সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ চলাকালে সচিবালয় চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়, মোতায়েন করা হয় সোয়াট টিমসহ অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল থেকেই সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় গণমাধ্যমকর্মীরাও দুপুর পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি।
সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের কর্মচারীরা মিছিল করে নতুন ভবনের নিচে এসে অবস্থান নেন। আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলছেন, নতুন আইনে কর্মকর্তাদের ‘অনায্যভাবে বরখাস্তের সুযোগ রাখা হয়েছে’, যা তাদের চাকরির নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এদিন বেলা ১১টার পর বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি ও বিএনপি-সমর্থিত নেতা এ বি এম আব্দুস সাত্তার সচিবালয়ে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বাধা দেন। পরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় কাজ করছে।”
বিক্ষোভরতদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ জানিয়েছে, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ এবং পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ।
অন্যদিকে সচিবালয়ের উল্টো পাশে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনের সামনের ফুটপাথে সোমবার মধ্যরাত থেকে অবস্থান নিয়েছে জুলাই মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি “ফ্যাসিবাদ উৎখাতযাত্রা” শিরোনামে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এবং ‘প্রশাসনে দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের’ তালিকা প্রকাশ করেছে।
জুলাই মঞ্চের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “আমরা ফেব্রুয়ারি থেকেই এ দাবিতে আন্দোলন করছি। কোনো ধারা দেখিয়ে আমাদের ঠেকানো যাবে না।”
এদিকে, আলোচিত সরকারি চাকরি আইন সংশোধনী অধ্যাদেশে নতুন ‘৩৭ক’ ধারা যুক্ত হয়েছে।
অধ্যাদেশে ‘আচরণ বা দণ্ড সংক্রান্ত’ বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে-
>> কেউ যদি এমন কাজ করে যা অনানুগত্যের সামিল এবং যা অন্য কর্মচারীদের মাঝে অনানুগত্য সৃষ্টি করতে পারে বা শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে বা অন্যের কর্তব্য পালনে বাধার সৃষ্টি করতে পারে;
>> এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে ছুটি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে। কাউকে কর্মবিরতিতে বাধ্য বা উস্কানি দেওয়া, অন্য কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া হলে;
>> কোনো কর্মচারীকে তার কর্মস্থলে আসতে বা কাজ করতে বাধা দেওয়া হলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।
তবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে সাত দিনের দুটি সময়সীমায় কারণ দর্শানোর সুযোগ রাখা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করার সুযোগও আছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “সরকার প্রয়োজন মনে করেছে বলেই আইনটি করছে।”
এদিকে আন্দোলনরত কর্মচারীদের নেতা মোজাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “জনপ্রশাসন সচিব তাদের অন্ধকারে রেখে আইন প্রণয়ন করেছেন। উপদেষ্টারা কথা রাখেননি।”
নতুন অধ্যাদেশকে কর্মচারীরা “নিবর্তনমূলক কালো আইন” আখ্যা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ চলাকালে সচিবালয় চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়, মোতায়েন করা হয় সোয়াট টিমসহ অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল থেকেই সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় গণমাধ্যমকর্মীরাও দুপুর পর্যন্ত ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি।
সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের কর্মচারীরা মিছিল করে নতুন ভবনের নিচে এসে অবস্থান নেন। আন্দোলনরত কর্মচারীরা বলছেন, নতুন আইনে কর্মকর্তাদের ‘অনায্যভাবে বরখাস্তের সুযোগ রাখা হয়েছে’, যা তাদের চাকরির নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এদিন বেলা ১১টার পর বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি ও বিএনপি-সমর্থিত নেতা এ বি এম আব্দুস সাত্তার সচিবালয়ে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে বাধা দেন। পরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় কাজ করছে।”
বিক্ষোভরতদের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ জানিয়েছে, তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ এবং পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ।
অন্যদিকে সচিবালয়ের উল্টো পাশে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনের সামনের ফুটপাথে সোমবার মধ্যরাত থেকে অবস্থান নিয়েছে জুলাই মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি “ফ্যাসিবাদ উৎখাতযাত্রা” শিরোনামে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এবং ‘প্রশাসনে দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাদের’ তালিকা প্রকাশ করেছে।
জুলাই মঞ্চের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “আমরা ফেব্রুয়ারি থেকেই এ দাবিতে আন্দোলন করছি। কোনো ধারা দেখিয়ে আমাদের ঠেকানো যাবে না।”
এদিকে, আলোচিত সরকারি চাকরি আইন সংশোধনী অধ্যাদেশে নতুন ‘৩৭ক’ ধারা যুক্ত হয়েছে।
অধ্যাদেশে ‘আচরণ বা দণ্ড সংক্রান্ত’ বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে-
>> কেউ যদি এমন কাজ করে যা অনানুগত্যের সামিল এবং যা অন্য কর্মচারীদের মাঝে অনানুগত্য সৃষ্টি করতে পারে বা শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে বা অন্যের কর্তব্য পালনে বাধার সৃষ্টি করতে পারে;
>> এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে ছুটি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে। কাউকে কর্মবিরতিতে বাধ্য বা উস্কানি দেওয়া, অন্য কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া হলে;
>> কোনো কর্মচারীকে তার কর্মস্থলে আসতে বা কাজ করতে বাধা দেওয়া হলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।
তবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে সাত দিনের দুটি সময়সীমায় কারণ দর্শানোর সুযোগ রাখা হয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করার সুযোগও আছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “সরকার প্রয়োজন মনে করেছে বলেই আইনটি করছে।”
এদিকে আন্দোলনরত কর্মচারীদের নেতা মোজাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “জনপ্রশাসন সচিব তাদের অন্ধকারে রেখে আইন প্রণয়ন করেছেন। উপদেষ্টারা কথা রাখেননি।”
নতুন অধ্যাদেশকে কর্মচারীরা “নিবর্তনমূলক কালো আইন” আখ্যা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।