অফিস বন্ধ করে রাখবেন। ৫ আগস্ট কিন্তু আপনাদের এই হিম্মতটা ছিল না। শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আপনারা কিন্তু তখন কেউ পদত্যাগ করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের যদি অসহায়-দুর্ভোগের রেজিমেন্ট হিসেবে পরিচিত হয়, সেটা হচ্ছে সচিবালয় এবং দুর্নীতির আতুরঘর হিসেবে যদি পরিচিত হয়, সেটা হচ্ছে এনবিআর।’

সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আপনারা যদি জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এই সরকারকে হুমকি-ধামকি দেন যে, সরকার সংস্কার কার্যক্রম করলে তাহলে সেটিকে বাধা দিবেন, আপনারা মনে রাখবেন এই জনগণ আপনাদের বিকল্প খুঁজে নিবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয়ের কোনো সচিব, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কী পদত্যাগ করেছিল? সন্তানদের, সাধারণ নাগরিকদের যে এভাবে রাস্তার মধ্যে গুলি করে হত্যা করছিল, একজন সচিব, একজন আমলা, একজন সরকারি চাকরিজীবীর কি পদত্যাগের খবর এসেছিল?’

এদিকে পৃথক দাবিদাওয়া নিয়ে সচিবালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম বন্দরে চলমান আন্দোলনকে ইঙ্গিত করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।

তিনি সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই হুঁশিয়ারি দেন।

এতে আবদুল হান্নান মাসউদ লিখেছেন, ‘আজ সচিবালয়, এনবিআর কিংবা পোর্টে যারা স্ট্রাইক করছেন, তাদের বলছি, বিপ্লব ওখানেও হবে। আপনারা দুর্নীতি আর লুটপাটের স্বাধীনতা চাচ্ছেন, কিন্তু চব্বিশ-পরবর্তী সময়ে এটা আর পাবেন না। হাসিনার পুরো শাসনামলের প্রতিটি গুম, খুন, দুর্নীতি, অর্থ পাচার-সবকিছুর সহযোগী আপনারা। ভাববেন না, পার পেয়ে গেছেন। পুনশ্চ বলছি, পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের উচিত অবিলম্বে এসব দুর্নীতিগ্রস্তদের অপসারণ করে, নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া।’

অধ্যাদেশে ৪টি বিষয় অপরাধের আওতাভুক্ত :

অধ্যাদেশে সরকারি কর্মচারীদের চারটি বিষয়কে অপরাধের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা যা অন্য যেকোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে, অন্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন, অন্য যেকোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।

এসব অপরাধের শাস্তির বিষয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে নামিয়ে দেয়া, চাকরি হতে অপসারণ বা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার দণ্ড দেয়া যাবে। কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে।

অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে কেন দণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। তার ভিত্তিতে দণ্ড আরোপ করা যাবে।

এভাবে দণ্ড আরোপ করা হলে দোষী কর্মচারী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতির দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা যাবে।

বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ১৫ লাখের মতো। আইন অনুযায়ী সবাই কর্মচারী।

back to top