রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে খাবার খেতে গিয়ে মাদক কারবারিদের কাছে ট্রেজারগান (ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার মেশিন) দেখতে পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। সেই ট্রেজারগান দেখতে চাওয়া নিয়ে তাৎক্ষণিক ধস্তাধস্তিতে মাদক কারবারিদের সুইস গিয়ারের ছুরিকাঘাতে তিনি (সাম্য) নিহত হন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
পাপেলের স্বীকারোক্তি, রাব্বি ও মেহেদী রিমান্ডে
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিদের তিনটি গ্রুপ
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজনকে ঘটনার দিন রাতে এবং ৮ জনকে নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার,(২৭ মে ২০২৫) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন’-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি। গ্রেপ্তার ৮ জন হলেন রাব্বী, মেহেদী, পাভেল, রিপন, সোহাগ, রবিন, হৃদয়, সুজন সরদার।
মো. সাজ্জাত বলেন, গত ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন সাম্য। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ঘটনার রাতেই জড়িত তিনজনকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ও হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় ডিবির একাধিক দল ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে এই সংক্রান্ত আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সাম্য এবং তার দুই বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে করে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে যায়। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মূলত মাদক কারবারের একটি চক্র আছে। মেহেদী সেই চক্রের মূলহোতা। তার গ্রুপের একজন রাব্বীর হাতে একটি ট্রেজারগান ছিল। সেই ট্রেজারগানটি দেখে সাম্য সেটি কী জানতে চায়। জানতে চাওয়ার একটি পর্যায়ে তাদের মধ্যে যখন ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাদককারবারির অন্য যারা আছে, তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং ধস্তাধস্তির একটি পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, ওই মাদক কারবারিদের একজন সদস্য রাব্বী তাৎক্ষণিকভাবে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক ফুডকোর্ট আছে। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত খাবার পাওয়া যায়। আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, সাম্য এবং তার দুই সহপাঠী খাবারের জন্য সেখানে যায়। খাবারের জন্য গেলে ট্রেজারগানটি দেখে সাম্যের সন্দেহ হয়। জিনিসটা কী সেটি দেখার জন্য এবং সেটি নিতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি ঘটে। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা। একটি গ্রুপ তিন নেতার মাজারের পাশে, একটি মাঝখানে, একটি ছবির হাটে মাদক কারবার পরিচালনা করে। একটি গ্রুপের দায়িত্বে আছে মেহেদী। যে ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে সবাই মেহেদীর গ্রুপের। সে ওই গ্রুপের দলনেতা। মেহেদী মূলত সুইস গিয়ারগুলো সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। ঘটনার দিন একটি কালো ব্যাগে করে মেহেদী সুইস গিয়ারগুলো আনে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের কাছে সরবরাহ করে।
এই হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনার মূল আসামি আমাদের রিমান্ডে এলে আমরা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ বের করার চেষ্টা করবো। অস্ত্রের ব্যবহার-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে মাদকের কারবার সেখানেই অস্ত্রের ব্যবহার আছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, এটা বিশ্বব্যাপী। কারণ যেখানে মাদক সেবন বা মাদকের কারবার হয় সেখানে কাঁচা টাকার কারবার থাকে। তাই এসব স্থানে অস্ত্রের ব্যবহার হয়। গ্রেপ্তার মেহেদীর দেখানো স্থান থেকে মাটিচাপা দিয়ে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত দুইটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দুইজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাপেলের স্বীকারোক্তি, রাব্বি
ও মেহেদী রিমান্ডে
সাম্য হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নাহিদ হাসান পাপেল নামের একজন। আর রাব্বি ওরফে ‘কবুতর’ রাব্বি এবং মেহেদী হাসান নামের দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো.
