বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়ে আগামীতে দেশ সেবার (রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার গঠনের) আশায় দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় দেশবাসীর সমর্থনে’ দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে তারা (জামায়াত) প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাবেন। সংগঠন হিসেবে জামায়াত ও দলটির কর্মীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে এই ক্ষমা প্রার্থনা করা হলেও কারা, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তা খোলাসা করেননি জামায়াতের আমির।
ক্ষমতায় গেলে প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি
যুদ্ধাপরাধের বিচার ছিল ‘ইচ্ছাকৃত নেতৃত্ব গণহত্যা’
মঙ্গলবার,(২৭ মে ২০২৫) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার পর দলটির আমির শফিকুর ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা হলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। এ সময় এটিএম আজহারুল ইসলাম সেলিমের ছেলে তাসনীম আজহার সুমন ও জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
‘বিনা শর্তে ক্ষমা প্রার্থনা’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘মানুষ আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না, দল হিসেবেও আমরা কেউ দাবি করি না ভুলের ঊর্ধ্বে। এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী-সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, সবার কাছে কোনো শর্ত নাই বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের বলব, আমাদের আবেদনগুলো, কথাগুলো, ক্ষোভ নয়, অভিমান নয়, আমাদের আবেদনগুলো দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেবেন। আল্লাহ এই জাতির সহায় হোন।’
যুদ্ধাপরাধের মামলা
এ সময় তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি ছিল ‘ইচ্ছাকৃত নেতৃত্ব গণহত্যা’। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল নেতা ঘরে ঘরে জন্মায় না, প্রতিদিন জন্মায় না। এটা আল্লাহর দান। একটা দেশ এবং দলকে নেতৃত্বশূন্য করার মানেই হচ্ছে জনগণকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া।’
ট্রাইব্যুনালের রায়
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে মূলত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যের নিয়ে গঠিত আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউ নিষ্পত্তি শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ পাঁচ নেতা এবং বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগেও সেই সাজা বহাল ছিল।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ টি এম আজহারুলের রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আপিল শোনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার সেই রায়ে আজহারকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
‘নেতৃত্বকে হত্যা’
বিগত সরকারের সময়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বকে মৃত্যুদণ্ড
দেয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবারের ওপর ‘অবর্ণনীয় অত্যাচার-নিপীড়ন’ চালানো হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শফিকুর রহমান। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নিইনি, আপনারা দেখেছেন, কিন্তু আমরা ন্যায়বিচার চাইব। এই রায়ের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, এটা ছিল ইচ্ছাকৃতভাবে একটি দলের নেতৃত্বকে হত্যা করা।’
এ সময় মুক্তিযদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযম, সাবেক নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফ, সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য আবদুল খালেক মণ্ডল, নায়েবে আমির আবদুস সুবহান এবং শূরা সদস্য মীর কাশেম আলীকে ‘গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে’ স্মরণ করেন জামায়াতের বর্তমান আমির শফিকুর।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের দুনিয়া থেকে সরানো হয়েছে, কিন্তু আমাদের বুক থেকে সরাতে পারবে না, আমরা তাদের আমাদের কর্মের মাধ্যমে স্মরণ করব ইনশাআল্লাহ।’
*প্রতিশোধের অবসান ঘটাব*
শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতির অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আমরা কথা দিচ্ছি, মহান আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় প্রিয় দেশবাসীর সমর্থন-সহযোগিতায় যদি দেশের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের ওপরে আসে, আমরা ইনশাআল্লাহ প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাব, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ইনশাআল্লাহ ঘটাব এবং সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সবটুকু উজাড় করে দেব।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা চাইব, আমাদের সমাজ দুর্নীতি মুক্ত হোক, দুঃশাসন মুক্ত হোক, অপরাধ মুক্ত হোক, বৈষম্য মুক্ত হোক, কল্যাণধর্মী সমাজ হোক, মানবিক সমাজ হোক, সেই সমাজ গঠনে আপনাদের সাহচার্য, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, সমর্থন দোয়া চাই।’
*‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’*
আওয়ামী লীগ আমলে পরিচালিত যুদ্ধাপরাধের মামলা প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর বলেন, ‘এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারি যে ল আছে, তা ফলো করা হয়নি, আবার ডোমেস্টিক কাস্টমারি যে ল আছে, সেটাও ফলো করা হয়নি। আমাদের দেশের এভিডেন্স যে ল আছে, সেটা মোটেই ফলো করা হয়নি। সেদিন সংবিধান কোনো বিষয়ই ছিল না, আইন কোনো বিষয়ই ছিল না। যাদের ইশরায় এই কোর্ট পরিচালনা করতেন, তাদের ইচ্ছাই ছিল রায়। সেটা বৈধ হোক অথবা অবৈধ হোক। এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশের এই মামলার একটা মামলা ব্রিটেনে পরিচালিত হয়েছে। ব্রিটেনের উচ্চ আদালত তাদের রায়ে বলেছে, এই মামলাগুলো বিচারের নামে প্রহসন ছিল জাস্ট জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস। বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা ওই সময়ে বাংলাদেশের কোর্ট বলেনি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে বাংলাদেশের কোর্ট তাই বলেছেন, তাদের রায়ের মাধ্যমে। আমরা সমস্ত নেতা, যাদের খুন করা হয়েছে, এই রায়ের মাধ্যমে তাদের আরেকবার গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, এহসান মাহবুব জুবায়ের প্রমুখ।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়ে আগামীতে দেশ সেবার (রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার গঠনের) আশায় দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় দেশবাসীর সমর্থনে’ দেশের সেবা করার দায়িত্ব পেলে তারা (জামায়াত) প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাবেন। সংগঠন হিসেবে জামায়াত ও দলটির কর্মীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে এই ক্ষমা প্রার্থনা করা হলেও কারা, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তা খোলাসা করেননি জামায়াতের আমির।
