পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার তিন
রাজধানীর তুরাগ এলাকায় রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার পুরনো গাড়ি কেনাবেচার কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি ওই ডিপোতে কর্মরত আসাদুলের কাছে একটি বাস বিক্রি করেন ১৮ লাখ টাকায়। আসাদুল কয়েক ধাপে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা পরিশোধ করতে গড়িমসি করলে আনোয়ার হোসেন তাকে জানায়, বাকি টাকা না দিলে বাস ফেরত নেয়া হবে এবং ওই ১২ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হবে না। একই ডিপোতে নাইট গার্ড হিসেবে কাজ করেন মো. সবুজ ফকির। তাকে সুদে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। কয়েকবছর ধরে সুদের টাকা দিলেও কিছুতেই মূল টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না সবুজ।
মূলত আসাদুলের পরিকল্পনায় বাস ও সুদের টাকা না দিতে হত্যার ছক কষে সবুজ। পরে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে যুক্ত করা হয় আরও ৪ জনকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ জন মিলে লোহার পাইপ ও ছুরি দিয়ে হত্যা করে ডিপোতেই আনোয়ার হোসেনের লাশ পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
সোমবার,( ২৬ মে ২০২৫) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেনের সন্ধান না পাওয়ায় তার স্ত্রী একটি জিডি দায়ের করেছিলেন। ওই জিডির সূত্র ধরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ডিপোর নাইট গার্ড মো. সবুজ ফকির, কালাম ও মো. শাকিল। তাদের দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসাদুল, তার ভাগ্নে ও আরও এক খুনি এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আনোয়ার হোসেন সিকদার গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে দিয়াবাড়ী মেট্রো গোলচত্বরের ডেসকো অফিসের পূর্ব পাশে রাইদা ডিপোর উদ্দেশ্যে বের
হন। বেলা ১১টার দিকে খুনিরা ডিপোর পেছনের দিকে ডেকে নিয়ে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে ছুরি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে রাতে ডিপোর ভেতরের উত্তর পাশের টিনের বেড়ার পাশে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেয়। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ডিসি উত্তরা।
পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার তিন
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
রাজধানীর তুরাগ এলাকায় রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার হোসেন সিকদার পুরনো গাড়ি কেনাবেচার কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি ওই ডিপোতে কর্মরত আসাদুলের কাছে একটি বাস বিক্রি করেন ১৮ লাখ টাকায়। আসাদুল কয়েক ধাপে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করে। বাকি টাকা পরিশোধ করতে গড়িমসি করলে আনোয়ার হোসেন তাকে জানায়, বাকি টাকা না দিলে বাস ফেরত নেয়া হবে এবং ওই ১২ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হবে না। একই ডিপোতে নাইট গার্ড হিসেবে কাজ করেন মো. সবুজ ফকির। তাকে সুদে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। কয়েকবছর ধরে সুদের টাকা দিলেও কিছুতেই মূল টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না সবুজ।
মূলত আসাদুলের পরিকল্পনায় বাস ও সুদের টাকা না দিতে হত্যার ছক কষে সবুজ। পরে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে যুক্ত করা হয় আরও ৪ জনকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ জন মিলে লোহার পাইপ ও ছুরি দিয়ে হত্যা করে ডিপোতেই আনোয়ার হোসেনের লাশ পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
সোমবার,( ২৬ মে ২০২৫) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেনের সন্ধান না পাওয়ায় তার স্ত্রী একটি জিডি দায়ের করেছিলেন। ওই জিডির সূত্র ধরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ডিপোর নাইট গার্ড মো. সবুজ ফকির, কালাম ও মো. শাকিল। তাদের দেয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আসাদুল, তার ভাগ্নে ও আরও এক খুনি এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিসি মো. মুহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আনোয়ার হোসেন সিকদার গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে দিয়াবাড়ী মেট্রো গোলচত্বরের ডেসকো অফিসের পূর্ব পাশে রাইদা ডিপোর উদ্দেশ্যে বের
হন। বেলা ১১টার দিকে খুনিরা ডিপোর পেছনের দিকে ডেকে নিয়ে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে ছুরি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে রাতে ডিপোর ভেতরের উত্তর পাশের টিনের বেড়ার পাশে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেয়। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ডিসি উত্তরা।