আখতার মোর্শেদ মঙ্গলবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পাপেলের জবানবন্দী রেকর্ড এবং রাব্বি ও মেহেদীর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা আসামি পাপেলের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ দুই আসামি রাব্বি এবং মেহেদীর ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। শাহবাগ থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর জিন্নাত আলী এসব তথ্য জানান। এ মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগসহ বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের অব্যাহত কর্মসূচির সঙ্গে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্রদল। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটি তদন্ত শেষে সোমবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তার পরদিনই সাম্য হত্যার ‘রহস্য উদ্ঘাটনের’ দাবি করল পুলিশ।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে খাবার খেতে গিয়ে মাদক কারবারিদের কাছে ট্রেজারগান (ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার মেশিন) দেখতে পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। সেই ট্রেজারগান দেখতে চাওয়া নিয়ে তাৎক্ষণিক ধস্তাধস্তিতে মাদক কারবারিদের সুইস গিয়ারের ছুরিকাঘাতে তিনি (সাম্য) নিহত হন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
পাপেলের স্বীকারোক্তি, রাব্বি ও মেহেদী রিমান্ডে
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিদের তিনটি গ্রুপ
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজনকে ঘটনার দিন রাতে এবং ৮ জনকে নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার,(২৭ মে ২০২৫) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন’-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি। গ্রেপ্তার ৮ জন হলেন রাব্বী, মেহেদী, পাভেল, রিপন, সোহাগ, রবিন, হৃদয়, সুজন সরদার।
মো. সাজ্জাত বলেন, গত ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে খুন হন সাম্য। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ঘটনার রাতেই জড়িত তিনজনকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনাস্থলে সরাসরি উপস্থিত ও হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করা হয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় ডিবির একাধিক দল ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে এই সংক্রান্ত আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সাম্য এবং তার দুই বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে করে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে যায়। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মূলত মাদক কারবারের একটি চক্র আছে। মেহেদী সেই চক্রের মূলহোতা। তার গ্রুপের একজন রাব্বীর হাতে একটি ট্রেজারগান ছিল। সেই ট্রেজারগানটি দেখে সাম্য সেটি কী জানতে চায়। জানতে চাওয়ার একটি পর্যায়ে তাদের মধ্যে যখন ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাদককারবারির অন্য যারা আছে, তারা ঘটনাস্থলে আসে এবং ধস্তাধস্তির একটি পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, ওই মাদক কারবারিদের একজন সদস্য রাব্বী তাৎক্ষণিকভাবে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক ফুডকোর্ট আছে। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত খাবার পাওয়া যায়। আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, সাম্য এবং তার দুই সহপাঠী খাবারের জন্য সেখানে যায়। খাবারের জন্য গেলে ট্রেজারগানটি দেখে সাম্যের সন্দেহ হয়। জিনিসটা কী সেটি দেখার জন্য এবং সেটি নিতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি ঘটে। তিনি আরও বলেন, তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত করতে গিয়ে দেখেছি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারিদের তিনটি গ্রুপে ভাগ করা। একটি গ্রুপ তিন নেতার মাজারের পাশে, একটি মাঝখানে, একটি ছবির হাটে মাদক কারবার পরিচালনা করে। একটি গ্রুপের দায়িত্বে আছে মেহেদী। যে ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে সবাই মেহেদীর গ্রুপের। সে ওই গ্রুপের দলনেতা। মেহেদী মূলত সুইস গিয়ারগুলো সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। ঘটনার দিন একটি কালো ব্যাগে করে মেহেদী সুইস গিয়ারগুলো আনে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের কাছে সরবরাহ করে।
এই হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনার মূল আসামি আমাদের রিমান্ডে এলে আমরা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ বের করার চেষ্টা করবো। অস্ত্রের ব্যবহার-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানে মাদকের কারবার সেখানেই অস্ত্রের ব্যবহার আছে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, এটা বিশ্বব্যাপী। কারণ যেখানে মাদক সেবন বা মাদকের কারবার হয় সেখানে কাঁচা টাকার কারবার থাকে। তাই এসব স্থানে অস্ত্রের ব্যবহার হয়। গ্রেপ্তার মেহেদীর দেখানো স্থান থেকে মাটিচাপা দিয়ে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত দুইটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দুইজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাপেলের স্বীকারোক্তি, রাব্বি
ও মেহেদী রিমান্ডে
সাম্য হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন নাহিদ হাসান পাপেল নামের একজন। আর রাব্বি ওরফে ‘কবুতর’ রাব্বি এবং মেহেদী হাসান নামের দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো.
আখতার মোর্শেদ মঙ্গলবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে পাপেলের জবানবন্দী রেকর্ড এবং রাব্বি ও মেহেদীর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানা আসামি পাপেলের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ দুই আসামি রাব্বি এবং মেহেদীর ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। শাহবাগ থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর জিন্নাত আলী এসব তথ্য জানান। এ মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগসহ বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের অব্যাহত কর্মসূচির সঙ্গে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্রদল। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত কমিটি তদন্ত শেষে সোমবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তার পরদিনই সাম্য হত্যার ‘রহস্য উদ্ঘাটনের’ দাবি করল পুলিশ।