alt

জাতীয়

হাতির আবাসস্থল দখল নিয়ে মানুষ ও হাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

শেরপুরে পাহাড়ি অঞ্চলে বন্যহাতির পাল -সংগৃহীত

মানুষ হাতির আবাসন দখল করে রাস্তা ও বাসাবাড়ি তৈরি করছে। এতে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আর প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কারণে হাতির দল খাবারের খোজে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে হাতির আক্রমণে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩৪ জনের বেশি। আরও অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সব ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।

হাতির আক্রমণে ৪৫ জন নিহত, আহত ৩৪

হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ উপদেষ্টার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছেন, হাতি মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার,(২৬ মে ২০২৫) শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্ধ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘হাতির জীবন ও গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জীবনও। বন ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরা নিরাপদ থাকবো না।’

বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছও রোপন করতে হবে। হাতি-মানুষ দ্বন্ধ নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন তিনি। উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি-মানুষের দ্বন্ধে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। তাদের পরিবারকে মোট ৯১ লাখ টাকা, আহত ৩৪ জনকে ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং ৯০৪ জনের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮৫ জনকে দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পরিবেশ, বন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার দীপংকর বর এই সব তথ্য জানিয়েছেন।

বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে যে প্রজাতির হাতি দেখা যায় তা এশিয়ান এলিফ্যান্ট বা এশীয় হাতি নামে পরিচিত। দেশের বনাঞ্চলে হাতি অনেকটা সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।

একের পর নির্ধনের শিকার হচ্ছে বিপন্ন এই প্রাণী। দেশে হাতির আবাসস্থলগুলোতে মানুষ বসতি স্থাপন করছে ও কৃষি সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। এতে প্রাণীটির বিচরণের জায়গা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে; তেমনি তা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের সঙ্গে এখন বন্যপ্রাণীর সংঘাত ঘটছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, একটি হাতির দিনে ১৫০ কেজি ঘাস, ১শ’ কেজি কলাগাছ, ৫ কেজি কলা ও ২৮ সবজি খায়। আর পানি পান করে ১৯০ থেকে ২শ’ লিটার। এজন্য হাতিকে খাদ্য ও পানির জন ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। এই জন্য হাতি খাদ্যের খোজে বাধ্য হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।

দেশের বন অঞ্চলে নানামুখী উন্নয়নের কারণে হাতি স্বাধীনভাবে চলাচলও করতে পারছে না। ফলে হাতি গ্রামে বা মানুষের বসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতি চলাচলের জায়গায় রাস্তা, রেল পথসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে তাদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

হাতি যানবাহন সংঘর্ষের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে তাদের সংঘাত হচ্ছে।

ছবি

জিলহজের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৭ বা ৮ জুন ঈদুল আজহা, ছুটি টানা ১০ দিন

সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ: আইজিপি

ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর: তিন ব্যবসায়ী রিমান্ডে

এনসিপির সাবেক নেতা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দুই পিও’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ট্যানারি মালিকদের কাছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের পাওনা ২৫ কোটি টাকা

দুই যুবদল নেতাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, নাম প্রত্যাহারের দাবিতে থানা ঘেরাও

ছবি

উত্তম কৃষি চর্চা পদ্ধতিতে চাষ, বিষমুক্ত আম চাষে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি

ছবি

রাস্তা আটকে ইশরাক সমর্থকদের বিক্ষোভ, যানজটে নাকাল পথযাত্রী

‘ইলেকট্রিক শক’ মেশিন দেখতে চাওয়ায় সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

টানা ৭ দিন ধরে শহীদ মিনারে আন্দোলনে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

মিরপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

ছবি

সেনা অভিযানে ‘শীর্ষ অপরাধী’ সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার

পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা দেশে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির’ চেষ্টা করছে: মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

বিনা শর্তে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির শফিকুর

ছবি

নির্বাচন বিলম্বিত করতে কিছু দৃশ্যপট তৈরি করা হচ্ছে: বিএনপি

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের সাক্ষাৎ

ছবি

মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল, জামায়াত নেতা আজহার ‘বেকসুর’ খালাস

ছবি

‘কড়া’ নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার ও সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ছবি

জাপান সফরে এমআইডিআই প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

সারা দেশে ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি পালন

ছবি

ভারতের প্রতি বাংলাদেশিদের প্রোপার চ্যানেলে পাঠানোর আহ্বান জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সচিবালয়ের বাইরে কড়া নিরাপত্তা, ভেতরে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ছবি

