সোমবার ও ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল, কার্যত অচল নগর ভবন -সংবাদ
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের শপথ আটকাতে এবার আপিল বিভাগে গেছেন রিটকারী আইনজীবী মামুনুর রশিদ।
ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজের যে আদেশ হাইকোর্ট দিয়েছে, তা স্থগিত চেয়ে সোমবার,( ২৬ মে ২০২৫) আবেদন করেন তিনি।
‘জনতার মেয়র’ হিসেবে কাজ করার ঘোষণা ইশরাকের
কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ: উপদেষ্টা আসিফ
মামুনুর রশিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিলের আবেদন করেছেন। ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে সেখানে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা।
ইশরাকের শপথ আটকাতে মামুনুর রশিদের করা রিট আবেদন গত ২২ মে সরাসরি খারিজ করে দেয় বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। এক সপ্তাহ ধরে ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলনের মধ্যে আদালতের ওই সিদ্ধান্ত আসে।
ইশরাকের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সেদিন বলেছিলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যায়। সেটা করতে পারে মামলার বিবাদী পক্ষ। সেখানে আপিল না করে একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট মামলা করতে পারেন না।
আপিলকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। আজ বা আগামীকাল চেম্বার আদালতে শুনানি হতে পারে।’
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে মো. মামুনুর রশিদ নামে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গত ১৩ মে রিটটি করেন। শুনানি নিয়ে ২২ মে হাইকোর্ট রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেয়। সেদিনই পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আজ লিভ টু আপিল দায়ের করা হলো।
বিক্ষোভে নগর ভবনে ভোগান্তি, সমর্থকরা দায় দিচ্ছেন উপদেষ্টাকে
সোমবার ও নগর ভবনের সামনে ডিএসসিসির কর্মচারী ইউনিয়নের অবস্থান কর্মসূচি চলে। তারা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন-কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। টানা আন্দোলন ও কর্মসূচির কারণে সিটি করপোরেশনে সব ধরনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে। এজন্য নাগরিক সেবায় যে ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে, যার দায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ওপর দিয়েছেন ইশরাক সমর্থকরা।
নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়া ডিএসসিসির শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দুই দফায় কোর্ট রায় দেয়া সত্ত্বেও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তিনি শপথ নিতে পারছেন না। জনগণের ভোগান্তির জন্য মূলত উপদেষ্টা দায়ী।’
এ সময় ‘দাবি মোদের একটাই মেয়র ছাড়া অফিস নাই’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘রাজপথের ইশরাক ভাই আমরা তোমায় ভুলি নাই’ স্লোগান দেয়।
গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
# ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে কাজ করার ঘোষণা ইশরাকের
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে ‘শপথের’ আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকলেও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থপনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ইশরাক হোসেন। ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে।’
‘আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করবো। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোনভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেব,’ বলেও জানান তিনি।
# কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ : উপদেষ্টা আসিফ
কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি তার ভেরিফাইড ফেইসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিন দিন কোরবানি চলবে। প্রথম দিন প্রায় ৯০ শতাংশ গরু কোরবানি করা হয়ে যায়। এরপরও কিছু কিছু কোরবানি হয়। আমরা বলেছি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রশাসকরা আমাদের কথা দিয়েছেন ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’
সোমবার ও ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল, কার্যত অচল নগর ভবন -সংবাদ
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের শপথ আটকাতে এবার আপিল বিভাগে গেছেন রিটকারী আইনজীবী মামুনুর রশিদ।
ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজের যে আদেশ হাইকোর্ট দিয়েছে, তা স্থগিত চেয়ে সোমবার,( ২৬ মে ২০২৫) আবেদন করেন তিনি।
‘জনতার মেয়র’ হিসেবে কাজ করার ঘোষণা ইশরাকের
কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ: উপদেষ্টা আসিফ
মামুনুর রশিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিলের আবেদন করেছেন। ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে সেখানে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা।
ইশরাকের শপথ আটকাতে মামুনুর রশিদের করা রিট আবেদন গত ২২ মে সরাসরি খারিজ করে দেয় বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। এক সপ্তাহ ধরে ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলনের মধ্যে আদালতের ওই সিদ্ধান্ত আসে।
ইশরাকের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সেদিন বলেছিলেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও আদেশে সংক্ষুব্ধ হলে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যায়। সেটা করতে পারে মামলার বিবাদী পক্ষ। সেখানে আপিল না করে একজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট মামলা করতে পারেন না।
আপিলকারীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলটি দায়ের করা হয়েছে। আজ বা আগামীকাল চেম্বার আদালতে শুনানি হতে পারে।’
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে মো. মামুনুর রশিদ নামে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গত ১৩ মে রিটটি করেন। শুনানি নিয়ে ২২ মে হাইকোর্ট রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেয়। সেদিনই পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আজ লিভ টু আপিল দায়ের করা হলো।
বিক্ষোভে নগর ভবনে ভোগান্তি, সমর্থকরা দায় দিচ্ছেন উপদেষ্টাকে
সোমবার ও নগর ভবনের সামনে ডিএসসিসির কর্মচারী ইউনিয়নের অবস্থান কর্মসূচি চলে। তারা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন-কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। টানা আন্দোলন ও কর্মসূচির কারণে সিটি করপোরেশনে সব ধরনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে। এজন্য নাগরিক সেবায় যে ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে, যার দায় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ওপর দিয়েছেন ইশরাক সমর্থকরা।
নগর ভবন প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়া ডিএসসিসির শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দুই দফায় কোর্ট রায় দেয়া সত্ত্বেও ইশরাক হোসেনকে শপথ নিতে দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তিনি শপথ নিতে পারছেন না। জনগণের ভোগান্তির জন্য মূলত উপদেষ্টা দায়ী।’
এ সময় ‘দাবি মোদের একটাই মেয়র ছাড়া অফিস নাই’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘রাজপথের ইশরাক ভাই আমরা তোমায় ভুলি নাই’ স্লোগান দেয়।
গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।
# ‘জনতার মেয়র’ হিসেবে কাজ করার ঘোষণা ইশরাকের
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে ‘শপথের’ আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকলেও কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থপনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ইশরাক হোসেন। ফেইসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে।’
‘আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করবো। দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোনভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেব,’ বলেও জানান তিনি।
# কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ : উপদেষ্টা আসিফ
কোরবানির পর ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি তার ভেরিফাইড ফেইসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তিন দিন কোরবানি চলবে। প্রথম দিন প্রায় ৯০ শতাংশ গরু কোরবানি করা হয়ে যায়। এরপরও কিছু কিছু কোরবানি হয়। আমরা বলেছি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রশাসকরা আমাদের কথা দিয়েছেন ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।’