শেরপুরে পাহাড়ি অঞ্চলে বন্যহাতির পাল -সংগৃহীত
মানুষ হাতির আবাসন দখল করে রাস্তা ও বাসাবাড়ি তৈরি করছে। এতে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আর প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কারণে হাতির দল খাবারের খোজে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে হাতির আক্রমণে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩৪ জনের বেশি। আরও অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সব ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।
হাতির আক্রমণে ৪৫ জন নিহত, আহত ৩৪
হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ উপদেষ্টার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছেন, হাতি মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার,(২৬ মে ২০২৫) শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্ধ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘হাতির জীবন ও গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জীবনও। বন ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরা নিরাপদ থাকবো না।’
বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছও রোপন করতে হবে। হাতি-মানুষ দ্বন্ধ নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন তিনি। উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি-মানুষের দ্বন্ধে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। তাদের পরিবারকে মোট ৯১ লাখ টাকা, আহত ৩৪ জনকে ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং ৯০৪ জনের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮৫ জনকে দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পরিবেশ, বন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার দীপংকর বর এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে যে প্রজাতির হাতি দেখা যায় তা এশিয়ান এলিফ্যান্ট বা এশীয় হাতি নামে পরিচিত। দেশের বনাঞ্চলে হাতি অনেকটা সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
একের পর নির্ধনের শিকার হচ্ছে বিপন্ন এই প্রাণী। দেশে হাতির আবাসস্থলগুলোতে মানুষ বসতি স্থাপন করছে ও কৃষি সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। এতে প্রাণীটির বিচরণের জায়গা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে; তেমনি তা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের সঙ্গে এখন বন্যপ্রাণীর সংঘাত ঘটছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, একটি হাতির দিনে ১৫০ কেজি ঘাস, ১শ’ কেজি কলাগাছ, ৫ কেজি কলা ও ২৮ সবজি খায়। আর পানি পান করে ১৯০ থেকে ২শ’ লিটার। এজন্য হাতিকে খাদ্য ও পানির জন ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। এই জন্য হাতি খাদ্যের খোজে বাধ্য হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
দেশের বন অঞ্চলে নানামুখী উন্নয়নের কারণে হাতি স্বাধীনভাবে চলাচলও করতে পারছে না। ফলে হাতি গ্রামে বা মানুষের বসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতি চলাচলের জায়গায় রাস্তা, রেল পথসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে তাদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
হাতি যানবাহন সংঘর্ষের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে তাদের সংঘাত হচ্ছে।
শেরপুরে পাহাড়ি অঞ্চলে বন্যহাতির পাল -সংগৃহীত
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
মানুষ হাতির আবাসন দখল করে রাস্তা ও বাসাবাড়ি তৈরি করছে। এতে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আর প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কারণে হাতির দল খাবারের খোজে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে হাতির আক্রমণে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩৪ জনের বেশি। আরও অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সব ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।
হাতির আক্রমণে ৪৫ জন নিহত, আহত ৩৪
হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ উপদেষ্টার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছেন, হাতি মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার,(২৬ মে ২০২৫) শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্ধ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘হাতির জীবন ও গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জীবনও। বন ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরা নিরাপদ থাকবো না।’
বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছও রোপন করতে হবে। হাতি-মানুষ দ্বন্ধ নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন তিনি। উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি-মানুষের দ্বন্ধে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। তাদের পরিবারকে মোট ৯১ লাখ টাকা, আহত ৩৪ জনকে ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং ৯০৪ জনের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮৫ জনকে দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পরিবেশ, বন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার দীপংকর বর এই সব তথ্য জানিয়েছেন।
বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে যে প্রজাতির হাতি দেখা যায় তা এশিয়ান এলিফ্যান্ট বা এশীয় হাতি নামে পরিচিত। দেশের বনাঞ্চলে হাতি অনেকটা সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
একের পর নির্ধনের শিকার হচ্ছে বিপন্ন এই প্রাণী। দেশে হাতির আবাসস্থলগুলোতে মানুষ বসতি স্থাপন করছে ও কৃষি সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। এতে প্রাণীটির বিচরণের জায়গা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে; তেমনি তা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের সঙ্গে এখন বন্যপ্রাণীর সংঘাত ঘটছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, একটি হাতির দিনে ১৫০ কেজি ঘাস, ১শ’ কেজি কলাগাছ, ৫ কেজি কলা ও ২৮ সবজি খায়। আর পানি পান করে ১৯০ থেকে ২শ’ লিটার। এজন্য হাতিকে খাদ্য ও পানির জন ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। এই জন্য হাতি খাদ্যের খোজে বাধ্য হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
দেশের বন অঞ্চলে নানামুখী উন্নয়নের কারণে হাতি স্বাধীনভাবে চলাচলও করতে পারছে না। ফলে হাতি গ্রামে বা মানুষের বসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতি চলাচলের জায়গায় রাস্তা, রেল পথসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে তাদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
হাতি যানবাহন সংঘর্ষের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে তাদের সংঘাত হচ্ছে।