জামায়াতের আজহার খালাস: ‘ন্যায়বিচারের’ সুযোগ তৈরী করেছে জুলাই আন্দোলন, বললেন উপদেষ্টা আসিফ

ছবি

কোন যুক্তিতে আজহারুলের রায়? কী বলছেন তার আইনজীবী

ছবি

কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সচিবালয়ে চতুর্থ দিনের মতো কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ছবি

জয়কে ‘অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা’ মামলায় শফিক রেহমান খালাস

ছবি

যুদ্ধাপরাধ: জামায়াত নেতা আজহার খালাস, মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল

ছবি

সচিবালয় ঘিরে কড়া নিরাপত্তা, সোয়াট ও বিজিবি মোতায়েন

জুনের প্রথম সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হবে

ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের

সামরিক কর্তারা শেখ হাসিনাকে ‘ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন’: ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ

‘বাস বিক্রি ও সুদের টাকার ঝামেলায় রাইদা ডিপোর মালিককে হত্যা’

মহাসড়কে কাল থেকে বাড়তি নিরাপত্তা শুরু

দেশের সুবিধার জন্যেই চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে পরিকল্পনা: উপদেষ্টা

ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের অবস্থান

tab

জাতীয়

হাতির আবাসস্থল দখল নিয়ে মানুষ ও হাতির মধ্যে দ্বন্দ্ব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শেরপুরে পাহাড়ি অঞ্চলে বন্যহাতির পাল -সংগৃহীত

সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

মানুষ হাতির আবাসন দখল করে রাস্তা ও বাসাবাড়ি তৈরি করছে। এতে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আর প্রাকৃতিক বন ধ্বংসের কারণে হাতির দল খাবারের খোজে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে হাতির আক্রমণে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩৪ জনের বেশি। আরও অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সব ক্ষতিগ্রস্তদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।

হাতির আক্রমণে ৪৫ জন নিহত, আহত ৩৪

হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ উপদেষ্টার

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছেন, হাতি মানুষের দ্বন্ধ নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার,(২৬ মে ২০২৫) শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্ধ ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘হাতির জীবন ও গুরুত্বপূর্ণ, মানুষের জীবনও। বন ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরা নিরাপদ থাকবো না।’

বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছও রোপন করতে হবে। হাতি-মানুষ দ্বন্ধ নিরসনে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন তিনি। উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত হাতি-মানুষের দ্বন্ধে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। তাদের পরিবারকে মোট ৯১ লাখ টাকা, আহত ৩৪ জনকে ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং ৯০৪ জনের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত ৯৮৫ জনকে দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পরিবেশ, বন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার দীপংকর বর এই সব তথ্য জানিয়েছেন।

বন্যপ্রাণী গবেষকদের মতে, বাংলাদেশে যে প্রজাতির হাতি দেখা যায় তা এশিয়ান এলিফ্যান্ট বা এশীয় হাতি নামে পরিচিত। দেশের বনাঞ্চলে হাতি অনেকটা সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।

একের পর নির্ধনের শিকার হচ্ছে বিপন্ন এই প্রাণী। দেশে হাতির আবাসস্থলগুলোতে মানুষ বসতি স্থাপন করছে ও কৃষি সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে। এতে প্রাণীটির বিচরণের জায়গা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে; তেমনি তা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের সঙ্গে এখন বন্যপ্রাণীর সংঘাত ঘটছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, একটি হাতির দিনে ১৫০ কেজি ঘাস, ১শ’ কেজি কলাগাছ, ৫ কেজি কলা ও ২৮ সবজি খায়। আর পানি পান করে ১৯০ থেকে ২শ’ লিটার। এজন্য হাতিকে খাদ্য ও পানির জন ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। এই জন্য হাতি খাদ্যের খোজে বাধ্য হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।

দেশের বন অঞ্চলে নানামুখী উন্নয়নের কারণে হাতি স্বাধীনভাবে চলাচলও করতে পারছে না। ফলে হাতি গ্রামে বা মানুষের বসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতি চলাচলের জায়গায় রাস্তা, রেল পথসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের কারণে তাদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

হাতি যানবাহন সংঘর্ষের পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে তাদের সংঘাত হচ্ছে।

back to top