ক্ষমতায় গেলে প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটানোর প্রতিশ্রুতি
যুদ্ধাপরাধের বিচার ছিল ‘ইচ্ছাকৃত নেতৃত্ব গণহত্যা’
মঙ্গলবার,(২৭ মে ২০২৫) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার পর দলটির আমির শফিকুর ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মুক্তিযোদ্ধা হলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন। এ সময় এটিএম আজহারুল ইসলাম সেলিমের ছেলে তাসনীম আজহার সুমন ও জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
‘বিনা শর্তে ক্ষমা প্রার্থনা’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘মানুষ আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না, দল হিসেবেও আমরা কেউ দাবি করি না ভুলের ঊর্ধ্বে। এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী-সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, সবার কাছে কোনো শর্ত নাই বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের বলব, আমাদের আবেদনগুলো, কথাগুলো, ক্ষোভ নয়, অভিমান নয়, আমাদের আবেদনগুলো দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেবেন। আল্লাহ এই জাতির সহায় হোন।’
যুদ্ধাপরাধের মামলা
এ সময় তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি ছিল ‘ইচ্ছাকৃত নেতৃত্ব গণহত্যা’। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বশীল নেতা ঘরে ঘরে জন্মায় না, প্রতিদিন জন্মায় না। এটা আল্লাহর দান। একটা দেশ এবং দলকে নেতৃত্বশূন্য করার মানেই হচ্ছে জনগণকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া।’
ট্রাইব্যুনালের রায়
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে মূলত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যের নিয়ে গঠিত আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউ নিষ্পত্তি শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ পাঁচ নেতা এবং বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগেও সেই সাজা বহাল ছিল।
শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ টি এম আজহারুলের রিভিউ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আপিল শোনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার সেই রায়ে আজহারকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
‘নেতৃত্বকে হত্যা’
বিগত সরকারের সময়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বকে মৃত্যুদণ্ড
দেয়ার পাশাপাশি তাদের পরিবারের ওপর ‘অবর্ণনীয় অত্যাচার-নিপীড়ন’ চালানো হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন শফিকুর রহমান। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নিইনি, আপনারা দেখেছেন, কিন্তু আমরা ন্যায়বিচার চাইব। এই রায়ের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, এটা ছিল ইচ্ছাকৃতভাবে একটি দলের নেতৃত্বকে হত্যা করা।’
এ সময় মুক্তিযদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযম, সাবেক নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফ, সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য আবদুল খালেক মণ্ডল, নায়েবে আমির আবদুস সুবহান এবং শূরা সদস্য মীর কাশেম আলীকে ‘গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে’ স্মরণ করেন জামায়াতের বর্তমান আমির শফিকুর।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের দুনিয়া থেকে সরানো হয়েছে, কিন্তু আমাদের বুক থেকে সরাতে পারবে না, আমরা তাদের আমাদের কর্মের মাধ্যমে স্মরণ করব ইনশাআল্লাহ।’
*প্রতিশোধের অবসান ঘটাব*
শফিকুর রহমান বলেন, ‘জাতির অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আমরা কথা দিচ্ছি, মহান আল্লাহর একান্ত ইচ্ছায় প্রিয় দেশবাসীর সমর্থন-সহযোগিতায় যদি দেশের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের ওপরে আসে, আমরা ইনশাআল্লাহ প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাব, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ইনশাআল্লাহ ঘটাব এবং সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সবটুকু উজাড় করে দেব।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা চাইব, আমাদের সমাজ দুর্নীতি মুক্ত হোক, দুঃশাসন মুক্ত হোক, অপরাধ মুক্ত হোক, বৈষম্য মুক্ত হোক, কল্যাণধর্মী সমাজ হোক, মানবিক সমাজ হোক, সেই সমাজ গঠনে আপনাদের সাহচার্য, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, সমর্থন দোয়া চাই।’
*‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’*
আওয়ামী লীগ আমলে পরিচালিত যুদ্ধাপরাধের মামলা প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর বলেন, ‘এই মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারি যে ল আছে, তা ফলো করা হয়নি, আবার ডোমেস্টিক কাস্টমারি যে ল আছে, সেটাও ফলো করা হয়নি। আমাদের দেশের এভিডেন্স যে ল আছে, সেটা মোটেই ফলো করা হয়নি। সেদিন সংবিধান কোনো বিষয়ই ছিল না, আইন কোনো বিষয়ই ছিল না। যাদের ইশরায় এই কোর্ট পরিচালনা করতেন, তাদের ইচ্ছাই ছিল রায়। সেটা বৈধ হোক অথবা অবৈধ হোক। এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘বাংলাদেশের এই মামলার একটা মামলা ব্রিটেনে পরিচালিত হয়েছে। ব্রিটেনের উচ্চ আদালত তাদের রায়ে বলেছে, এই মামলাগুলো বিচারের নামে প্রহসন ছিল জাস্ট জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস। বিচারকে গণহত্যা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা ওই সময়ে বাংলাদেশের কোর্ট বলেনি। আলহামদুলিল্লাহ আজকে বাংলাদেশের কোর্ট তাই বলেছেন, তাদের রায়ের মাধ্যমে। আমরা সমস্ত নেতা, যাদের খুন করা হয়েছে, এই রায়ের মাধ্যমে তাদের আরেকবার গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম, এহসান মাহবুব জুবায়ের প্রমুখ।